Arabic
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، قَدِمَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَكَانَ يُغَازِي أَهْلَ الشَّامِ فِي فَتْحِ أَرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ مَعَ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَرَأَى حُذَيْفَةُ اخْتِلاَفَهُمْ فِي الْقُرْآنِ فَقَالَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَدْرِكْ هَذِهِ الأُمَّةَ قَبْلَ أَنْ يَخْتَلِفُوا فِي الْكِتَابِ كَمَا اخْتَلَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَأَرْسَلَ إِلَى حَفْصَةَ أَنْ أَرْسِلِي إِلَيْنَا بِالصُّحُفِ نَنْسَخُهَا فِي الْمَصَاحِفِ ثُمَّ نَرُدُّهَا إِلَيْكِ فَأَرْسَلَتْ حَفْصَةُ إِلَى عُثْمَانَ بِالصُّحُفِ فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنِ انْسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ وَقَالَ لِلرَّهْطِ الْقُرَشِيِّينَ الثَّلاَثَةِ مَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ أَنْتُمْ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَاكْتُبُوهُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ فَإِنَّمَا نَزَلَ بِلِسَانِهِمْ . حَتَّى نَسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ بَعَثَ عُثْمَانُ إِلَى كُلِّ أُفُقٍ بِمُصْحَفٍ مِنْ تِلْكَ الْمَصَاحِفِ الَّتِي نَسَخُوا . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ فَقَدْتُ آيَةً مِنْ سُورَةِ الأَحْزَابِ كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا : ( مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ ) فَالْتَمَسْتُهَا فَوَجَدْتُهَا مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ أَوْ أَبِي خُزَيْمَةَ فَأَلْحَقْتُهَا فِي سُورَتِهَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَاخْتَلَفُوا يَوْمَئِذٍ فِي التَّابُوتِ وَالتَّابُوهِ فَقَالَ الْقُرَشِيُّونَ التَّابُوتُ . وَقَالَ زَيْدٌ التَّابُوهُ . فَرُفِعَ اخْتِلاَفُهُمْ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ اكْتُبُوهُ التَّابُوتُ فَإِنَّهُ نَزَلَ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَرِهَ لِزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ نَسْخَ الْمَصَاحِفِ وَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ أُعْزَلُ عَنْ نَسْخِ كِتَابَةِ الْمُصْحَفِ وَيَتَوَلاَّهَا رَجُلٌ وَاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْتُ وَإِنَّهُ لَفِي صُلْبِ رَجُلٍ كَافِرٍ يُرِيدُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَلِذَلِكَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ اكْتُمُوا الْمَصَاحِفَ الَّتِي عِنْدَكُمْ وَغُلُّوهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ : ( وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ) فَالْقُوا اللَّهَ بِالْمَصَاحِفِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنِي أَنَّ ذَلِكَ كَرِهَهُ مِنْ مَقَالَةِ ابْنِ مَسْعُودٍ رِجَالٌ مِنْ أَفَاضِلِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ .
حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا ابراهيم بن سعد، عن الزهري، عن انس، ان حذيفة، قدم على عثمان بن عفان وكان يغازي اهل الشام في فتح ارمينية واذربيجان مع اهل العراق فراى حذيفة اختلافهم في القران فقال لعثمان بن عفان يا امير المومنين ادرك هذه الامة قبل ان يختلفوا في الكتاب كما اختلفت اليهود والنصارى فارسل الى حفصة ان ارسلي الينا بالصحف ننسخها في المصاحف ثم نردها اليك فارسلت حفصة الى عثمان بالصحف فارسل عثمان الى زيد بن ثابت وسعيد بن العاصي وعبد الرحمن بن الحارث بن هشام وعبد الله بن الزبير ان انسخوا الصحف في المصاحف وقال للرهط القرشيين الثلاثة ما اختلفتم فيه انتم وزيد بن ثابت فاكتبوه بلسان قريش فانما نزل بلسانهم . حتى نسخوا