Arabic
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ إِلاَّ بَدْرًا وَلَمْ يُعَاتِبِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا تَخَلَّفَ عَنْ بَدْرٍ إِنَّمَا خَرَجَ يُرِيدُ الْعِيرَ فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ مُغْوِثِينَ لِعِيرِهِمْ فَالْتَقَوْا عَنْ غَيْرِ مَوْعِدٍ كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَعَمْرِي إِنَّ أَشْرَفَ مَشَاهِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ لَبَدْرٌ وَمَا أُحِبُّ أَنِّي كُنْتُ شَهِدْتُهَا مَكَانَ بَيْعَتِي لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ حَيْثُ تَوَاثَقْنَا عَلَى الإِسْلاَمِ ثُمَّ لَمْ أَتَخَلَّفْ بَعْدُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ وَهِيَ آخِرُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا وَآذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالرَّحِيلِ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَحَوْلَهُ الْمُسْلِمُونَ وَهُوَ يَسْتَنِيرُ كَاسْتِنَارَةِ الْقَمَرِ وَكَانَ إِذَا سُرَّ بِالأَمْرِ اسْتَنَارَ فَجِئْتُ فَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ " أَبْشِرْ يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ بِخَيْرِ يَوْمٍ أَتَى عَلَيْكَ مُنْذُ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَمِنْ عِنْدِ اللَّهِ أَمْ مِنْ عِنْدِكَ قَالَ " بَلْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ : ( لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ ) حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ) قَالَ وَفِينَا أُنْزِلَتْ أَيْضًا : ( اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ) قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ لاَ أُحَدِّثَ إِلاَّ صِدْقًا وَأَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي كُلِّهِ صَدَقَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . فَقُلْتُ فَإِنِّي أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِي بِخَيْبَرَ قَالَ فَمَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَىَّ نِعْمَةً بَعْدَ الإِسْلاَمِ أَعْظَمَ فِي نَفْسِي مِنْ صِدْقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ صَدَقْتُهُ أَنَا وَصَاحِبَاىَ لاَ نَكُونُ كَذَبْنَا فَهَلَكْنَا كَمَا هَلَكُوا وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ لاَ يَكُونَ اللَّهُ أَبْلَى أَحَدًا فِي الصِّدْقِ مِثْلَ الَّذِي أَبْلاَنِي مَا تَعَمَّدْتُ لِكَذِبَةٍ بَعْدُ وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَحْفَظَنِي اللَّهُ فِيمَا بَقِيَ . قَالَ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثُ بِخِلاَفِ هَذَا الإِسْنَادِ وَقَدْ قِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَمِّهِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ كَعْبٍ وَقَدْ قِيلَ غَيْرُ هَذَا وَرَوَى يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ .
حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن عبد الرحمن بن كعب بن مالك، عن ابيه، قال لم اتخلف عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوة غزاها حتى كانت غزوة تبوك الا بدرا ولم يعاتب النبي صلى الله عليه وسلم احدا تخلف عن بدر انما خرج يريد العير فخرجت قريش مغوثين لعيرهم فالتقوا عن غير موعد كما قال الله عز وجل ولعمري ان اشرف مشاهد رسول الله صلى الله عليه وسلم في الناس لبدر وما احب اني كنت شهدتها مكان بيعتي ليلة العقبة حيث تواثقنا على الاسلام ثم لم اتخلف بعد عن النبي صلى الله عليه وسلم حتى كانت غزوة تبوك وهي اخر غزوة غزاها واذن النبي صلى الله عليه وسلم بالرحيل . فذكر الحديث بطوله قال فانطلقت الى النبي صلى الله عليه وسلم فاذا هو جالس في المسجد وحوله المسلمون وهو يستنير كاستنارة القمر وكان اذا سر بالامر استنار فجيت فجلست بين يديه فقال " ابشر يا كعب بن مالك بخير يوم اتى عليك منذ ولدتك امك " . فقلت يا نبي الله امن عند الله ام من عندك قال " بل من عند الله " . ثم تلا هولاء الايات : ( لقد تاب الله على النبي والمهاجرين والانصار الذين اتبعوه في ساعة العسرة ) حتى بلغ الله هو التواب الرحيم ) قال وفينا انزلت ايضا : ( اتقوا الله وكونوا مع الصادقين ) قال قلت يا نبي الله ان من توبتي ان لا احدث الا صدقا وان انخلع من مالي كله صدقة الى الله والى رسوله . فقال النبي صلى الله عليه وسلم " امسك عليك بعض مالك فهو خير لك " . فقلت فاني امسك سهمي الذي بخيبر قال فما انعم الله على نعمة بعد الاسلام اعظم في نفسي من صدقي رسول الله صلى الله عليه وسلم حين صدقته انا وصاحباى لا نكون كذبنا فهلكنا كما هلكوا واني لارجو ان لا يكون الله ابلى احدا في الصدق مثل الذي ابلاني ما تعمدت لكذبة بعد واني لارجو ان يحفظني الله فيما بقي . قال وقد روي عن الزهري هذا الحديث بخلاف هذا الاسناد وقد قيل عن عبد الرحمن بن عبد الله بن كعب بن مالك عن عمه عبيد الله عن كعب وقد قيل غير هذا وروى يونس بن يزيد هذا الحديث عن الزهري عن عبد الرحمن بن عبد الله بن كعب بن مالك ان اباه حدثه عن كعب بن مالك
Bengali
। কাব ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতগুলো যুদ্ধ করেছেন, একমাত্র বদরের যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধেই আমি অনুপস্থিত ছিলাম না। এভাবে তাবুকের যুদ্ধ সমুপস্থিত হয়। যারা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাউকে কোনরূপ ভর্ৎসনা করেননি। কারণ তিনি বের হয়েছিলেন কাফিলা অবরোধের উদ্দেশেই। ওদিকে কুরাইশরাও তাদের কাফিলার সাহায্যার্থে বের হয়েছিল। প্রতিশ্রুত স্থান ব্যতীত উভয় পক্ষ পরস্পর মুকবিলায় অবতীর্ণ হয়, যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেন। আমার জীবনের শপথ মানুষদের দৃষ্টিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিতির সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে বদরই কিন্তু আমি আক্বাবার রাতে আমার বাই’আতের উপর মর্যাদা দিয়ে তাতে (বদরে) অংশগ্রহণ করাকে পছন্দ করিনি। কারণ সেই লাইলাতুল আকাবাতেই আমি বাই’আত করেছি এবং আমরা এখানেই ইসলামের উপর সুদৃঢ় হয়ে গিয়েছি। তারপর আমি কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কোন অভিযান হতে পেছনে ছিলাম না। এভাবে তাবুকের যুদ্ধের পালা আসে। আর তাবুক যুদ্ধই ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সর্বশেষ যুদ্ধ। যোদ্ধাদের যাত্রা শুরুর জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন। তারপর বর্ণনাকারী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। তিনি তখন মসজিদে বসা ছিলেন। তার আশেপাশে মুসলিমগণ সমবেত ছিল। তার মুখমণ্ডল চাঁদের ন্যায় চমকাচ্ছিল। তিনি কোন বিষয়ে আনন্দিত হলে তার চেহারা মুবারাক দীপ্তিমান হয়ে উঠত। আমি উপস্থিত হয়ে তার সামনে বসে পড়লাম। তিনি বললেনঃ “হে কাব ইবনু মালিক! তোমার মা তোমাকে প্রসব করার পর হতে যতগুলো দিন তোমার নিকট এসেছে তার মধ্যে একটি সর্বোৎকৃষ্ট দিনের সুসংবাদ তোমার জন্য। আমি বললাম, “হে আল্লাহর নবী। আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে না আপনার পক্ষ হতে? তিনি বললেনঃ বরং আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে। তারপর