Arabic

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، وَعِكْرِمَةَ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي تَفَلَّتَ هَذَا الْقُرْآنُ مِنْ صَدْرِي فَمَا أَجِدُنِي أَقْدِرُ عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا أَبَا الْحَسَنِ أَفَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهِنَّ وَيَنْفَعُ بِهِنَّ مَنْ عَلَّمْتَهُ وَيُثَبِّتُ مَا تَعَلَّمْتَ فِي صَدْرِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلِّمْنِي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَقُومَ فِي ثُلُثِ اللَّيْلِ الآخِرِ فَإِنَّهَا سَاعَةٌ مَشْهُودَةٌ وَالدُّعَاءُ فِيهَا مُسْتَجَابٌ وَقَدْ قَالَ أَخِي يَعْقُوبُ لِبَنِيهِ ‏:‏ ‏(‏سوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ‏)‏ يَقُولُ حَتَّى تَأْتِيَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي وَسَطِهَا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي أَوَّلِهَا فَصَلِّ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةِ يس وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَ‏(‏ حم ‏)‏ الدُّخَانَ وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّالِثَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَالم تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَفِي الرَّكْعَةِ الرَّابِعَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَتَبَارَكَ الْمُفَصَّلَ فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ التَّشَهُّدِ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَأَحْسِنِ الثَّنَاءَ عَلَى اللَّهِ وَصَلِّ عَلَىَّ وَأَحْسِنْ وَعَلَى سَائِرِ النَّبِيِّينَ وَاسْتَغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلإِخْوَانِكَ الَّذِينَ سَبَقُوكَ بِالإِيمَانِ ثُمَّ قُلْ فِي آخِرِ ذَلِكَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي بِتَرْكِ الْمَعَاصِي أَبَدًا مَا أَبْقَيْتَنِي وَارْحَمْنِي أَنْ أَتَكَلَّفَ مَا لاَ يَعْنِينِي وَارْزُقْنِي حُسْنَ النَّظَرِ فِيمَا يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُلْزِمَ قَلْبِي حِفْظَ كِتَابِكَ كَمَا عَلَّمْتَنِي وَارْزُقْنِي أَنْ أَتْلُوَهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُنَوِّرَ بِكِتَابِكَ بَصَرِي وَأَنْ تُطْلِقَ بِهِ لِسَانِي وَأَنْ تُفَرِّجَ بِهِ عَنْ قَلْبِي وَأَنْ تَشْرَحَ بِهِ صَدْرِي وَأَنْ تَغْسِلَ بِهِ بَدَنِي لأَنَّهُ لاَ يُعِينُنِي عَلَى الْحَقِّ غَيْرُكَ وَلاَ يُؤْتِيهِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ يَا أَبَا الْحَسَنِ تَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ جُمَعٍ أَوْ خَمْسَ أَوْ سَبْعَ تُجَابُ بِإِذْنِ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ مَا أَخْطَأَ مُؤْمِنًا قَطُّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَوَاللَّهِ مَا لَبِثَ عَلِيٌّ إِلاَّ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا حَتَّى جَاءَ عَلِيٌّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مِثْلِ ذَلِكَ الْمَجْلِسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ فِيمَا خَلاَ لاَ آخُذُ إِلاَّ أَرْبَعَ آيَاتٍ أَوْ نَحْوَهُنَّ وَإِذَا قَرَأْتُهُنَّ عَلَى نَفْسِي تَفَلَّتْنَ وَأَنَا أَتَعَلَّمُ الْيَوْمَ أَرْبَعِينَ آيَةً أَوْ نَحْوَهَا وَإِذَا قَرَأْتُهَا عَلَى نَفْسِي فَكَأَنَّمَا كِتَابُ اللَّهِ بَيْنَ عَيْنَىَّ وَلَقَدْ كُنْتُ أَسْمَعُ الْحَدِيثَ فَإِذَا رَدَّدْتُهُ تَفَلَّتَ وَأَنَا الْيَوْمَ أَسْمَعُ الأَحَادِيثَ فَإِذَا تَحَدَّثْتُ بِهَا لَمْ أَخْرِمْ مِنْهَا حَرْفًا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ‏"‏ مُؤْمِنٌ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ يَا أَبَا الْحَسَنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ ‏.‏
