Arabic

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سُئِلْتُ عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، فِي إِمَارَةِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ فَقُمْتُ مِنْ مَكَانِي إِلَى مَنْزِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَقِيلَ لِي إِنَّهُ قَائِلٌ فَسَمِعَ كَلاَمِي فَقَالَ لِي ابْنَ جُبَيْرٍ ادْخُلْ مَا جَاءَ بِكَ إِلاَّ حَاجَةٌ قَالَ فَدَخَلْتُ فَإِذَا هُوَ مُفْتَرِشٌ بَرْدَعَةَ رَحْلٍ لَهُ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلاَعِنَانِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ نَعَمْ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ أَحَدَنَا رَأَى امْرَأَتَهُ عَلَى فَاحِشَةٍ كَيْفَ يَصْنَعُ إِنْ تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ قَالَ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ الَّذِي سَأَلْتُكَ عَنْهُ قَدِ ابْتُلِيتُ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَاتِ فِي سُورَةِ النُّورِ ‏:‏ ‏(‏والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ‏)‏ حَتَّى خَتَمَ الآيَاتِ قَالَ فَدَعَا الرَّجُلَ فَتَلاَهُنَّ عَلَيْهِ وَوَعَظَهُ وَذَكَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ فَقَالَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا كَذَبْتُ عَلَيْهَا ‏.‏ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ وَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا وَأَخْبَرَهَا أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ فَقَالَتْ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا صَدَقَ ‏.‏ فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حدثنا هناد، حدثنا عبدة بن سليمان، عن عبد الملك بن ابي سليمان، عن سعيد بن جبير، قال سيلت عن المتلاعنين، في امارة مصعب بن الزبير ايفرق بينهما فما دريت ما اقول فقمت من مكاني الى منزل عبد الله بن عمر فاستاذنت عليه فقيل لي انه قايل فسمع كلامي فقال لي ابن جبير ادخل ما جاء بك الا حاجة قال فدخلت فاذا هو مفترش بردعة رحل له فقلت يا ابا عبد الرحمن المتلاعنان ايفرق بينهما فقال سبحان الله نعم ان اول من سال عن ذلك فلان بن فلان اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله ارايت لو ان احدنا راى امراته على فاحشة كيف يصنع ان تكلم تكلم بامر عظيم وان سكت سكت على امر عظيم قال فسكت النبي صلى الله عليه وسلم فلم يجبه فلما كان بعد ذلك اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال ان الذي سالتك عنه قد ابتليت به فانزل الله هذه الايات في سورة النور : (والذين يرمون ازواجهم ولم يكن لهم شهداء الا انفسهم ) حتى ختم الايات قال فدعا الرجل فتلاهن عليه ووعظه وذكره واخبره ان عذاب الدنيا اهون من عذاب الاخرة فقال لا والذي بعثك بالحق ما كذبت عليها . ثم ثنى بالمراة ووعظها وذكرها واخبرها ان عذاب الدنيا اهون من عذاب الاخرة فقالت لا والذي بعثك بالحق ما صدق . فبدا بالرجل فشهد اربع شهادات بالله انه لمن الصادقين والخامسة ان لعنة الله عليه ان كان من الكاذبين ثم ثنى بالمراة فشهدت اربع شهادات بالله انه لمن الكاذبين والخامسة ان غضب الله عليها ان كان من الصادقين ثم فرق بينهما . وفي الباب عن سهل بن سعد قال وهذا حديث حسن صحيح

Bengali

। সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মুস’আব ইবনুয যুবাইরের শাসনামলে আমাকে লি’আনকারী দম্পত্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলঃ তাদেরকে পৃথক করে দিতে হবে কি না? আমি এর কি উত্তর দিব তা বুঝতে পাচ্ছিলাম না। আমি আমার ঘর হতে উঠে 'আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ)-এর ঘরের দিকে রওনা হলাম। আমি তার নিকট প্রবেশ করার অনুমতি চাইলাম। আমাকে বলা হল, তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। তিনি আমার আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন, ইবনু জুবাইর! ভিতরে এসো। নিশ্চয়ই তুমি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে এসেছ। তিনি বলেন, আমি ভিতরে ঢুকলাম। তিনি তার হাওদার চাটাই বিছিয়ে উহার উপর শুয়ে ছিলেন। আমি বললাম, হে আবূ আবদুর রহমান! লি আনকারী স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ করে দিতে হবে কি? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! হ্যাঁ। অমুকের ছেলে অমুকই এ সম্পর্কে সর্বপ্রথম প্রশ্ন করেছিল। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি মত, যদি আমাদের কোন লোক তার স্ত্রীকে অশ্লীল কাজে (ব্যভিচারে) লিপ্ত দেখে তখন সে কি করবে? সে যদি মুখে তা বলে, তবে সে একটা মারত্মক বিষয়ে (যিনার অপবাদে) মুখ খুলল। আর সে যদি চুপ থাকে তাহলেও সে একটা চরম গৰ্হিত বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখল। বর্ণনাকারী বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন এবং তাকে কিছুই বলল না। লোকটি আবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, ইতোপূর্বে যে বিষয়ে আপনার নিকট জিজ্ঞেস করছিলাম, এখন আমি নিজেই সে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা'আলা সূরা আন-নূরের আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ (অনুবাদ) “আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে যিনার অভিযোগ উত্থাপন করে, অথচ তাদের দলে তারা নিজেরা ব্যতীত আর কোন প্রমাণ নেই, তাদের প্রত্যেকের কথা হবে যে, সে চারবার আল্লাহ তা'আলার নামে শপথ করে বলবে, সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহ তা'আলার আযাব পতিত হোক"(সূরা আন-নূর ৬-৭)। তিনি আয়াতের শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি লোকটিকে ডেকে এ আয়াতগুলো পড়ে শুনান, তাকে ওয়াজ-নাসীহাত করে বুঝান এবং তাকে আরো অবহিত করেন যে, আখিরাতের শাস্তির তুলনায় দুনিয়ার শাস্তি অনেক হালকা ও সহজ। সে বলল, না, সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্য দীন সহকারে পাঠিয়েছেন! আমি তার ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ আনিনি। তারপর তিনি স্ত্রীলোকটিকে ডাকেন, তাকে ওয়াজ-নসীহাত করে শুনান এবং বুঝান যে, আখিরাতের কষ্টের তুলনায় দুনিয়ার কষ্ট খুবই হালকা। স্ত্রীলোকটি বলল, না, সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্য দীন সহ পাঠিয়েছেন। সে সত্য কথা বলেনি। তারপর তিনি পুরুষ লোকটিকে ডাকলেন। সে আল্লাহ তা'আলার নামে শপথ করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত এবং পঞ্চম বারে বলল, সে যদি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে তার উপর আল্লাহ তা'আলার অভিশাপ পতিত হোক। তিনি স্ত্রীলোকটিকেও এভাবে শপথ করান। সে আল্লাহ তা'আলার নামে প্রতিজ্ঞা করে চারবার বলল, সে (স্বামী) মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত এবং পঞ্চম বারে বলল, সে (স্বামী) যদি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে তার (স্ত্রীর) উপর আল্লাহ তা'আলার গযব পতিত হোক। তারপর তিনি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ করে দিলেন। সহীহঃ মুসলিম (২০৬, ২০৭) এ অনুচ্ছেদে সাহল ইবনু সা'দ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