তিনি এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেনঃ (অনুবাদ) “আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই অনুগ্রহপরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি, যারা বড় দুঃসময়ে তার অনুসরণ করেছিল, এমনকি যখন তাদের মধ্যকার এক দলের হৃদয়-বক্র হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তারপর আল্লাহ তা'আলা তাদের মাফ করলেন। তিনি তো তাদের প্রতি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু এবং অপর তিনজনকে যাদেরকে পিছনে রাখা হয়েছিল, যখন পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গেল এবং তাদের জীবন দুৰ্বিসহ হয়ে উঠল, তারা বুঝতে পারলো যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন আশ্রয়স্থল নেই, অতঃপর তিনি তাদের প্রতি সদয় হলেন যাতে তারা ফিরে আসে। অবশ্যই আল্লাহ তওবা কুবুলকারী দয়াময়।" (সূরা আত-তওবা ১১৭-১১৮)। বর্ণনাকারী বলেন, এ আয়াতগুলোও আমাদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে (অনুবাদ) “হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও”— (সূরা আত-তওবা ১১৯)। কাব (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমার তাওবার মধ্যে এও অন্তর্ভুক্ত যে, আমি সর্বদা সত্য কথাই বলব এবং আমি আমার সমস্ত মাল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশে দান করে দিব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কিছু মাল তোমার নিজের জন্য রাখ। এটাই তোমার জন্য ভালো। আমি বললাম, আমি আমার নিজের জন্য খাইবারের অংশটুকু রেখে দিচ্ছি। কাব (রাযিঃ) বলেন, ইসলাম কুবুল করার পর হতে আল্লাহ তা'আলা আমাকে যত নি’আমাতে ধন্য করেছেন আমার মতে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নি’আমাত হচ্ছে রাসূলুল্লাহ -এর নিকট আমার ও আমার সঙ্গীদ্বয়ের সত্য কথা বলা এবং আমাদের মিথ্যাবাদী না হওয়া। অন্যথায় তারা যেভাৰে ধ্বংস হয়েছে আমরাও তদ্রুপ ধ্বংস হতাম। আমি আশা করি সত্য বলার ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা যেন আমার ন্যায় এতো বড় পরীক্ষায় আর কাউকে না ফেলেন। আমি আর কখনো মিথ্যা বলিনি। আমি আরো আশা করি অবশিষ্ট দিনগুলোও যেন আল্লাহ তা'আলা আমাকে হিফাযাত করেন। সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৯১২), বুখারী (৪৬৭৬), মুসলিম। এ হাদীস উপরোক্ত সনদের বিপরীত সনদে যুহরী (রাহঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। কথিত আছে যে, সনদটি 'আবদুর রাহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা'ব ইবনু মালিক-তার চাচা উবাইদুল্লাহ হতে, তিনি কাব (রাযিঃ) হতে। আবার কেউ কেউ এ ব্যতীত অন্য সূত্রেও বর্ণনা করেছেন। অনন্তর এ হাদীস যুহরী হতে, তিনি আবদুর রাহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কাব ইবনু মালিক হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি কাব ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ বর্ণনা করেছেন।
English
Narrated 'Abdur-Rahman bin Ka'b bin Malik:from his father who said: "I did not remain behind from any of the battles the Prophet (ﷺ) fought in, until the battle of Tabuk, except for Badr. And the Prophet (ﷺ) did not scold anyone who remained behind from Badr, because he only went out to look for the caravan. The Quraish came out to help their caravan, so they met without an appointment as Allah the Mighty and Sublime, said. By my life, people consider the most honorable of battles of the Messenger of Allah (ﷺ) to be that of Badr, but I would not have liked to attend it instead