حدثنا احمد بن الحسن، حدثنا سليمان بن عبد الرحمن الدمشقي، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا ابن جريج، عن عطاء بن ابي رباح، وعكرمة، مولى ابن عباس عن ابن عباس، انه قال بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ جاءه علي بن ابي طالب فقال بابي انت وامي تفلت هذا القران من صدري فما اجدني اقدر عليه . فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم " يا ابا الحسن افلا اعلمك كلمات ينفعك الله بهن وينفع بهن من علمته ويثبت ما تعلمت في صدرك " . قال اجل يا رسول الله فعلمني . قال " اذا كان ليلة الجمعة فان استطعت ان تقوم في ثلث الليل الاخر فانها ساعة مشهودة والدعاء فيها مستجاب وقد قال اخي يعقوب لبنيه : (سوف استغفر لكم ربي ) يقول حتى تاتي ليلة الجمعة فان لم تستطع فقم في وسطها فان لم تستطع فقم في اولها فصل اربع ركعات تقرا في الركعة الاولى بفاتحة الكتاب وسورة يس وفي الركعة الثانية بفاتحة الكتاب و( حم ) الدخان وفي الركعة الثالثة بفاتحة الكتاب والم تنزيل السجدة وفي الركعة الرابعة بفاتحة الكتاب وتبارك المفصل فاذا فرغت من التشهد فاحمد الله واحسن الثناء على الله وصل على واحسن وعلى ساير النبيين واستغفر للمومنين والمومنات ولاخوانك الذين سبقوك بالايمان ثم قل في اخر ذلك اللهم ارحمني بترك المعاصي ابدا ما ابقيتني وارحمني ان اتكلف ما لا يعنيني وارزقني حسن النظر فيما يرضيك عني اللهم بديع السموات والارض ذا الجلال والاكرام والعزة التي لا ترام اسالك يا الله يا رحمن بجلالك ونور وجهك ان تلزم قلبي حفظ كتابك كما علمتني وارزقني ان اتلوه على النحو الذي يرضيك عني اللهم بديع السموات والارض ذا الجلال والاكرام والعزة التي لا ترام اسالك يا الله يا رحمن بجلالك ونور وجهك ان تنور بكتابك بصري وان تطلق به لساني وان تفرج به عن قلبي وان تشرح به صدري وان تغسل به بدني لانه لا يعينني على الحق غيرك ولا يوتيه الا انت ولا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم يا ابا الحسن تفعل ذلك ثلاث جمع او خمس او سبع تجاب باذن الله والذي بعثني بالحق ما اخطا مومنا قط " . قال عبد الله بن عباس فوالله ما لبث علي الا خمسا او سبعا حتى جاء علي رسول الله صلى الله عليه وسلم في مثل ذلك المجلس فقال يا رسول الله اني كنت فيما خلا لا اخذ الا اربع ايات او نحوهن واذا قراتهن على نفسي تفلتن وانا اتعلم اليوم اربعين اية او نحوها واذا قراتها على نفسي فكانما كتاب الله بين عينى ولقد كنت اسمع الحديث فاذا رددته تفلت وانا اليوم اسمع الاحاديث فاذا تحدثت بها لم اخرم منها حرفا . فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم عند ذلك " مومن ورب الكعبة يا ابا الحسن " . قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث الوليد بن مسلم

Bengali

। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন এক সময় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ছিলাম। তখন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এসে বলেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! এই কুরআন আমার হৃদয় হতে বেরিয়ে যায় (মুখস্ত থাকে না)। আমি তা নিজের মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম নই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ হে আবূল হাসান! আমি কি তোমাকে এমন কথা শিখাব না যার দ্বারা আল্লাহ তা'আলা তোমাকে উপকৃত করবেন, তুমি যাকে তা শিখাবে তাকেও উপকৃত করবেন এবং যা তুমি শিখবে তাও তোমার হৃদয়ের মধ্যে গেথে থাকবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তা আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ জুমু'আর রাত আসার পর তোমার পক্ষে সম্ভব হলে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে (নামাযে) দাড়িয়ে যাও।এ সময় আল্লাহ্ তা'আলার ফিরিশতা হাযির হয় এবং তখন দু’আ কুবুল হয়। আমার ভাই ইয়াকুব (আঃ) তার সন্তানদের বলেছিলেনঃ আমি তোমাদের জন্য আমার রবের নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করব। পরিশেষে তিনি জুমুআর রাতেই তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদি তুমি (তখন নামায আদায় করতে) সক্ষম না হও তাহলে মধ্য রাতে দাঁড়াও এবং তখনও সম্ভব না হলে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে দাড়াও এবং চার রাকাআত (নফল) নামায আদায় কর। প্রথম রাকাআতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা ইয়াসীন, দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা হা-মীম আদ-দুখান, তৃতীয় রাকাআতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা আলিফ-লাম-মীম তানযীলুস সাজদা এবং চতুর্থ রাকাআতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা তাবারাকা আল-মুফাসসাল (সূরা আল-মুলক) পাঠ করবে। তুমি তাশাহহুদ পাঠ শেষ করে আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা করবে এবং ভালভাবে তার গুণকীর্তন করবে, তারপর আমার উপর দরূদ পাঠ করবে এবং সকল নবী-রাসূলের প্রতি ভালভাবে দুরূদ ও সালাম পাঠ করবে, তারপর সকল মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদের জন্য এবং তোমার যে সকল ভাই ঈমানের সাথে অতীতে ইন্তিকাল করেছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সবশেষে তুমি বলবেঃ “হে আল্লাহ! পাপাচার ছেড়ে দিতে আমাকে অনুগ্রহ কর যাবত তুমি আমাকে বাচিয়ে রাখ, আমার প্রতি দয়া কর যেন আমি নিষ্ফল আচরণে জড়িয়ে না পড়ি এবং তোমার পছন্দনীয় বিষয়ে আমাকে ভালভাবে ভাববার তাওফীক দাও। হে আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী এবং এমন মৰ্যদার অধিকারী যার আকাংখা করা যায় না, আমি তোমার নিকটে প্রার্থনা করি, হে আল্লাহ, হে রহমান, তোমার অসীম মহত্ব ও চেহারার নূরের উসীলায় আমি প্রার্থনা করি যে, আমার অন্তরে তোমার কিতাবকে বদ্ধমূল করে দাও যেমন তুমি আমাকে শিখিয়েছ, যে ভাবে পাঠ করলে তুমি সন্তুষ্ট হও সেইভাবে পাঠ করতে আমাকে তাওফীক দান কর, হে আল্লাহ, আকাশ ও জমীনের সৃষ্টিকর্তা মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী এবং মর্যাদার অধিকারী যার আকাংখা করা যায় না। হে দয়াময়, তোমার মহত্ব ও নুরের উসীলায় আমি প্রার্থনা করছি। তুমি তোমার কিতাবের উসীলায় আমার চক্ষুকে উজ্জ্বল করে দাও, তা দিয়ে আমার যবান (জিহ্বা) খুলে দাও এবং তা দিয়ে আমার অন্তরকে উম্মুক্ত কর, আর তা দিয়ে আমার বক্ষকে প্রসারিত, আমার দেহটিকে তা দিয়ে ধুয়ে ফেল। সত্যের উপর তুমি ব্যতীত অন্য কেউই আমার সাহায্য করতে পারে না এবং তুমি ব্যতীত কেউই আমাকে তা দিতে পারে না। সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ ছাড়া অনিষ্ট রোধ করার এবং কল্যাণ অর্জনের আর কোন শক্তি নেই।” হে আবূল হাসান! তুমি তিন অথবা পাঁচ অথবা সাত জুমুআ পর্যন্ত এ আমল করতে থাক। আল্লাহ্ তা'আলার ইচ্ছায় তোমার দু'আ কুবুল হবে। সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আমাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন! কোন মু'মিনই (এ দু’আ পাঠ করে) কখনও বঞ্চিত হবে না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলার শপথ আলী (রাঃ) পাঁচ অথবা সাত জুমুআ পর্যন্ত এই আমল করে একদিন এরকম এক আসরে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আগে আমি চার আয়াত পাঠ করতাম আর তা আমার হৃদয় হতে চলে যেত। আর এখন আমি চল্লিশ আয়াত অথবা এরকম পরিমাণ মুখস্ত করে যখন পাঠ করি তখন মনে হয় যেন আল্লাহ্ তা'আলার কিতাব আমার চোখের সামনে উম্মুক্ত আছে। একইভাবে আমি হাদীস শুনতাম এবং পরে তা পুনঃপাঠ করতে গিয়ে দেখতাম যে, তা আমার অন্তর থেকে চলে গেছে। আর এখন আমি হাদীসসমূহ শুনি এবং পরে তা পুনঃপাঠ করি এবং তা হতে একটি শব্দও বাদ পড়ে না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ হে হাসানের পিতা, কা'বার প্রভুর কসম! অবশ্যই তুমি একজন মু'মিন। মাওযু, তা’লীকুর রাগীব (২/২১৪), যঈফা (৩৩৭৪) আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। ওয়ালীদ ইবনু মুসলিমের রিওয়ায়াত হিসেবেই শুধু আমরা এ হাদীস জেনেছি।

English

Ikrimah, the freed slave of Ibn `Abbas, narrated that:Ibn `Abbas said: “We were with the Messenger of Allah (ﷺ) when `Ali bin Abi Talib came to him, and he said: ‘May my father and mother be ransomed for you! This Qur’an has suddenly left my heart, and I do not find myself capable of it.’ So the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: ‘O Abul-Hasan! Should I not teach you words that Allah shall benefit you with, and benefit whomever you teach, and they will make whatever you have learned in your chest firm?’ He said: ‘Of course, O Messenger of Allah (ﷺ), so teach me.’ He (ﷺ) said: ‘When it is the night of (before) Friday, then if you are able to stand in the last third of the night, then verily it is a witnessed hour, and supplication is answered in it. And my brother Ya`qub (as) did say to his sons: I shall seek forgiveness for you from my Lord. He said: “Until the night of Friday comes.” So if you are not able, then stand in the middle of it, and if you are not able then stand in the first of it. And pray four Rak`ah. Recite Fatihatul-Kitab (the Opening of the Book) and Surat Ya-Sin in the first Rak`ah, and Fatihatul-Kitab and Ha-Mim Ad-Dukhan in the second Rak`ah, and Fatihatul-Kitab and Alif Lam Mim Tanzil As-Sajdah in the third Rak`ah, and Fatihatul-Kitab and Tabarak Al-Mufassal in the fourth Rak`ah. So when you have finished with the Tasha-hud, then praise Allah and mention Allah’s greatness in an excellent manner, and send Salat upon me - and be excellent in it - and upon the rest of the Prophets. And seek forgiveness for the believing men and the believing women, and for your brothers who have preceded you in faith. Then say in the end of that: “O Allah, have mercy on me by abandonment of sins forever, so long as You keep me remaining. And have mercy on me from taking upon myself what does not concern me, and provide me good sight for what will make You pleased with me. O Allah, Originator of the heavens and the earth, Possessor of glory, and generosity, and honor that is not exceeded. I ask you, O Allah, O Rahman, by Your glory and the light of Your Face, to make my heart constant in remembering Your Book as You taught me, and grant me that I recite it in the manner that will make You pleased with me. O Allah, Originator of the heavens and the earth, Possessor of glory, and generosity, and honor that is not exceeded. I ask you, O Allah, O Rahman, by Your glory and the light of Your Face, to enlighten my sight with Your Book, and make my tongue free with it, and to relieve my heart with it, and to expand my chest with it, and to wash my body with it. For indeed, none aids me upon the truth other than You, and none gives it except You, and there is no might or power except by Allah, the High, the Magnificent. (Allāhummarḥamnī bitarkil-ma`āṣī abadan mā abqaitanī, warḥamnī an atakallafa mā lā ya`nīnī, warzuqnī ḥusnan-naẓari fī mā yurḍīka `annī. Allāhumma badī`as-samāwāti wal-arḍi dhal-jalāli wal-ikrāmi wal-`izzatil-latī lā turāmu, as’aluka yā Allāhu yā Raḥmānu bi-jalālika wa nūri wajhika, an tulzima qalbī ḥifẓa kitābika kamā `allamtanī, warzuqnī an atluwahū `alan-naḥwil-ladhī yurḍīka `annī. Allāhumma badī`as-samāwāti wal arḍi dhal-jalāli wal-ikrāmi wal `izzati-llatī lā turāmu, as’aluka yā Allāhu, yā Raḥmānu bi-jalālika wa nūri wajhika, an tunawwira bi-kitābika baṣarī, wa an tuṭliqa bihī lisānī, wa an tufarrija bihī `an qalbī, wa an tashraḥa bihī ṣadrī, wa an taghsila bihī badanī, fa innahu lā yu`īnunī `alal-ḥaqqi ghairuka wa lā yu’tīhi illā anta wa lā ḥawla wa lā quwwata illā billāhil-`Aliyyil-`Aẓīm).” O Abul-Hasan! So do this three Fridays, or five, or seven, you will be answered - by the will of Allah - by the One Who sent me with the Truth, it has not failed a believer once.’” `Abdullah bin `Abbas said: “So, by Allah, `Ali did not wait but five or seven until [`Ali] came to the Messenger of Allah (ﷺ) in a gathering similar to that and said: ‘O Messenger of Allah (ﷺ), indeed I was [a man] in the time that passed, who used to not take except four Ayat or about that much, so when I would recite them to myself they would suddenly depart from me, and today I learn forty Ayat or about that much, and when I recite them to myself, then it is as if the Book of Allah is before my eyes. I used to hear a Hadith and when I would repeat it, it would suddenly depart from me, and today I hear Ahadith, and when I report them, I do not err in a single letter.’ So the Messenger of Allah (ﷺ) said at that point: ‘A believer, by the Lord of the Ka`bah, O Abul-Hasan.’”