English

Narrated Sa'eed bin Jubair:"I was asked about those who were involved in the case of Li'an and if they are to be separated, during the leadership of Mus'ab bin Az-Zubair. I did not know what to say. So I went to the house of 'Abdullah bin 'Umar and I sought permission to enter. I was told he was taking a nap, but he heard me taking and he said: 'Is it Ibn Jubair? Enter. You would not have come except for a need.'" He said: "So I entered and found him laying on a saddlecloth from his mount. I said: 'O Abu 'Abdur-Rahman! Are those involved in Li'an separated?' He said: 'Glorious is Allah! Yes. The first who asked about hat was so-and-so the son of so-and-so. He came to the Prophet (ﷺ) and said "O Messenger of Allah! If one of us saw his wife committing adultery, what should he do? If he were to say anything, his statement would be a horrible matter, and if he were to remain silent, his silence about the matter would be horrible." He said: 'So the Prophet (ﷺ) remained silent and did not answer him. Afterwards he came to the Prophet (ﷺ) and said: "The one who asked you about it has been tried by it." So Allah revealed these Ayat from Surat An-Nur: 'And those who accuse their wives and have no witnesses except themselves, let the testimony of one of them be four testimonies by Allah (24:6-10)' - until the end of those Ayat. He said: 'So he called for the man and recited the Ayat to him and admonished him, reminded him, and he told him: "Indeed the punishment of the world is less than the punishment of the Hereafter." So he said: "Nay! By the One Who sent you with the Truth! I did not lie about her." Then he (ﷺ) did the same with the woman, admonishing her and reminding her and he told her: "Indeed the punishment of the world is less than the punishment of the Hereafter." She said: "Nay! By the One Who sent you with the Truth! He is not telling the truth.'" "He said: 'So he started with the man: He testified four times, by Allah that he is one of the truthful, and the fifth time that the curse of Allah be upon him if he was one of the liars. Then the same with the woman: She testified four times by Allah, that he was one of the liars, and the fifth time that the wrath of Allah be upon her if he was one of the truthful. Then he separated the two of them

Indonesian

Telah menceritakan kepada kami [Hannad] telah menceritakan kepada kami [Abdah bin Sulaiman] dari [Abdul Malik bin Abu Sulaiman] dari [Sa'ad bin Jubair] berkata: Aku ditanya tentang suami-istri yang bersumpah li'an dimasa kepemimpinan Mush'ab bin Az Zubair, apakah keduanya dipisah, aku tidak tahu apa yang harus aku ucapkan lalu aku beranjak dari tempatku menuju kediaman [Abdullah bin Umar], aku meminta izin masuk. Dikatakan kepadaku: Ia tengah istirahat siang. Ibnu Umar mendengar perkataanku lalu Ibnu Jubair berkata padaku: Silahkan masuk, kau datang pasti ada perlu. Sa'ad berkata: Aku masuk, ternyata ia tengah berbaring di atas alas pelana binatang tunggangan. Aku berkata: Wahai Abu Abdurrahman, suami-istri yang bersumpah lian, apakah keduanya dipisah? Ia menjawab: Subhaanallaah, tentu iya. Orang pertama yang menanyakan hal itu adalah fulan bin fulan. Ia mendatangi nabi Shallallahu 'alaihi wa Salam lalu berkata: Wahai Rasulullah, bagaimana menurut baginda, andai salah seorang diantara kami melihat istrinya melakukan zina, apa yang harus ia lakukan? Bila ia berbicara, ia mengutarakan kasus yang besar, tapi bila diam, ia pun mendiamkan kasus yang besar. Nabi Shallallahu 'alaihi wa Salam diam tidak menjawab. Setelah itu ia mendatangi nabi Shallallahu 'alaihi wa Salam dan berkata: kasus yang aku tanyakan itu menimpaku. Lalu Allah menurunkan ayat-ayat dalam surat An Nuur: "Dan orang-orang yang menuduh isterinya (berzina), padahal mereka tidak ada mempunyai saksi-saksi selain diri mereka sendiri." (An Nuur: 6) hingga akhir ayat-ayat ini. Ibnu Umar berkata: Beliau memanggil orang itu, membacakan ayat-ayat itu padanya, menasehati, mengingatkan dan memberitahunya bahwa siksa dunia lebih ringan dari siksa akhirat. Orang itu berkata: Demi Yang mengutus baginda dengan kebenaran, aku tidak berdusta atasnya. Setelah itu nabi Shallallahu 'alaihi wa Salam mengulang hal serupa pada istrinya, menasehati, mengingatkan dan memberitahunya bahwa siksa dunia lebih ringan dari siksa akhirat. Istrinya berkata: Tidak, demi Yang mengutus baginda dengan kebenaran, ia tidak benar. Lalu Rasulullah Shallallahu 'alaihi wa Salam memulai dari yang lelaki lalu ia bersaksi empat kali atas nama Allah bahwa ia benar dan yang kelimanya adalah laknat Allah atasnya bila ia dusta. Setelah itu dilanjutkan istrinya, ia bersaksi empat kali atas nama Allah bahwa ia dusta dan yang kelima adalah siksa Allah atasnya bila suaminya benar. Setelah itu Rasulullah Shallallahu 'alaihi wa Salam memisahkan keduanya. Dalam hal ini ada hadits serupa dari Sahal bin Sa'id. Abu Isa berkata: Hadits ini hasan shahih