of my oath of allegiance on the night of Al-'Aqabah when we took a covenant for Islam. Afterwards, I did not stay behind from the Prophet (ﷺ) until the battle of Tabuk, and it was the last of the battles he fought. The Messenger of Allah (ﷺ) informed the people of the departure" - and he mentioned the Hadith in its entirety, and said - "So I went to the Prophet (ﷺ) and he was sitting in the Masjid, surrounded by the Muslims. He was beaming like the moon beams. When he was happy about a matter he would beam. So I came and said in front of him. He said: 'Receive glad tidings - O Ka'b bin Malik - of the best day you have seen since your mother bore you!' So I said: 'O Prophet of Allah! Is it from Allah or from you?' He said: 'From Allah.' Then he recited these Ayat: Allah has forgiven the Prophet, the Muhajirin, and the Ansar who followed him in the time of distress, after the hearts of a party of them had nearly deviated, but He accepted their repentance. Certainly, He is unto them full of Kindness, Most Merciful (9:117). [until he reached: Verily, Allah is the One Who accepts repentance, Most Merciful (9:118).] He said: "And it was about us that (the following) was revealed as well: Have Taqwa of Allah, and be with those who are true (9:119)." He said: "O Prophet of Allah! Part of my repentance is to not say but the truth, and give up all of my wealth as charity for Allah and His Messenger.' So the Prophet (ﷺ) said: 'Keep some of your wealth for yourself, for indeed that is better for you.' I said: 'So I will keep my share from Al-Khaibar.'" He said: "So after my acceptance of Islam, Allah did not grant me a greater favor than when I and my two companions told the truth to the Messenger of Allah (ﷺ) and we were not among the liars to be ruined like the others were ruined. Indeed I hope that Allah will not test anyone over telling the truth as he tested me. I did not resort to a lie ever since then, and I hope that Allah will protect me regarding what remains to come
Indonesian
Turkish
Ka’b b. Mâlik (radıyallahü anh)’den rivâyete göre, şöyle demiştir: Bedir savaşı hariç Tebük savaşına kadar Rasûlüllah (sallallahü aleyhi ve sellem)’in yaptığı hiçbir savaştan geri kalmamıştım. Rasûlüllah (sallallahü aleyhi ve sellem), Bedir savaşından geri kalan hiç kimseyi kınamamıştı. Çünkü o savaşa kervanı kastederek çıkmıştı. Sonra Kureyş kervanlarına imdad için çıkıp gelmişlerdi. Allah’ın Enfal sûresi 42. ayetinde buyurduğu gibi sözleşmeksizin Bedir’de buluşmuş oldular. Hayatıma yemin ederim ki Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’in müşriklerle karşılaşmasının en şereflisi Bedir savaşıdır. Buna rağmen Akabe gecesindeki buluşmamız yerine Bedir’de buluşmuş olmamı da arzu etmem çünkü Akabe gecesinde İslam üzere söz vermiştik o gün daha kıymetli ve değerlidir. Bundan sonra Tebük savaşına kadar hiçbir yerde Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’den geri kalmadım. Tebük Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’in yaptığı son savaş idi. Rasûlüllah (sallallahü aleyhi ve sellem), savaşa çıkılması için insanlara ilanatta