Arabic

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ ذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَأَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهَا إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنْ سَجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ فَكَبَّرَ وَيَقُولُ حِينَ يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بَعْدَ التَّكْبِيرِ ‏"‏ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَأَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ وَلاَ مَلْجَأَ إِلاَّ إِلَيْكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ يَقْرَأُ فَإِذَا رَكَعَ كَانَ كَلاَمُهُ فِي رُكُوعِهِ أَنْ يَقُولَ ‏"‏ اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي خَشَعَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏"‏ ‏.‏ فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ يُتْبِعُهَا ‏"‏ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ‏"‏ ‏.‏ وَإِذَا سَجَدَ قَالَ فِي سُجُودِهِ ‏"‏ اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ ‏"‏ ‏.‏ وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ ‏"‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ الشَّافِعِيِّ وَبَعْضِ أَصْحَابِنَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَحْمَدُ لاَ يَرَاهُ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ يَقُولُ هَذَا فِي صَلاَةِ التَّطَوُّعِ وَلاَ يَقُولُهُ فِي الْمَكْتُوبَةِ ‏.‏ سَمِعْتُ أَبَا إِسْمَاعِيلَ التِّرْمِذِيَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يُوسُفَ يَقُولُ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ الْهَاشِمِيَّ يَقُولُ وَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ هَذَا عِنْدَنَا مِثْلُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏
حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا سليمان بن داود الهاشمي، حدثنا عبد الرحمن بن ابي الزناد، عن موسى بن عقبة، عن عبد الله بن الفضل، عن عبد الرحمن الاعرج، عن عبيد الله بن ابي رافع، عن علي بن ابي طالب، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه كان اذا قام الى الصلاة المكتوبة رفع يديه حذو منكبيه ويصنع ذلك ايضا اذا قضى قراءته واراد ان يركع ويصنعها اذا رفع راسه من الركوع ولا يرفع يديه في شيء من صلاته وهو قاعد واذا قام من سجدتين رفع يديه كذلك فكبر ويقول حين يفتتح الصلاة بعد التكبير " وجهت وجهي للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ان صلاتي ونسكي ومحياى ومماتي لله رب العالمين لا شريك له وبذلك امرت وانا من المسلمين اللهم انت الملك لا اله الا انت سبحانك انت ربي وانا عبدك ظلمت نفسي واعترفت بذنبي فاغفر لي ذنوبي جميعا انه لا يغفر الذنوب الا انت واهدني لاحسن الاخلاق لا يهدي لاحسنها الا انت واصرف عني سييها لا يصرف عني سييها الا انت لبيك وسعديك وانا بك واليك ولا منجا منك ولا ملجا الا اليك استغفرك واتوب اليك " . ثم يقرا فاذا ركع كان كلامه في ركوعه ان يقول " اللهم لك ركعت وبك امنت ولك اسلمت وانت ربي خشع سمعي وبصري ومخي وعظمي لله رب العالمين " . فاذا رفع راسه من الركوع قال " سمع الله لمن حمده " . ثم يتبعها " اللهم ربنا ولك الحمد ملء السموات والارض وملء ما شيت من شيء بعد " . واذا سجد قال في سجوده " اللهم لك سجدت وبك امنت ولك اسلمت وانت ربي سجد وجهي للذي خلقه وشق سمعه وبصره تبارك الله احسن الخالقين " . ويقول عند انصرافه من الصلاة " اللهم اغفر لي ما قدمت وما اخرت وما اسررت وما اعلنت انت الهي لا اله الا انت " . قال هذا حديث حسن صحيح . والعمل على هذا عند الشافعي وبعض اصحابنا . قال ابو عيسى واحمد لا يراه وقال بعض اهل العلم من اهل الكوفة وغيرهم يقول هذا في صلاة التطوع ولا يقوله في المكتوبة . سمعت ابا اسماعيل الترمذي محمد بن اسماعيل بن يوسف يقول سمعت سليمان بن داود الهاشمي يقول وذكر هذا الحديث فقال هذا عندنا مثل حديث الزهري عن سالم عن ابيه