Turkish

Saîd b. Cübeyr (r.a.)’den rivâyete göre, şöyle demiştir: Mus’ab b. Zübeyr’in Irak valiliği döneminde lian yapan karı koca hakkında bunlar birbirinden ayrılması gerekir mi diye bana soruldu. Ben de ne cevap vereceğimi bilemedim. Bulunduğum yerden Mekke’deki Abdullah b. Ömer’in evine gitmek üzere yola çıktım. Mekke’ye vardığımda onun yanına girmek için izin istedim. Bana öğle istirahatı (kaylule) yapmaktadır denildi. Benim sesimi duyunca içeriden kendisi şöyle seslendi: Cübeyr’in oğlu gir, mutlaka seni buraya kadar önemli bir iş getirmiştir. Ben de girdim hayvanın palanından bir yatak yapıp yattığı gözüme ilişti ve hemen Ey Ebû Abdurrahman! Lian yapan karı koca birbirinden ayrılır mı? dedim. Abdullah: “Sübhanallah, evet ayrılır” dedi. Bu konuyu ilk önce soran kişi falan oğlu falandır. Nebi (s.a.v)’e gelerek; Ey Allah’ın Rasûlü! dedi. Birimiz karısını zina eder durumda görürse ne yapmasını emredersiniz? Konuşsa büyük bir meseleyi ifşa etmiş sussa büyük bir meseleyi geçiştirmiş olacaktır. Nebi (s.a.v), sustu ve kendisine cevap vermedi. O kişi o günden sonra tekrar Rasûlullah (s.a.v.)’e geldi ve gerçek şu ki size sorduğum duruma kendim düşmüş bulunmaktayım. Bunun üzerine Allah Nur sûresi 6. 7. 8. 9. ayetleri indirdi: “6) Kendi eşlerini zina ile suçlayan, fakat kendilerinden başka şâhidleri olmayan kimselere gelince, bu suçlamayı yapanların her biri doğru söylediklerine dair, dört defa Allah’ı şâhid tutsunlar. 7) Ve beşincisinde de, bu suçlamayı yapan kişi, eğer yalancılardansa, Allah’ın lanetine razı olduğunu ifade etsin. 8) Ve suçlanan kadına gelince, onun kocasının yalan söylediğine dair, Allah’ı dört defa şâhid tutması, bu suça verilecek cezayı ondan giderir. 9) Ve beşincisinde, kocası doğruyu söylüyorsa, Allah’ın gazabına razı olduğunu ifade etmesidir.” Sonra Rasûlullah (s.a.v.), O adamı çağırdı ona bu ayetleri okudu va’z, nasihat ederek hatırlatmalarda bulundu ve dünya azabının ahiret azabından daha hafif olduğunu haber verdi. Adam: Seni hak ile gönderen Allah’a yemin ederim ki bu karım hakkında yalan söylemedim. Sonra ikinci olarak kadını çağırdı ona da va’z ve hatırlatmalarda bulundu dünya azabının ahiret azabından çok daha hafif olduğunu bildirdi. Kadın da dedi ki: Hayır seni hak ile gönderen Allah’a yemin olsun ki kocam doğru söylemedi. Bunun üzerine Rasûlullah (s.a.v.) önce erkekten başladıve erkek kendisinin doğru söylediğine dair Allah’a dört sefer yemin etti, beşincisinde ise eğer yalancılardan ise Allah’ın lanetinin kendi üzerine olmasını diledi. Sonra Rasûlullah (s.a.v.), kadına döndü kadın kocasının gerçekten yalancı olduğuna dair Allah’a dört defa yemin etti. Beşincisinde şayet kocası doğrulardan ise Allah’ın gazabının kendisi üzerine olmasını diledi. Sonra Rasûlullah (s.a.v.), onları birbirinden ayırdı