bulundu Ka’b b. Mâlik bu hadisi uzun uzadıya anlattı ve sonunda şöyle dedi: “… Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’e gittim. Onu mescidde oturur buldum çevresinde Müslümanlar vardı o insanlar arasında ayın ışıltısı gibi ışık saçıyordu adeta… Bir işe sevindiği zaman yüzü gülerdi. Geldim önüne oturdum; “Ey Ka’b! Annenin seni doğurduğu günden beri üzerine gelen en hayırlı güne sevin müjdeler sana… Ben de; Ey Allah’ın Rasûlü bu müjdeli haber sizden mi yoksa Allah’tan mı? dedim. Allah tarafındandır buyurdu ve şu âyetleri okudu: (Tevbe sûresi 117. 118.) “Gerçek şu ki, mü’minlerden bir kısmının, kalpleri kaymak üzereyken Allah, peygamberi sıkıntılı bir zamanda, O’na uyan Muhâcirleri ve Ensâr’ı affetti sonra da onların tevbelerini kabul etti. Çünkü o Allah, gerçekten mü’minlere karşı çok şefkatli ve merhametlidir.” “ve savaştan geriye kalan üç kişinin (ki onlar: Ka’b b. Mâlik, Hilâl b. Ümeyye, Mürâre b. er-Rabî’dir.) de tevbesini kabul etti. Yeryüzü genişliğine rağmen, onlara dar gelmiş, vicdanları kendilerini sıktıkça sıkmıştı. Nihayet Allah’tan, yine Allah’a sığınmaktan başka çare olmadığını anlamışlardı. Bunun üzerine O da, yine merhametle o üç kişiye yöneldi ki, pişmanlık duyup tevbe etsinler; çünkü kendisine yürekten yönelen, sığınan herkesi, acıması-esirgemesiyle kuşatıp tevbeleri kabul eden, yalnızca Allah’tır.” bizim hakkımızda Tevbe sûresi 119. âyet’te nazil oldu: “Ey iman edenler! Yolunuzu Allah’ın kitabıyla bulmaya çalışın, doğrulardan olun ve hem de doğrularla beraber olun.” diyor ki: Ey Allah’ın Peygamberi dedim. Tevbemin kabul ediliş sebebi sadece doğruyu söylemem ve tüm mal varlığımı Allah ve Rasûlü yolunda bağışlamamdan dolayıdır. Bunun üzerine Rasûlüllah (sallallahü aleyhi ve sellem) şöyle buyurdu: “Malının bir kısmını kendine ayır, bu senin için hayırlıdır.” Ben de Hayber’deki hissemi alıkoyacağım dedim. Ka’b sözlerine şöyle devam etti: Ben iki arkadaşımla birlikte Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’e doğruyu söylediğim zaman gönlümde Müslümanlıktan sonra Peygamber (sallallahü aleyhi ve sellem)’e doğruyu söylemekten daha büyük bir nimeti Allah bana vermemiştir. Biz yalan söylemedik. Değilse yalan söyleyenler gibi biz de helak olurduk. İçtenlikle dilerim ki Allah’ın beni doğrulukla denediği gibi başka birisini denemesin. Bu olaydan sonra bilerek hiçbir yalan söylemedim. Ömrümün geri kalan kısmında da Allah’tan beni korumasını içtenlikle isterim. (Buhârî, Tefsir-ül Kur’ân: 27; Müslim, Tevbe: 17) Bu hadis Zührî’den değişik bir senedle rivâyet edilmiştir. Abdurrahman b. Abdullah b. Ka’b b. Mâlik’in babası Ka’b b. Mâlik amcası Ubeydullah’tan ve Ka’b’ten denilmiş aynı zamanda başka türlü bir sened daha zikredilmiştir. Yunus bu hadisi Zührî’den, Abdurrahman b. Abdullah b. Ka’b b. Mâlik’in babası Ka’b b. Mâlik şöyle anlattı… şeklinde de rivâyet edilmektedir
Urdu