Indonesian

Telah menceritakan kepada kami [Ahmad bin Al Hasan] telah menceritakan kepada kami [Sulaiman bin Abdurrahman Ad Dimasyqi] telah menceritakan kepada kami [Al Walid bin Muslim] telah menceritakan kepada kami [Ibnu Juraij] dari ['Atho` bin Abu Rabbah] dan [Ikrimah] mantan budak Ibnu Abbas, dari [Ibnu Abbas] bahwa ia berkata; ketika kami berada di sisi Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam, tiba-tiba Ali bin Abu Thalib datang, dan berkata; ayah dan ibuku kurelakan untuk aku korbankan, Al Qur'an telah hilang dari dadaku, aku tidak mendapati diriku mampu untuk membacanya. Kemudian Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam berkata: "Wahai Abu Al Hasan, maukah aku ajarkan kepadamu beberapa kalimat yang dengannya Allah memberimu manfaat, dan memberikan manfaat kepada orang yang engkau ajari serta memantapkan apa yang telah engkau pelajari dalam hatimu?" Ia berkata; ya wahai Rasulullah! Ajarkan kepadaku! beliau berkata "Apabila tiba malam Jum'at, jika engkau mampu bangun pada sepertiga malam terakhir, ketahuilah bahwa waktu itu merupakan malam yang disaksikan (para malaikat), dan doa pada malam tersebut terkabulkan, dan saudaraku Ya'qub telah berkata kepada anak-anaknya; aku akan memintakan kalian ampunan kepada Tuhanku. Ucapan ini terus beliau ucapkan hingga datang malam Jum'at. Jika engkau tidak mampu maka bangunlah pada pertengahan malam, jika engkau tidak mampu maka bangunlah pada awal malam, kemudian shalatlah empat raka'at dan engkau baca pada raa'at pertama surat Al Fatihah dan Surat Yaasiin, dan pada raka'at kedua engkau baca Surat Al Fatihah dan Surat Ad Dukhan, dan pada raka'at ketiga engkau baca Surat Al Fatihah dan Alif laam miim As Sajdah, dan pada raka'at keempat engkau baca Surat Al Fatihah dan Surat Tabarak (Surat Al Mulk). Kemudian apabila engkau telah selesai dari tasyahud maka pujilah Allah dengan sebaik-baiknya, ucapkanlah shalawat kepadaku serta seluruh para nabi dengan sebaik-baiknya, mintakan ampunan untuk orang-orang mukmin laki-laki dan perempuan, serta saudara-saudaramu yang telah mendahuluimu beriman, kemudian ucapkan di akhir semua itu: "ALLAAHUMMARHAMNII BITARKIL MA'AASHII ABADAN MAA ABQAITANII, WAR HAMNII AN ATAKALLAFA MAA LAA YA'NIINII, WARZUQNII HUSNAN NAZHARI FIIMAA YURDHIIKA 'ANNII. ALLAAHUMMA BADII'AS SAMAAWATI WAL ARDHI DZAL JALAALI WAL IKRAAM, WAL 'IZZATIL LATII KAA TURAAMU. AS-ALUKA YAA ALLAAHU, YAA RAHMAANU BI JALAALIKA WA NUURI WAJHIKA AN TULZIMA QALBII HIFZHA KITAABIKA KAMAA 'ALLAMTANII, WARZUQNII AN ATLUWAHU 'ALAN NAHWILLADZII YURDHIIKA 'ANNII. ALLAAHUMMA BADII'AS SAMAAWAATI WAL ARDHI, DZAL JALAALI WAL IKRAAM, WAL 'IZZILLATII LAA TURAAM, AS-ALUKA YAA ALLAAHU, YAA RAHMAANU BI JALAALIKA WA NUURI WAJHIKA AN TUNAWWIRA BIKITAABIKA BASHARII WA AN TUDHLIQA BIHI LISAANII, WA AN TUFARRIJ BIHI 'AN QALBII, WA AN TASYRAH BIHI SHADRII, WA AN TAGHSIL BIHI BADANII. FAINNAHU LAA YU'IINUNII 'ALAL HAQQI GHAIRUKA, WA LAA YU`TIIHI ILLAA ANTA, WA LAA HAULA WA LAA QUWWATA ILLAA BIKA Al 'ALIYYIL 'AZHIIM." (Ya Allah, rahmatilah aku untuk meninggalkan kemaksiatan selamanya selama Engkau masih menghidupkanku, dan rahmatilah aku untuk tidak memperberat diri dengan sesuatu yang tidak bermanfaat bagiku, berilah aku rizki berupa kenikmatan mencermati perkara yang mendatangkan keridhaanMu kepadaku. Ya Allah, wahai Pencipta langit dan bumi, wahai Dzat yang memiliki keagungan dan kemuliaan serta keperkasaan yang tidak mungkin bisa dicapai oleh makhluk. Aku memohon kepadaMu ya Allah, wahai Dzat yang Maha pengasih, dengan kebesaranMu dan cahaya wajahMu agar mengawasi hatiku untuk menjaga kitabMu, sebagaimana Engkau telah mengajarkannya kepadaku, dan berilah aku rizki untuk senantiasa membacanya hingga membuatMu ridha kepadaku. Ya Allah, Pencipta langit dan bumi, Dzat yang memiliki kebesaran, kemulian dan keperkasaan yang tidak mungkin diinginkan oleh makhluk. Aku memohon kepadaMu ya Allah, wahai Dzat yang Maha pengasih, dengan kebesaranMu dan cahaya wajahMu agar Engkau menyinari hatiku dan membersihkan badanku, sesungguhnya tidak ada yang dapat membantuku untuk mendapatkan kebenaran selain Engkau, dan juga tidak ada yang bisa memberi kebenaran itu selainMu. Tidak ada daya dan kekuatan kecuali dengan pertolongan Allah Yang Maha Tinggi dan Maha Agung). Wahai Abu Al Hasan, engkau lakukan hal tersebut sebanyak tiga Jum'at atau lima atau tujuh niscaya engkau akan dikabulkan dengan idzin Allah. Demi Dzat yang mengutusmu dengan kebenaran, Allah tidak bakalan