Bengali

। আলী ইবনু আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয নামাযে দাড়াতেন তখন তার হাত দুইখানি তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন। যখন তিনি কিরাআত সমাপ্ত করতেন (রুকূতে যাওয়া ইচ্ছা করতেন) তখনও পুনরায় একই রকম করতেন (দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন), আবার যখন রুকূ’ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একই রকম করতেন। কিন্তু বসা অবস্থায় তার নামাযে কোথাও তিনি তার দু'হাত উঠাতেন না। তারপর তিনি দুই সিজদা্ সেরে (দুই রাকাআত শেষে) যখন উঠে দাড়াতেন তখনও তাকবীর পাঠ করে তার দুই হাত তুলতেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমার পর নামায আরম্ভ হতেই বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি তার দিকে আমার চেহারা প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)। আমার নামায, আমার ইবাদাত, আমার প্রাণ ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা'আলার উদ্দেশে। তার কোন শারীক নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”— (সূরা আন’আম ১৬২-১৬৩)। “হে আল্লাহ! তুমিই রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নেই। তুমি পবিত্র, তুমি আমার মনিব এবং আমি তোমার দাস। আমার সত্তার উপর আমি যুলম করেছি এবং আমার কৃত অন্যায় আমি স্বীকার করেছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও। তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত কর। তুমি ব্যতীত আর কেউ সেই উত্তম পথে পরিচালিত করতে পারে না। তুমি আমার হতে খারাপকে দূরে সরিয়ে দাও। তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে খারাপকে দূরীভূত করতে পারে না। আমি তোমার সামনে উপস্থিত আছি। সৌভাগ্য তোমার অধিকারে, তোমার জন্যই আমি এবং তোমার দিকেই আমি ফিরে আসি। তোমার শাস্তি হতে মুক্তি লাভের সাধ্য কারোর নেই এবং তোমার হতে পালিয়ে থাকার আশ্রয়ও নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি"। তারপর তিনি কিরআত পাঠ করতেন। তিনি যখন রুকূ’তে যেতেন তখন রুকূতে এই কথা বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার উদ্দেশে আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক ও আমার হাড় বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা'আলার ভয়ে ভীত"। তিনি রুকু হতে মাথা তুলে বলতেনঃ “কেউ আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা করলে তিনি তা শুনেন"। এর সঙ্গে তিনি আরো বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু! সকল আকাশ ও যামীন পরিপূর্ণ এবং এরপরও তোমার ইচ্ছানুসারে পরিপূর্ণ প্রশংসা তোমার জন্য”। তিনি সিজদাতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার উদ্দেশে আমি সিজদা করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। সেই মহান সত্তার জন্য আমার চেহারা সিজদা করেছে যিনি তা তৈরী করেছেন এবং তা ভেদ করে তাতে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা'আলা কত বারাকাতময়"। তিনি নামায শেষ করে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ এবং আমি যা কিছু লুকায়িত ও প্রকাশ্যে করেছি তাও। তুমিই আমার মা’বুদ, তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নেই"। হাসান সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ৭২৯)। আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস মতো ইমাম শাফিঈ ও আমাদের কিছু আলিম আমল করেন। ইমাম আহমাদ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করা প্রয়োজন মনে করেন না। কুফার অধিবাসী কিছু আলিম ও অপর আলিমগণ বলেন, এসব দু'আ নফল নামাযে পাঠ করবে, ফরয নামাযে নয়। আবূ ইসমাঈল আত-তিরমিয়ী (মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল ইবনু ইউসুফ)-কে আমি বলতে শুনেছি, এ হাদীস আমি সুলাইমান ইবনু দাউদ আল-হাশিমীকে উল্লেখপূর্বক বলতে শুনেছি, এ হাদীস আমাদের কাছে যুহরী-সালিম হতে তার বাবার সনদে বর্ণিত হাদীসের মতোই।