الصحف في المصاحف بعث عثمان الى كل افق بمصحف من تلك المصاحف التي نسخوا . قال الزهري وحدثني خارجة بن زيد بن ثابت ان زيد بن ثابت قال فقدت اية من سورة الاحزاب كنت اسمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقروها : ( من المومنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه ) فالتمستها فوجدتها مع خزيمة بن ثابت او ابي خزيمة فالحقتها في سورتها . قال الزهري فاختلفوا يوميذ في التابوت والتابوه فقال القرشيون التابوت . وقال زيد التابوه . فرفع اختلافهم الى عثمان فقال اكتبوه التابوت فانه نزل بلسان قريش . قال الزهري فاخبرني عبيد الله بن عبد الله بن عتبة ان عبد الله بن مسعود كره لزيد بن ثابت نسخ المصاحف وقال يا معشر المسلمين اعزل عن نسخ كتابة المصحف ويتولاها رجل والله لقد اسلمت وانه لفي صلب رجل كافر يريد زيد بن ثابت ولذلك قال عبد الله بن مسعود يا اهل العراق اكتموا المصاحف التي عندكم وغلوها فان الله يقول : ( ومن يغلل يات بما غل يوم القيامة ) فالقوا الله بالمصاحف . قال الزهري فبلغني ان ذلك كرهه من مقالة ابن مسعود رجال من افاضل اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم . قال هذا حديث حسن صحيح . وهو حديث الزهري لا نعرفه الا من حديثه
Bengali
। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট এসে উপস্থিতি হলেন। হুযইফা (রাযিঃ) আর্মেনিয়া ও আযারবাইজানের বিজয় অভিযানে ইরাকীদের সঙ্গী হয়ে সিরীয়দের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিলেন। তখন হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) তাদের মধ্যে কুরআন নিয়ে মতের অমিল লক্ষ্য করেন। তিনি (ফিরে এসে) উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-কে বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! যেভাবে ইয়াহুদী-নাসারাগণ তাদের কিতাব নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হয়েছিল, সেরূপ এই উম্মাতের লোকদের নিজেদের কিতাব নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে তাদের খবর নিন। এরপর উসমান (রাযিঃ) এই কথা বলে হাফসাহ (রাযিঃ)-এর নিকট লোক পাঠান যে, আপনার নিকট রক্ষিত কুরআনের সহীফাখানি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আমরা সেটি হতে কপি করার পর তা আপনাকে আবার ফেরত দিব। উন্মুল মুমিনীন হাফসা (রাযিঃ) তার কপি উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। উসমান (রাযিঃ) যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ), সাঈদ ইবনুল আস (রাযিঃ), 'আবদুর রাহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম (রাযিঃ), 'আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) প্রমুখের নিকট উক্ত সহীফাখানি পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, আপনারা এ সহীফাখানি হতে অনেকগুলো কপি করে নিন। তিনি উক্ত কমিটির তিন কুরাইশ সদস্যকে বললেন, কোন ক্ষেত্রে তোমাদের ও যাইদ ইবনু সাবিতের মধ্যে মতের অমিল হলে তা তোমরা কুরাইশের বাকরীতি মতো লিখবে। কেননা কুরআন তাদের বাকরীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে। অবশেষে তারা পূর্ণ কুরআনের কয়েকটি কপি করেন। উসমান (রাযিঃ) সেগুলোর এক একটি কপি রাজ্যের এক এক এলাকায় পাঠিয়ে দিলেন। যুহরী (রাহঃ) বলেন, খারিজা ইবনু যাইদ (রাযিঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন; যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) বলেছেন, আমি সূরা আল-আহযাবের একটি আয়াত পেলাম না, যেটি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিলাওয়াত করতে শুনাতাম। আয়াতটি এই (অনুবাদ) “মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহ তা'আলার সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা নিজেদের অঙ্গীকারে কোন পরিবর্তন করেনি” (সূরা আল-আহযাব ২৩)। আমি আয়াতটির খোঁজ করছিলাম। অবশেষে তা খুযাইমাহ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) বা আবূ খুযাইমাহ (রাযিঃ)-এর নিকট পেলাম। আমি সূরার যথাস্থানে