کعب بن مالک کہتے ہیں کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے جتنے بھی غزوے کیے ان میں سے غزوہ تبوک کو چھوڑ کر کوئی بھی غزوہ ایسا نہیں ہے کہ جس میں آپ کے ساتھ میں نہ رہا ہوں۔ رہا بدر کا معاملہ سو بدر میں جو لوگ پیچھے رہ گئے تھے ان میں سے کسی کی بھی آپ نے سرزنش نہیں کی تھی۔ کیونکہ آپ کا ارادہ ( شام سے آ رہے ) قافلے کو گھیرنے کا تھا، اور قریش اپنے قافلے کو بچانے کے لیے نکلے تھے، پھر دونوں قافلے بغیر پہلے سے طے کئے ہوئے جگہ میں جا ٹکرائے۔ جیسا کہ اللہ تعالیٰ نے آیت: «إذ أنتم بالعدوة الدنيا وهم بالعدوة القصوى والركب أسفل منكم ولو تواعدتم لاختلفتم في الميعاد ولكن ليقضي الله أمرا كان مفعولا» ( الأنفال: ۴۲ ) ۱؎ میں فرمایا ہے اور قسم اللہ کی، رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے غزوات میں سب سے بڑھ کر غزوہ بدر ہے۔ اور میں اس میں شرکت کو عقبہ کی رات میں اپنی بیعت کے مقابل میں قابل ترجیح نہیں سمجھتا۔ جب ہم نے اسلام پر عہد و میثاق لیا تھا۔ اس کے بعد نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کو چھوڑ کر میں کبھی پیچھے نہیں ہوا یہاں تک کہ غزوہ تبوک کا واقعہ پیش آ گیا۔ اور یہ آخری غزوہ تھا جس میں آپ صلی اللہ علیہ وسلم تشریف لے گئے تھے، نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم نے لوگوں میں کوچ کا اعلان کر دیا۔ پھر انہوں نے لمبی حدیث بیان کی، کہا ( رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے غزوہ تبوک سے لوٹنے کے بعد ) میں آپ کی خدمت میں حاضر ہوا۔ آپ مسجد میں تشریف فرما تھے اور مسلمان آپ کے اردگرد بیٹھے ہوئے تھے۔ اور چاند کی روشنی بکھرنے کی طرح آپ نور بکھیر رہے تھے۔ آپ جب کسی معاملے میں خوش ہوتے تو آپ کا چہرہ انور دمکنے لگتا تھا، میں پہنچ کر آپ کے سامنے بیٹھ گیا۔ آپ نے فرمایا: ”کعب بن مالک! اس بہترین دن کی بدولت خوش ہو جاؤ جو تمہیں جب سے تمہاری ماں نے جنا ہے اس دن سے آج تک میں اب حاصل ہوا ہے“۔ میں نے کہا: اللہ کے نبی! یہ دن مجھے اللہ کی طرف سے حاصل ہوا ہے یا آپ کی طرف سے؟ آپ نے فرمایا: ”نہیں بلکہ اللہ کی طرف سے حاصل ہوا ہے“۔ پھر آپ نے یہ آیات پڑھیں «لقد تاب الله على النبي والمهاجرين والأنصار الذين اتبعوه في ساعة العسرة» یہاں تک کہ آپ تلاوت کرتے ہوئے «إن الله هو التواب الرحيم» ۱؎ تک پہنچے۔ آیت «اتقوا الله وكونوا مع الصادقين» بھی ہمارے ہی متعلق نازل ہوئی ہے۔ میں نے کہا: اللہ کے نبی! میری توبہ کی قبولیت کا تقاضہ ہے کہ میں جب بھی بولوں سچی بات ہی بولوں، اور میری توبہ میں یہ بھی شامل ہے کہ میں اپنا سارا مال اللہ اور اس کے رسول کے حوالے کر کے خود خالی ہاتھ ہو جاؤں۔ آپ نے فرمایا: ”اپنا کچھ مال اپنے لیے روک لو۔ یہ تمہارے لیے بہتر ہے“۔ میں نے کہا: تو پھر میں اپنا وہ حصہ روک لیتا ہوں جو خیبر میں ہے، اسلام قبول کرنے کے بعد اللہ نے میری نظر میں اس سے بڑھ کر کوئی اور نعمت مجھے نہیں عطا کی کہ میں نے رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم سے سچ بولا اور جھوٹ نہ بولے کہ ہم ہلاک ہو جاتے جیسا کہ ( جھوٹ بول کر ) دوسرے ہلاک و برباد ہو گئے۔ اور میرا گمان غالب یہ ہے کہ اللہ تعالیٰ نے سچائی کے معاملے میں جتنا مجھے آزمایا ہے کسی اور کو نہ آزمایا ہو گا، اس کے بعد تو میں نے کبھی جھوٹ بولنے کا قصد و ارادہ ہی نہیں کیا۔ اور میں اللہ کی ذات سے امید رکھتا ہوں کہ وہ باقی ماندہ زندگی میں بھی مجھے جھوٹ بولنے سے محفوظ رکھے گا۔ امام ترمذی کہتے ہیں: ۱- یہ حدیث زہری سے اس اسناد سے مختلف دوسری سندوں سے بھی آئی ہے، ۲- یہ بھی کہا گیا ہے کہ یہ حدیث روایت کی گئی ہے عبدالرحمٰن بن عبداللہ بن کعب بن مالک سے اور وہ روایت کرتے ہیں اپنے چچا عبیداللہ سے اور وہ کعب سے، اور اس کے سوا اور بھی کچھ کہا گیا ہے، ۳- یونس بن یزید نے یہ حدیث زہری سے روایت کی ہے، اور زہری نے عبدالرحمٰن بن عبداللہ بن کعب بن مالک سے کہ ان کے باپ نے کعب بن مالک سے سن کر بیان کیا۔