English

Ali bin Abi Talib narrated that :when the Messenger of Allah would stand for the obligatory prayer, he would raise his hands to the level of his shoulder, and he would do this [also] when he finished his recitation and intended to bow, and he would do it when he raised his head from Ruku`, and he would not raise his hands in any of his prayers while he was seated. When he would rise from the two prostrations, he would likewise raise his hands, and say the Takbir, and when he opened his Salat after the Takbir, he would say: “I have directed my face towards the One who has created the heavens and the earth, as a Hanif, and I am not of the idolaters. Indeed, my Salat, my sacrifice, my living, my dying, is for Allah, the Lord of all that exists, without partner, and with this have I been ordered and I am of the Muslims. O Allah, You are the King, there is none worthy of worship except You. Glorified are You, You are My Lord, and I am Your slave, I have wronged myself and I admit to my sin, so forgive me all my sins, verily, there is none who forgives sins but You, and guide me to the best of manners, none guides to the best of them except You, and turn away from me the evil of them, none turns away from me the evil of them except You, I am here in Your obedience and aiding Your cause, and I am reliant upon You and ever-turning towards You, [and] there is no refuge from You nor hiding place from You except (going) to You, I seek Your forgiveness, and I repent to you (Wajjahtu wajhiya lilladhī faṭaras-samāwāti wal-arḍa ḥanīfan wa mā ana min al-mushrikīn, inna ṣalātī wa nusukī wa maḥyāya wa mamātī lillāhi rabbil-`ālamīn, lā sharīka lahū wa bidhālika umirtu wa ana min al-muslimīn. Allāhumma antal-maliku lā ilāha illā ant, subḥānaka anta rabbī, wa ana `abduka ẓalamtu nafsī wa`taraftu bidhanbī faghfirlī dhunūbī jamī`an, innahū lā yaghfir adh-dhunūba illā ant. Wahdinī li-aḥsanil-akhlāqi lā yahdī li-aḥsanihā illā ant. Waṣrif `annī sayyi’ahā lā yaṣrifu `annī sayyi’aha illā ant. Labaika wa sa`daika, wa ana bika wa ilaika, [wa] lā manjā minka wa lā malja’a illā ilaik, astaghfiruka wa atūbu ilaik).” Then he would recite, then when he would bow, his speech in his Ruku`, would be to say: “O Allah, to You have I bowed, and in You have I believed, and to You have I submitted (in Islam), and You are my Lord. My hearing, my sight, my brain and my bones are humbled to Allah, the Lord of the Worlds all that exists (Allāhumma laka raka`tu wa bika āmantu wa laka aslamtu wa anta rabb ī. Khasha`a sam`ī wa baṣarī wa mukhkhī wa `aẓmī lillāhi, rabbil-`ālamīn).” Then, when he raised his head from Ruku he would say: “Allah hears the one who praises him (Sami`a Allāhu liman ḥamidah).” Then he would follow it with: “O Allah, our Lord, to You is praise filling the heavens and the earth and filling whatever You wish of things afterward (Allāhumma rabbanā wa lakal-ḥamdu mil’as-samāwāti wal-arḍi, wa mil’a mā shi’ta min shay’in ba`d.).” Then, when prostrated he would say in his prostration: “O Allah, to You have I prostrated, and in You have I believed, and to You have I submitted (in Islam), and You are my Lord, my face has prostrated to the One that created it, and granted its hearing and sight, Blessed is Allah, the Best of Creators (Allāhumma laka sajadtu wa bika āmantu wa laka aslamtu wa anta rabbī, sajada wajhi lilladhī khalaqahū wa shaqqa sam`ahū wa baṣarahū, tabārak Allāhu ahsanul-khāliqīn).” When he was finished with his Salat, we would say: “O Allah, forgive me what I have done, before and after, and what I have hidden, and what I have done openly, and You are my Deity, there is none worthy of worship except You (Allāhummaghfirlī mā qaddamtu wa mā akhkhartu wa mā asrartu wa mā a`lantu, wa anta ilāhī lā ilāha illā ant).”