lupa memberi seorang mukmin." Abdullah bin Abbas berkata; demi Allah, Ali tidak berdiam kecuali hanya lima atau tujuh Jum'at hingga ia datang kepada Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam dalam majelis tersebut. Kemudian ia berkata; wahai Rasulullah, dahulu aku hanya mengambil empat ayat atau sekitar itu dan apabila aku membacanya dalam hatiku maka ayat tersebut hilang, dan sekarang aku mempelajari empat puluh ayat atau sekitar itu, dan apabila aku membacanya dalam hati maka seolah-olah Kitab Allah ada di depan mataku. Dan dahulu aku mendengar hadits, apabila aku mengulangnya maka hadits tersebut hilang, dan sekarang aku mendengar beberapa hadits, kemudian apabila aku membacanya maka aku tidak mengurangi satu huruf pun darinya. Kemudian Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam berkata kepadanya: "Disaat demikian itu maka engkau adalah seorang mukmin demi Tuhan Pemilik Ka'bah wahai Abu Al Hasan." Abu Isa berkata; hadits ini adalah hadits hasan gharib, kami tidak mengetahuinya kecuali dari hadits Al Walid bin Muslim

Turkish

İbn Abbâs (r.a.)’dan rivâyete göre, şöyle demiştir: Rasûlullah (s.a.v.)’in yanında iken ansızın Ali b. ebî Tâlib geldi ve: “Annem babam sana feda olsun Ey Allah’ın Rasûlü! Bu Kur’ân, benim göğsümden kaybolup gidiyor ve buna engel de olamıyorum.” Bunun üzerine Rasûlullah (s.a.v.), ona: “Ey Ebû’l Hasan sana bazı kelimeler öğreteyim mi? ki Allah bu kelimelerle seni faydalandırsın, sendeki o şeyler de başkalarını faydalandırsın ve öğrendiğin şeyi de kalbine yerleştirsin. Ali: “Evet, ey Allah’ın Rasûlü! öğret bana” dedi. Rasûlullah (s.a.v.) şöyle buyurdu: “Cuma gecesi gecenin son üçte birinde kalkmaya gücün yeterse bu saat meleklerin hazır bulundukları bir saattir bu saatte duâ kabul edilir. Kardeşim Yakup Nebi de çocuklarına: “İleride sizin için rabbime duâ edeceğim” (Yusuf sûresi: 98) demişti ki bu Cuma gecesine gelince demektir. Eğer buna gücün yetmezse gecenin yarısında kalk, şayet buna da gücün yetmezse gecenin başlangıcında kalkıp dört rekat namaz kıl. Birinci rekatta fatiha ile birlikte Yasin sûresini oku ikinci rekatta, Hâ mim, Duhan sûresini oku. Üçüncü rekatta ise Fatiha ve Elif lam mim Secde sûresini oku dördüncü rekatta ise Fatiha ile birlikte Tebareke sûresini okursun. Teşehhüdü bitirdiğin vakit Allah’a hamdeyle Allah’a en güzel şekilde senada bulun bana da salevatı güzel bir şekilde getir. Sonra tüm Nebilere de salevat getir. Sonra tüm mü’min erkekler ve kadınları bağışlanma talebinde bulun ve senden önce gelip geçen tüm imanlı kardeşlerin için bağışlanma isteğinde bulun bunlardan sonra da şöyle söyle: Allah’ım hayatta bıraktığın sürece beni kötülüklere bulaştırma bana acı. Beni ilgilendirmeyen şeylere özenmekten beni esirge. Razı olduğun şeylere eğilmeyi bana nasib et. Allah’ım ey gökleri ve yeri eşsiz benzersiz yaratan ey Celal ve ikram sahibi! Ey Allah’ım! Erişilmez güç sahibi Sensin. Ey Rahman olan Allah’ım, Ey Allah’ım senin celalin için isterim. Yüzünün nuru için öğrettiğin şekilde Kur’ân-ı bana ezberletmeni isterim. Seni benden razı edecek şekilde O kitabı okumayı bana nasib et. Göklerin ve yerin eşsiz ve benzersiz yaratıcısı Allah’ım, Celal, ikram ve İzzet sahibi Allah’ım senin gücüne hiçbir güç erişemez. Ey Allah’ım, Ey Rahman olan senin celalinle yüzünün nuru ile ve senin kitabınla gözümü aydınlatmanı isterim. Dilimi onunla söyletmeni, kalbimdeki sıkıntıyı onunla gidermeni gönlümü onunla açmanı bedenimi onunla tamir etmeni isterim nitekim hak uğrunda bana senden başkası yardım etmez ve hakkı sadece sen verirsin senden başka güç kuvvet yoktur, ancak sen varsın sen büyüksün ve ulusun. Ey Ebû’l Hasen bunu üç veya beş veya yedi Cuma yapacak olursan Allah’ın izniyle duân mutlaka kabul edilecektir. Beni hak ile gönderen Allah’a yemin ederim ki bu duâ mü’minden hiçbir zaman şaşmamıştır. Abdullah b. Abbâs dedi ki: Vallahi Ali beş veya yedi Cuma geçtikten sonra böyle bir toplantıda Rasûlullah (s.a.v.)’e geldi ve Ey Allah’ın Rasûlü bundan önce ancak dört ayet kadar ezberlemekte idim ondan fazlası benden sıyrılır yok olur giderdi. Bugün kırk ayet kadar ezberliyor ve bunları okurken sanki kitap gözlerimin önünde gibidir. Nitekim bir hadis dinlerdim onu başkasına aktaracağım zaman benden kaybolur giderdi. Bugün ise hadisler işitiyorum ve onları bir başkasına aktardığım zaman bir harf bile eksik etmeden anlatabiliyorum. Bunun üzerine Rasûlullah (s.a.v.) şöyle buyurdu: Ey Ebû’l Hasen Ka’be’nin Rabbine andolsun ki sen gerçek bir mü’minsin.”