Urdu

سعید بن جبیر سے روایت ہے کہ مصعب بن زبیر رضی الله عنہ کی امارت کے زمانے میں مجھ سے پوچھا گیا: کیا لعان کرنے والے مرد اور عورت کے درمیان جدائی کر دی جائے گی؟ میری سمجھ میں نہ آیا کہ میں کیا جواب دوں میں اپنی جگہ سے اٹھ کر عبداللہ بن عمر رضی الله عنہما کے گھر آ گیا، ان کے پاس حاضر ہونے کی اجازت طلب کی، مجھ سے کہا گیا کہ وہ قیلولہ فرما رہے ہیں، مگر انہوں نے میری بات چیت سن لی۔ اور مجھے ( پکار کر ) کہا: ابن جبیر! اندر آ جاؤ، تم کسی ( دینی ) ضرورت ہی سے آئے ہو گے، میں اندر داخل ہوا، دیکھتا ہوں کہ وہ اپنے کجاوے کے نیچے ڈالنے والا کمبل بچھائے ہوئے ہیں، میں نے کہا: ابوعبدالرحمٰن! کیا دونوں لعان کرنے والوں کے درمیان جدائی کرا دی جائے گی؟ انہوں نے کہا: سبحان اللہ! پاک اور برتر ذات ہے اللہ کی، ہاں، ( سنو ) سب سے پہلا شخص جس نے اس بارے میں مسئلہ پوچھا وہ فلاں بن فلاں تھے، وہ نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس آئے، کہا: اللہ کے رسول! بتائیے اگر کوئی شخص اپنی بیوی کو بدکاری میں مبتلا یعنی زناکاری کرتے ہوئے دیکھے تو کیا کرے؟ اگر بولتا ہے تو بڑی بات کہتا ہے اور اگر چپ رہتا ہے تو بڑی بات پر چپ رہتا ہے، آپ یہ سن کر چپ رہے اور انہیں کوئی جواب نہیں دیا۔ پھر جب اس کے بعد ایسا واقعہ پیش ہی آ گیا تو وہ نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس حاضر ہوا اور عرض کیا: میں نے آپ سے جو بات پوچھی تھی، اس سے میں خود دوچار ہو گیا۔ اس وقت اللہ تعالیٰ نے سورۃ النور کی آیات «والذين يرمون أزواجهم ولم يكن لهم شهداء إلا أنفسهم» ۱؎ سے ختم آیات تک «والخامسة أن غضب الله عليها إن كان من الصادقين» نازل فرمائیں، ابن عمر رضی الله عنہما کہتے ہیں: پھر آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے اس شخص کو بلایا اور اسے یہ آیتیں پڑھ کر سنائیں اور اسے نصیحت کیا، اسے سمجھایا بجھایا، اسے بتایا کہ دنیا کا عذاب آخرت کے عذاب سے ہلکا ہے، اس نے کہا: نہیں، قسم ہے اس ذات کی جس نے آپ کو حق کے ساتھ بھیجا ہے! میں نے اس عورت پر جھوٹا الزام نہیں لگایا ہے، پھر آپ عورت کی طرف متوجہ ہوئے، اسے بھی وعظ و نصیحت کی، سمجھایا بجھایا، اسے بھی بتایا کہ دنیا کا عذاب آخرت کے عذاب کے مقابل میں ہلکا اور آسان ہے ۲؎، اس نے کہا: نہیں، قسم ہے اس ذات کی جس نے آپ کو حق دے کر بھیجا ہے! اس نے سچ نہیں کہا ہے، پھر آپ نے لعان کی شروعات مرد سے کی، مرد نے چار بار گواہیاں دی کہ اللہ گواہ ہے کہ وہ سچا ہے، پانچویں بار میں کہا کہ اگر وہ جھوٹا ہو تو اس پر اللہ کی لعنت ہو، پھر آپ عورت کی طرف متوجہ ہوئے اور اس نے بھی اللہ کی چار گواہیاں دیں، اللہ گواہ ہے کہ اس کا شوہر جھوٹوں میں سے ہے اور پانچویں بار کہا: اللہ کا غضب ہو اس پر اگر اس کا شوہر سچوں میں سے ہو، اس کے بعد آپ نے ان دونوں کے درمیان تفریق کر دی۔ امام ترمذی کہتے ہیں: ۱- یہ حدیث حسن صحیح ہے، ۲- اس باب میں سہل بن سعد رضی الله عنہ سے بھی روایت ہے۔