Indonesian

Telah menceritakan kepada kami [Al Hasan bin Ali Al Khallal] telah menceritakan kepada kami [Sulaiman bin Daud Al Hasyimi] telah menceritakan kepada kami [Abdur Rahman bin Abu Az Zinad]? dari [Musa bin 'Uqbah]? dari [Abdullah bin Al Fadhl]? dari [Abdur Rahman Al A'raj]? dari ['Ubaidullah bin Abu Rafi']? dari [Ali bin Abu Thalib] dari Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bahwa beliau apabila bangkit untuk melakukan shalat wajib, beliau mengangkat kedua tangannya sejajar dengan kedua pundaknya, dan melakukan hal tersebut juga apabila telah menyelesaikan bacaannya dan hendak melakukan ruku', dan beliau melakukannya apabila mengangkat kepalanya dari ruku'. Dan beliau tidak mengangkat kedua tangannya dalam shalatnya sementara beliau dalam keadaan duduk. Apabila berdiri dari dua sujud beliau mengangkat kedua tangannya juga dan bertakbir. Ketika membuka shalat setelah takbir beliau mengucapkan: WAJJAHTU WAJHIYA LILLADZII FATHARAS SAMAAWAATI WAL ARDHA WA MAA ANA MINAL MUSYRIKIIN. INNA SHALAATII WA NUSUKII WA MAHYAAYA WA MAMAATII LILLAAHI RABBIL 'AALAMIINA LAA SYARIIKALAHU WA BIDZAALIKA UMIRTU WA ANA MINAL MUSLIMIIN. ALLAAHUMMA ANTAL MALIKU LAA ILAAHA ILLAA ANTA SUBHAANAKA, ANTA RABBII, WA ANA 'ABDUKA, ZHALAMTU NAFSII WA'TARAFTU BIDZANBII FAGHFIR LII DZUNUUBII JAMII'AN INNAHU LAA YAGHFIRUDZ DZUNUUBA ILLAA ANTA WAHDINII LIAHSANIL AKHLAAQI, LAA YAHDII LIAHSANIHAA ILLAA ANTA WASHRIF 'ANNII SAYYIAHAA, LAA YASHRIFU 'ANNII SAYYIAHAA ILLAA ANTA, LABBAIKA WA SA'DAIKA ANA BIKA WA ILAIKA WA LAA MANJAA WA LAA MALJA-A ILLAA ILAIKA. ASTAGHFIRUKA WA ATUUBU ILAIK." (Aku arahkan wajahku kepada Dzat yang telah menciptakan langit dan bumi dan aku bukan termasuk orang-orang yang berbuat syirik. Sesungguhnya shalatku, dan sembelihanku serta kehidupan dan matiku adalah untuk Allah Tuhan semesta alam, tidak ada sekutu bagiNya dan karena itu aku diperintahkan dan aku termasuk orang-orang yang berserah diri. Ya Allah, Engkau adalah Raja, tidak ada tuhan yang berhak disembah kecuali Engkau, Maha Suci Engkau, Engkau adalah Tuhanku, dan aku adalah hambaMu. Aku telah menzhalimi diriku dan aku telah mengakui dosaku, maka ampunilah dosa-dosaku semua, karena sesungguhnya tidak ada yang dapat mengampuni dosa kecuali Engkau. Dan berilah aku petunjuk untuk berakhlak yang terpuji, tidak ada yang dapat memberi petunjuk untuk berakhlak terpuji kecuali Engkau. Aku memenuhi panggilanMu, aku memohon pertolonganMu dan berlindung kepadaMu, dan tidak ada tempat keselamatan serta tempat berlindung kecuali kepadaMu. Aku memohon ampunan kepadaMu dan bertaubat kepadaMu). Kemudian beliau membaca surat dan apabila melakukan ruku' maka ucapannya dalam ruku' adalah: ALLAAHUMMA LAKA RAKA'TU WA BIKA AAMANTU, WA LAKA ASLAMTU, WA ANTA RABBII KHASYA'A SAM'II DARI WA BASHARII, WA MUKHKHII, WA 'AZHMII LILLAAHI RABBIL 'AALAMIIN." Dan apabila beliau mengangkat kepalanya dari ruku' beliau membaca: "SAMI'ALLAHU LIMAN HAMIDAH." (Allah mendengar orang yang memujiNya). Kemudian beliau iringkan dengan ucapan: ALLAAHUMMA RABBANAA WALAKAL HAMDU MIL-AS SAMAAWAATI WAL ARDHI WA MIL-A MAA SYI`TA MIN SYAI-IN BA'DU " (Ya, Allah Tuhan kami, segala puji bagiMu sepenuh langit dan bumi dan sepenuh apa yang Engkau kehendaki setelah itu). Dan apabila bersujud beliau dalam sujudnya mengucapkan: ALLAAHUMMA LAKA SAJADTU WA BIKA AAMANTU WA LAKA ASLAMTU, WA ANTA RABBII, SAJADA WAJHII LILLADZII KHALAQAHU WA SYAQQA SAM'AHU WA BASHARAHU, TABAARAKALLAAHU AHSANUL KHAALIQIIN " (Ya Allah, kepadaMu aku bersujud, dan kepadaMu aku beriman, dan kepadaMu aku berserah diri, dan Engkau adalah Tuhanku. Wajahku bersujud kepada Dzat yang telah menciptakannya, dan membuka pendengaran serta penglihatannya. Maka Suci Allah sebaik-baik Pencipta). Dan ketika berpaling dari shalat beliau mengucapkan: "ALLAAHUMMAGHFIR LII MAA QADDAMTU WA MAA AKHKHARTU WA MAA ASRARTU WA MAA A'LANTU, ANTA ILAAHII, LAA ILAAHA ILLAA ANTA." (Ya Allah, ampunilah dosa yang telah aku lakukan dan yang aku tunda, yang aku sembunyikan dan yang aku nampakkan. Engkau adalah Tuhan Sesembahanku, tidak ada tuhan yang berhak disembah kecuali Engkau). Abu Isa berkata; hadits ini adalah hadits hasan shahih. dan hadits ini di amalkan menurut pendapat Asy Syafi'i serta sebagian sahabat kami, sementara Ahmad tidak berpendapat seperti itu. Sebagian ulama dari kalangan penduduk Kufah, dan selain mereka berpendapat; hal ini terdapat dalam shalat sunnah, dan beliau tidak membacanya dalam shalat sunnah. Saya mendengar Abu Isma'il yaitu At Tirmidzi Muhammad bin Isma'il bin Yusuf berkata; saya mendengar Sulaiman bin Daud Al Hasyimi berkata, dan iapun menyebutkan hadits ini, dan berkata; hal ini menurut kami seperti hadits Az Zuhri? dari Salim dari ayahnya