Urdu

عبداللہ بن عباس رضی الله عنہما کہتے ہیں کہ اس دوران کہ ہم رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس تھے کہ اسی دوران علی رضی الله عنہ آپ صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس آئے اور آ کر عرض کیا: میرے ماں باپ آپ پر قربان، یہ قرآن تو میرے سینے سے نکلتا جا رہا ہے، میں اسے محفوظ نہیں رکھ پا رہا ہوں، رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: ”ابوالحسن! کیا میں تمہیں ایسے کلمے نہ سکھا دوں کہ جن کے ذریعہ اللہ تمہیں بھی فائدہ دے اور انہیں بھی فائدہ پہنچے جنہیں تم یہ کلمے سکھاؤ؟ اور جو تم سیکھو وہ تمہارے سینے میں محفوظ رہے“، انہوں نے کہا: جی ہاں، اے اللہ کے رسول! آپ ہمیں ضرور سکھائیے، آپ نے فرمایا: ”جب جمعہ کی رات ہو اور رات کے آخری تہائی حصے میں تم کھڑے ہو سکتے ہو تو اٹھ کر اس وقت عبادت کرو کیونکہ رات کے تیسرے پہر کا وقت ایسا وقت ہوتا ہے جس میں فرشتے بھی موجود ہوتے ہیں، اور دعا اس وقت مقبول ہوتی ہے، میرے بھائی یعقوب علیہ السلام نے بھی اپنے بیٹوں سے کہا تھا: «سوف أستغفر لكم ربي» یعنی میں تمہارے لیے اپنے رب سے مغفرت طلب کروں گا، آنے والی جمعہ کی رات میں، اگر نہ اٹھ سکو تو درمیان پہر میں اٹھ جاؤ، اور اگر درمیانی حصے ( پہر ) میں نہ اٹھ سکو تو پہلے پہر ہی میں اٹھ جاؤ اور چار رکعت نماز پڑھو، پہلی رکعت میں سورۃ فاتحہ اور سورۃ یٰسین پڑھو، دوسری رکعت میں سورۃ فاتحہ اور حم دخان اور تیسری رکعت میں سورۃ فاتحہ اور الم تنزیل السجدہ اور چوتھی رکعت میں سورۃ فاتحہ اور تبارک ( مفصل ) پڑھو، پھر جب تشہد سے فارغ ہو جاؤ تو اللہ کی حمد بیان کرو اور اچھے ڈھنگ سے اللہ کی ثناء بیان کرو، اور مجھ پر صلاۃ ( درود ) بھیجو، اور اچھے ڈھنگ سے بھیجو اور سارے نبیوں صلاۃ پر ( درود ) بھیجو اور مومن مردوں اور مومنہ عورتوں کے لیے مغفرت طلب کرو، اور ان مومن بھائیوں کے لیے بھی مغفرت کی دعا کرو، جو تم سے پہلے اس دنیا سے جا چکے ہیں، پھر یہ سب کر چکنے کے بعد یہ دعا پڑھو: «اللهم ارحمني بترك المعاصي أبدا ما أبقيتني وارحمني أن أتكلف ما لا يعنيني وارزقني حسن النظر فيما يرضيك عني اللهم بديع السموات والأرض ذا الجلال والإكرام والعزة التي لا ترام أسألك يا ألله يا رحمن بجلالك ونور وجهك أن تلزم قلبي حفظ كتابك كما علمتني وارزقني أن أتلوه على النحو الذي يرضيك عني اللهم بديع السموات والأرض ذا الجلال والإكرام والعزة التي لا ترام أسألك يا ألله يا رحمن بجلالك ونور وجهك أن تنور بكتابك بصري وأن تطلق به لساني وأن تفرج به عن قلبي وأن تشرح به صدري وأن تغسل به بدني فإنه لا يعينني على الحق غيرك ولا يؤتيه إلا أنت ولا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم» ”اے اللہ! مجھ پر رحم فرما اس طرح کہ جب تک تو مجھے زندہ رکھ میں ہمیشہ گناہ چھوڑے رکھوں، اے اللہ! تو مجھ پر رحم فرما اس طرح کہ میں لا یعنی چیزوں میں نہ پڑوں، جو چیزیں تیری رضا و خوشنودی کی ہیں انہیں پہچاننے کے لیے مجھے حسن نظر ( اچھی نظر ) دے، اے اللہ! آسمانوں اور زمینوں کے پیدا کرنے والے، ذوالجلال ( رعب و داب والے ) اکرام ( عزت و بزرگی والے ) ایسی عزت و مرتبت والے کہ جس عزت کو حاصل کرنے و پانے کا کوئی قصد و ارادہ ہی نہ کر سکے، اے اللہ! اے بڑی رحمت والے میں تیرے جلال اور تیرے تابناک و منور چہرے کے وسیلہ سے تجھ سے مانگتا ہوں کہ تو میرے دل کو اپنی کتاب ( قرآن پاک ) کے حفظ کے ساتھ جوڑ دے، جیسے تو نے مجھے قرآن سکھایا ہے ویسے ہی میں اسے یاد و محفوظ رکھ سکوں، اور تو مجھے اس بات کی توفیق دے کہ میں اس کتاب کو اسی طریقے اور اسی ڈھنگ سے پڑھوں جو تجھے مجھ سے راضی و خوش کر دے، اے اللہ! آسمانوں اور زمین کے پیدا کرنے والے، ( جاہ ) و جلال اور بزرگی والے اور ایسی عزت والے جس عزت کا کوئی ارادہ ( تمنا اور خواہش ) ہی نہ کر سکے، اے اللہ! اے رحمن تیرے جلال اور تیرے چہرے کے نور کے وسیلہ سے تجھ سے مانگتا ہوں کہ تو اپنی کتاب کے ذریعہ میری نگاہ کو منور کر دے ( مجھے کتاب الٰہی کی معرفت حاصل ہو جائے، اور میری زبان بھی اسی کے مطابق چلے، اور اسی کے ذریعہ میرے دل کا غم دور کر دے، اور اس کے ذریعہ میرا سینہ کھول دے ( میں ہر اچھی و بھلی بات کو سمجھنے لگوں ) اور اس کے ذریعہ میرے بدن کو دھو دے ( میں پاک و صاف رہنے لگوں ) کیونکہ میرے حق پر چلنے کے لیے تیرے سوا کوئی اور میری مدد نہیں کر سکتا، اور نہ ہی کوئی تیرے سوا مجھے حق دے سکتا ہے اور اللہ جو برتر اور عظیم ہے اس کے سوا برائیوں سے پلٹنے اور نیکیوں کو انجام دینے کی توفیق کسی اور سے نہیں مل سکتی“۔ اے ابوالحسن! ایسا ہی کرو، تین جمعہ، پانچ جمعہ یا سات جمعہ تک، اللہ کے حکم سے دعا قبول کر لی جائے گی، اور قسم ہے اس ذات کی جس نے مجھے حق کے ساتھ بھیجا ہے، اس کو پڑھ کر کوئی مومن کبھی محروم نہ رہے گا، عبداللہ بن عباس رضی الله عنہما کہتے ہیں: قسم اللہ کی! علی رضی الله عنہ پانچ یا سات جمعہ ٹھہرے ہوں گے کہ وہ پھر رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کی خدمت میں ایک ایسی ہی مجلس میں حاضر ہوئے اور آ کر عرض کیا: اللہ کے رسول! میں اس سے پہلے چار آیتیں یا ان جیسی دو ایک آیتیں کم و بیش یاد کر پاتا تھا، اور جب انہیں دل میں آپ ہی آپ دہراتا تھا تو وہ بھول جاتی تھیں، اور اب یہ حال ہے کہ میں چالیس آیتیں سیکھتا ہوں یا چالیس سے دو چار کم و بیش، پھر جب میں انہیں اپنے آپ دہراتا ہوں تو مجھے ایسا لگتا ہے تو ان کتاب اللہ میری آنکھوں کے سامنے کھلی ہوئی رکھی ہے ( اور میں روانی سے پڑھتا چلا جاتا ہوں ) اور ایسے ہی میں اس سے پہلے حدیث سنا کرتا تھا، پھر جب میں اسے دہراتا تو وہ دماغ سے نکل جاتی تھی، لیکن آج میرا حال یہ ہے کہ میں حدیثیں سنتا ہوں پھر جب میں انہیں بیان کرتا ہوں تو ان میں سے ایک حرف بھی کم نہیں کرتا، رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے اس موقع پر ارشاد فرمایا: ”قسم ہے رب کعبہ کی! اے ابوالحسن تم مومن ہو“۔ امام ترمذی کہتے ہیں: یہ حدیث حسن غریب ہے، ہم اسے صرف ولید بن مسلم کی روایت سے جانتے ہیں۔