আয়াতটি স্থাপন করলাম। যুহরী (রাহঃ) বলেন, তারা ঐ দিন তাবুত ও তাবূহ শব্দ নিয়ে মতের অমিল করেন। কুরাইশীরা বলেনঃ তাবত, আর যাইদ (রাযিঃ) বলেন, তাবহ। তাদের মতের অমিলের বিষয়টি উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট উত্থাপন করা হলে তিনি বললেন, তোমরা তাবত লিখ। কেননা কুরআন কুরাইশদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমাকে উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ খবর দিয়েছেন যে, যাইদ ইবনু সাবিতের কুরআন লিপিবদ্ধ করাকে 'আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) অপছন্দ করেছেন এবং বলেছেন, হে মুসলিমগণ! কুরআন লিপিবদ্ধ করা হতে আমি বরখাস্ত হবো আর তার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে এমন ব্যক্তি, আল্লাহর শপথ! যে আমার ইসলাম গ্রহণের সময় এক কাফির ব্যক্তির পৃষ্ঠদেশে অন্তৰ্হিত ছিল। এ কথা দ্বারা তিনি যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ)-এর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তাই আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ হে ইরাকবাসী! তোমাদের নিকট রক্ষিত কুরআনের লিপিবদ্ধ সংকলন লুকিয়ে রাখ এবং তালাবদ্ধ করে রাখ। কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেন, (অনুবাদ) “এবং কেউ অন্যায়ভাবে কিছু আত্মসাৎ করলে, যা সে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেছে কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে উপস্থিত হবে”— (সূরা আল-ইমরান ১৬১)। অতএব তোমরা তোমাদের সংকলনগুলোসহ আল্লাহ তা'আলার সাথে মিলিত হবে। যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমি জেনেছি যে, ইবনু মাসউদ (রাযিঃ)-এর এ উক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু প্রবীণ সাহাবী অপছন্দ করেছেন। সহীহঃ বুখারী (৪৯৮৭, ৪৯৮৮) সহীহ মাকতু’। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি যুহরীর রিওয়ায়াত। আমরা এই হাদীস শুধু তার সূত্রেই জেনেছি।
English
Narrated Az-Zuhri:from Anas who said: "Hudhaifah bin Al-Yaman came to 'Uthman, at the time when the people of Ash-Sham and the people of Al-'Iraq were waging war to conquer Arminiyah and Adharbijan. Hudhaifah saw their (the people of Ash-Sham and Al-'Iraq) different forms of recitation of the Qur'an. So he said to 'Uthman: 'O Commander of the Believers! Save this nation before they differ about the Book as the Jews and the Christians did before them.' So he ('Uthman) sent a message to Hafsah (saying): 'Send us the manuscripts so that we may copy them in the Musahif (plural of Mushaf: a written copy of the Qur'an) then we shall return it to you.' So Hafsah sent the manuscripts to 'Uthman bin 'Affan. 'Uthman then sent order for Zaid bin Thabit, Sa'eed bin Al-'As, 'Abdur-Rahman bin Al-Harith bin Hisham, and 'Abdullah bin Az-Zubair to copy the manuscripts in the Musahif. 'Uthman said to the three Quraish men: 'In case you disagree with Zaid bin Thabit on any point in the (recitation dialect of the) Qur'an, then write it in the dialect of Quraish for it was in their tongue.' So when they had copied the manuscripts, 'Uthman sent one Mushaf from those Musahif that they had copied to every province." Az-Zuhri said: "Kharijah bin Zaid [bin Thabit] narrated to me that Zaid bin Thabit said: 'I missed an Ayah of Surat Al-Ahzab that I heard the Messenger of Allah (ﷺ) reciting: Among the believers are men who have been true to their covenant with Allah, of them some have fulfilled their obligations, and some of them are still waiting (33:23) - so I searched for it and found it with Khuzaimah bin Thabit, or Abu Khuzaimah, so I put it in its Surah.'" Az-Zuhri said: "They differed then with At-Tabut and At-Tabuh. The Quraish said: At-Tabut while Zaid said: At-Tabuh. Their disagreement was brought to 'Uthman, so he said: 'Write it as At-Tabut, for it was revealed in the tongue of the Quraish.'" Az-Zuhri said: "'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah informed me that 'Abdullah bin Mas'ud disliked Zaid bin Thabit copying the Musahif, and he said: 'O you Muslim people! I am removed from recording the transcription of the Mushaf and it is overseen by a man, by Allah, when I accepted Islam he was but in the loins of a disbelieving man' - meaning Zaid bin Thabit - and it was regarding this that 'Abdullah bin Mas'ud said: 'O people of Al-'Iraq! Keep the Musahif that are with you, and conceal them. For indeed Allah said: And whoever conceals something, he shall come with what he concealed on the Day of Judgement (3:161). So meet Allah with the Musahif.'" Az-Zuhri said: "It was conveyed to me that some men amongst the most virtuous of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) disliked that view of Ibn Mas'ud
Indonesian
Turkish
Enes (radıyallahü anh)’den rivâyete göre, Huzeyfe b. Yemân, Osman b. Affân’a geldi, Osman Iraklılarla beraber Şamlıları Ermenistan ve Azerbeycan’ın fethi için savaşa hazırlanıyordu. Huzeyfe Kur’ân konusunda bazı ihtilaflar görmüş ve Osman b. Affân’a: Ey Mü’minlerin emiri! Dedi. Yahudi ve Hıristiyanların ihtilaf edip ayrılığa düştükleri gibi bu ümmette Kur’ân konusunda ihtilafa düşmeden yetiş ve yapman gerekenleri yap dedi. Bunun üzerine Osman, Hafsa’ya yazılmış tek nüsha olan o mushafı bize gönder çoğaltıp tekrar iade ederiz diye haber gönderdi. Hafsa mushafı Osman’a yolladı. Osman (radıyallahü anh)’de: Zeyd b. Sabit, Saîd b. Âs, Abdurrahman b. Hâris b. Hişâm ve Abdullah b. Zübeyr’e bu mushaftan mushaflar çoğaltınız diye talimat verdi. Osman üç Kureyşliden oluşan bu ekibe Zeyd b. Sabit’le ihtilaf ettiğiniz yeri Kureyş lehçesine göre yazınız çünkü Kur’ân onların lehçesiyle inmiştir. Sonunda mushafları çoğalttılar. Osman (radıyallahü anh)’da o mushaflardan her birini belli merkezlere gönderdi. (Buhârî, Cihâd: 27) dedi ki: Hârice b. Zeyd, Zeyd b. Sabit’in bana şöyle söylediğini aktardı: Ahzab sûresinden bir ayeti aradım Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’in onu okuduğunu işitmiştim (Ahzab sûresi 23. âyet) bu ayeti Huzeyme b. Sabit’in veya Ebû Huzeyme’nin yanında buldum ve sûrenin gerekli yerine koydum. dedi ki: O günlerde “tabût” ve “Tabûh” üzerinde ihtilaf etmişlerdi. Kureyşliler Tabût diyorlar. Zeyd b. Sabit ise Tabuh diyordu. Bu mesele Osman’a götürüldü. Osman da Tabût yazın çünkü Kur’ân, Kureyş lehçesiyle inmiştir dedi. diyor ki: Ubeydullah b. Abdullah b. Utbe bana şöyle anlattı: Abdullah b. Mes’ûd, Zeyd b. Sabit’in Mushafları yazma işinin başına getirilmesini pek hoş karşılamamış ve şöyle demişti. Ey Müslümanlar topluluğu ben Mushafları yazma işinden uzak tutulacağım ve bu işin başına başka bir adam mı geçecekti, vallahi o Zeyd b. Sabit kafir bir adamın sulbünde iken ben Müslüman olmuştum. Bu yüzden Abdullah b. Mes’ûd, Iraklılara şöyle konuşmuştu. Ey Iraklılar yanınızdaki Mushafları gizleyin onları saklı olarak bulundurun. Bakınız Allah, Âl-i Imrân 161. ayetinde; “Bir peygamberin ganimet malına hainlik etmesi olacak birşey değil, kim böyle bir hainlikte bulunursa, kıyamet günü hainlik ettiği o şeyin günahını yüklenerek gelir. Sonra herkese kazandığı tastamam verilir ve hiç haksızlığa uğratılmazlar.” Allah böyle buyuruyor. Siz de elinizdeki Mushaflarla Allah’a kavuşmuş olunuz. diyor ki: Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’in ashabından ileri gelen bazı kimselerin İbn Mes’ûd’un bu konuşmalarını hoş görmedikleri bana ulaşan haberler arasındandır. Bu hadis hasen sahihtir. Bu hadisi sadece Zührî’nin rivâyetiyle bilmekteyiz