Turkish

Ali b. ebî Tâlib (r.a.)’den rivâyet edilmiştir: Rasûlullah (s.a.v.), farz namazı kılmak için kalktığında ellerini omuz hizasına kadar kaldırır, okumasını bitirince aynı şekilde ellerini omuz hizasına kadar kaldırırdı. Rükû’dan kalktığı zaman da aynısını yapardı. Oturduğu anda hiçbir şekilde elini kaldırmazdı iki secdeyi yaptıktan sonra kıyama kalkacağında aynı şekilde ellerini kaldırır ve tekbir alırdı. Tekbirden sonra namaza başlarken şu duâ ile başlardı: “Yüzümü gökleri ve yeri yaratan Allah’a samimi olarak yönelttim ben müşriklerden değilim. Benim namazım tüm kulluğum hayatım ve ölümüm alemlerin rabbi olan Allah içindir. Onun hiçbir ortağı yoktur. Ben böyle söylemek ve yaşamakla emrolundum ve ben Müslümanlardanım. Allah’ım sen gerçek hükümdarsın. Senden başka gerçek ilah yoktur ancak sen varsın seni her türlü eksiklikten tenzih ederim. Benim Rabbim sensin ben senin kulunum benliğime zulmettim. Günahımı itiraf ediyorum. Günahlarımın tümünü bağışla çünkü senden başka günahları bağışlayacak kimse yoktur. Beni en güzel ahlaka yönelt senden başka güzel ahlaka yöneltecek yoktur. Kötülükleri benden uzaklaştır, senden başka kötülükleri uzaklaştıracak yoktur. Her türlü emrine hazır vaziyetteyim senden başkasına kul köle olmam ben senin sayende varım ve sana dönmüşüm senden kurtuluş ve kaçış ancak sana dönmekle mümkündür. Senden bağışlanmamı ister ve sana yönelirim.” Sonra Kur’ân’dan dilediği kadar okurdu. Rükû’a vardığında ise şöyle derdi: “Allah’ım sadece senin önünde eğilirim, Sana iman eder irademi sana teslim ederim Sen benim hayatımı programa alansın. Kulağım gözüm iliklerim ve kemiklerim sana olan sevgi ve korku ile saygı halindedir. Sen tüm âlemlerin rabbisin.” Rukû’dan başını kaldırdığında ise şöyle derdi: “Allah, kendisini öven ve hamdeden kimsenin bu sözünü de diğer tüm sözlerini işittiği gibi işitti ve işitmektedir” der ve şunu ilave ederdi: “Allah’ım, Ey Rabbimiz! Gökleri ve yer dolusu ve dilediğin şeyler dolusu kadar hamd sanadır.” Secdeye vardığında ise: “Ey Allah’ım sadece sana secde ederim sana inanırım irademi sana teslim ederim. Benim Rabbim sensin yüzüm beni yaratan bana göz kulak verene secde etti. her şeyi en güzel şekliyle yaratan Allah güzellerin güzeli ve ne mübarektir.” Namazını bitirip namazdan ayrılacağında ise şöyle derdi: “Allah’ım öne alıp işlediğimi ve ertelediğimi gizli ve açık olarak yaptığım tüm günahlarımı bağışla. Benim gerçek ilahım sensin, senden başka gerçek ilah yoktur.”

Urdu

علی بن ابی طالب رضی الله عنہ سے روایت ہے کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم جب فرض نماز پڑھنے کھڑے ہوتے تھے تو اپنے دونوں ہاتھ اپنے دونوں کندھوں کے برابر اٹھاتے ( رفع یدین کرتے ) ، اور ایسا اس وقت بھی کرتے تھے جب اپنی قرأت پوری کر لیتے تھے اور رکوع کا ارادہ کرتے تھے، اور ایسا ہی کرتے تھے جب رکوع سے سر اٹھاتے تھے ۱؎، بیٹھے ہونے کی حالت میں اپنی نماز کے کسی حصے میں بھی رفع یدین نہ کرتے تھے، پھر جب دونوں سجدے کر کے کھڑے ہوتے تو اپنے دونوں ہاتھ اٹھاتے اسی طرح، پھر تکبیر ( اللہ اکبر ) کہتے اور نماز شروع کرتے وقت تکبیر ( تحریمہ ) کے بعد پڑھتے: «وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفا وما أنا من المشركين إن صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي لله رب العالمين لا شريك له وبذلك أمرت وأنا من المسلمين اللهم أنت الملك لا إله إلا أنت سبحانك أنت ربي وأنا عبدك ظلمت نفسي واعترفت بذنبي فاغفر لي ذنوبي جميعا إنه لا يغفر الذنوب إلا أنت واهدني لأحسن الأخلاق لا يهدي لأحسنها إلا أنت واصرف عني سيئها لا يصرف عني سيئها إلا أنت لبيك وسعديك أنا بك وإليك ولا منجا ولا ملجأ إلا إليك أستغفرك وأتوب إليك» ( یہ دعا پڑھنے کے بعد ) پھر قرأت کرتے، رکوع میں جاتے، رکوع میں آپ یہ دعا پڑھتے: «اللهم لك ركعت وبك آمنت ولك أسلمت وأنت ربي خشع سمعي وبصري ومخي وعظمي لله رب العالمين» پھر جب آپ اپنا سر رکوع سے اٹھاتے تو کہتے: «سمع الله لمن حمده»،‏‏‏‏ «سمع الله لمن حمده» کہنے کے فوراً بعد آپ پڑھتے: «اللهم ربنا ولك الحمد ملء السموات والأرض وملء ما شئت من شيء» اس کے بعد جب سجدہ کرتے تو سجدوں میں پڑھتے: «اللهم لك سجدت وبك آمنت ولك أسلمت وأنت ربي سجد وجهي للذي خلقه وشق سمعه وبصره تبارك الله أحسن الخالقين» ۔ اور جب نماز سے سلام پھیرنے چلتے تو ( سلام پھیرنے سے پہلے ) پڑھتے: «اللهم اغفر لي ما قدمت وما أخرت وما أسررت وما أعلنت أنت إلهي لا إله إلا أنت» ۔ امام ترمذی کہتے ہیں: ۱- یہ حدیث حسن صحیح ہے، ۲- اور اسی پر عمل ہے امام شافعی اور ہمارے بعض اصحاب کا، ۳- امام احمد بن حنبل ایسا خیال نہیں رکھتے، ۴- اہل کوفہ اور ان کے علاوہ کے بعض علماء کا کہنا ہے کہ آپ صلی اللہ علیہ وسلم انہیں نفلی نمازوں میں پڑھتے تھے نہ کہ فرض نمازوں میں ۲؎ ۳- میں نے ابواسماعیل ترمذی محمد بن اسماعیل بن یوسف کو کہتے ہوئے سنا ہے کہ میں نے سلیمان بن داود ہاشمی کو کہتے ہوئے سنا، انہوں نے ذکر کیا اسی حدیث کا پھر کہا: یہ حدیث میرے نزدیک ایسے ہی مستند اور قوی ہے، جیسے زہری کی وہ حدیث قوی و مستند ہوتی ہے جسے وہ سالم بن عبداللہ سے اور سالم اپنے باپ سے روایت کرتے ہیں۔