Urdu
انس رضی الله عنہ کہتے ہیں کہ حذیفہ بن الیمان عثمان رضی الله عنہما کے پاس آئے، ان دنوں آپ شام والوں کے ساتھ آرمینیہ کی فتح میں اور عراق والوں کے ساتھ آذر بائیجان کی فتح میں مشغول تھے، حذیفہ رضی الله عنہ نے قرآن کی قرأت میں لوگوں کا اختلاف دیکھ کر عثمان بن عفان رضی الله عنہ سے کہا: امیر المؤمنین! اس امت کو سنبھالئے اس سے پہلے کہ یہ کتاب ( قرآن مجید ) کے معاملے میں اختلاف کا شکار ہو جائے ( اور آپس میں لڑنے لگے ) جیسا کہ یہود و نصاریٰ اپنی کتابوں ( تورات و انجیل اور زبور ) کے بارے میں مختلف ہو گئے۔ تو عثمان رضی الله عنہ نے حفصہ رضی الله عنہا کے پاس پیغام بھیجا کہ ( ابوبکر و عمر رضی الله عنہما کے تیار کرائے ہوئے ) صحیفے ہمارے پاس بھیج دیں ہم انہیں مصاحف میں لکھا کر آپ کے پاس واپس بھیج دیں گے، چنانچہ ام المؤمنین حفصہ رضی الله عنہا نے عثمان بن عفان رضی الله عنہ کے پاس یہ صحیفے بھیج دیے۔ پھر عثمان نے زید بن ثابت اور سعید بن العاص اور عبدالرحمٰن بن الحارث بن ہشام اور عبداللہ بن زبیر رضی الله عنہم کے پاس ان صحیفوں کو اس حکم کے ساتھ بھیجا کہ یہ لوگ ان کو مصاحف میں نقل کر دیں۔ اور تینوں قریشی صحابہ سے کہا کہ جب تم میں اور زید بن ثابت رضی الله عنہ میں اختلاف ہو جائے تو قریش کی زبان ( و لہجہ ) میں لکھو کیونکہ قرآن انہیں کی زبان میں نازل ہوا ہے، یہاں تک کہ جب انہوں نے صحیفے مصحف میں نقل کر لیے تو عثمان نے ان تیار مصاحف کو ( مملکت اسلامیہ کے حدود اربعہ میں ) ہر جانب ایک ایک مصحف بھیج دیا۔ زہری کہتے ہیں مجھ سے خارجہ بن زید نے بیان کیا کہ زید بن ثابت نے کہا کہ میں سورۃ الاحزاب کی ایک آیت جسے میں رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کو پڑھتے ہوئے سنتا تھا اور مجھے یاد نہیں رہ گئی تھی اور وہ آیت یہ ہے «من المؤمنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه ومنهم من ينتظر» ۱؎ تو میں نے اسے ڈھونڈا، بہت تلاش کے بعد میں اسے خزیمہ بن ثابت کے پاس پایا ۲؎ خزیمہ بن ثابت رضی الله عنہ کہا یا ابوخزیمہ کہا۔ ( راوی کو شک ہو گیا ) تو میں نے اسے اس کی سورۃ میں شامل کر دیا۔ زہری کہتے ہیں: لوگ اس وقت ( لفظ ) «تابوهاور» تابوت میں مختلف ہو گئے، قریشیوں نے کہا «التابوت» اور زید نے «التابوه» کہا۔ ان کا اختلاف عثمان رضی الله عنہ کے سامنے پیش کیا گیا تو آپ نے فرمایا: «التابوت» لکھو کیونکہ یہ قرآن قریش کی زبان میں نازل ہوا ہے۔ زہری کہتے ہیں: مجھے عبیداللہ بن عبداللہ بن عتبہ نے بتایا ہے کہ عبداللہ بن مسعود نے زید بن ثابت رضی الله عنہما کے مصاحف لکھنے کو ناپسند کیا اور کہا: اے گروہ مسلمانان! میں مصاحف کے لکھنے سے روک دیا گیا، اور اس کام کا والی و کارگزار وہ شخص ہو گیا جو قسم اللہ کی جس وقت میں ایمان لایا وہ شخص ایک کافر شخص کی پیٹھ میں تھا ( یعنی پیدا نہ ہوا تھا ) یہ کہہ کر انہوں نے زید بن ثابت کو مراد لیا ۳؎ اور اسی وجہ سے عبداللہ بن مسعود نے کہا: عراق والو! جو مصاحف تمہارے پاس ہیں انہیں چھپا لو، اور سنبھال کر رکھو۔ اس لیے کہ اللہ تعالیٰ فرماتا ہے: جو کوئی چیز چھپا رکھے گا قیامت کے دن اسے لے کر حاضر ہو گا تو تم قیامت میں اپنے مصاحف ساتھ میں لے کر اللہ سے ملاقات کرنا ۴؎ زہری کہتے ہیں: مجھے یہ اطلاع و خبر بھی ملی کہ کبار صحابہ نے ابن مسعود رضی الله عنہ کی یہ بات ناپسند فرمائی ہے۔ امام ترمذی کہتے ہیں: یہ حدیث حسن صحیح ہے۔ اور یہ زہری کی حدیث ہے، اور ہم اسے صرف انہیں کی روایت سے جانتے ہیں۔