Arabic
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " آخِرُ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ رَجُلٌ فَهُوَ يَمْشِي مَرَّةً وَيَكْبُو مَرَّةً وَتَسْفَعُهُ النَّارُ مَرَّةً فَإِذَا مَا جَاوَزَهَا الْتَفَتَ إِلَيْهَا فَقَالَ تَبَارَكَ الَّذِي نَجَّانِي مِنْكِ لَقَدْ أَعْطَانِيَ اللَّهُ شَيْئًا مَا أَعْطَاهُ أَحَدًا مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ . فَتُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِي مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا وَأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا . فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا ابْنَ آدَمَ لَعَلِّي إِنْ أَعْطَيْتُكَهَا سَأَلْتَنِي غَيْرَهَا . فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . وَيُعَاهِدُهُ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهِ فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَيَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا ثُمَّ تُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ هِيَ أَحْسَنُ مِنَ الأُولَى فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِي مِنْ هَذِهِ لأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا وَأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا . فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ أَلَمْ تُعَاهِدْنِي أَنْ لاَ تَسْأَلَنِي غَيْرَهَا فَيَقُولُ لَعَلِّي إِنْ أَدْنَيْتُكَ مِنْهَا تَسْأَلُنِي غَيْرَهَا . فَيُعَاهِدُهُ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهِ فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَيَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا . ثُمَّ تُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ عِنْدَ بَابِ الْجَنَّةِ هِيَ أَحْسَنُ مِنَ الأُولَيَيْنِ . فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِي مِنْ هَذِهِ لأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا وَأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا . فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ أَلَمْ تُعَاهِدْنِي أَنْ لاَ تَسْأَلَنِي غَيْرَهَا قَالَ بَلَى يَا رَبِّ هَذِهِ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا . وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهَا فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَإِذَا أَدْنَاهُ مِنْهَا فَيَسْمَعُ أَصْوَاتَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْخِلْنِيهَا . فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ أَيُرْضِيكَ أَنْ أُعْطِيَكَ الدُّنْيَا وَمِثْلَهَا مَعَهَا قَالَ يَا رَبِّ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّي وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ " . فَضَحِكَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ أَلاَ تَسْأَلُونِّي مِمَّ أَضْحَكُ فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ قَالَ هَكَذَا ضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " مِنْ ضِحْكِ رَبِّ الْعَالَمِينَ حِينَ قَالَ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّي وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ إِنِّي لاَ أَسْتَهْزِئُ مِنْكَ وَلَكِنِّي عَلَى مَا أَشَاءُ قَادِرٌ " .
حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عفان بن مسلم، حدثنا حماد بن سلمة، حدثنا ثابت، عن انس، عن ابن مسعود، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " اخر من يدخل الجنة رجل فهو يمشي مرة ويكبو مرة وتسفعه النار مرة فاذا ما جاوزها التفت اليها فقال تبارك الذي نجاني منك لقد اعطاني الله شييا ما اعطاه احدا من الاولين والاخرين . فترفع له شجرة فيقول اى رب ادنني من هذه الشجرة فلاستظل بظلها واشرب من مايها . فيقول الله عز وجل يا ابن ادم لعلي ان اعطيتكها سالتني غيرها . فيقول لا يا رب . ويعاهده ان لا يساله غيرها وربه يعذره لانه يرى ما لا صبر له عليه فيدنيه منها فيستظل بظلها ويشرب من مايها ثم ترفع له شجرة هي احسن من الاولى فيقول اى رب ادنني من هذه لاشرب من مايها واستظل بظلها لا اسالك غيرها . فيقول يا ابن ادم الم تعاهدني ان لا تسالني غيرها فيقول لعلي ان ادنيتك منها تسالني غيرها . فيعاهده ان لا يساله غيرها وربه يعذره لانه يرى ما لا صبر له عليه فيدنيه منها فيستظل بظلها ويشرب من مايها . ثم ترفع له شجرة عند باب الجنة هي احسن من الاوليين . فيقول اى رب ادنني من هذه لاستظل بظلها واشرب من مايها لا اسالك غيرها . فيقول يا ابن ادم الم تعاهدني ان لا تسالني غيرها قال بلى يا رب هذه لا اسالك غيرها . وربه يعذره لانه يرى ما لا صبر له عليها فيدنيه منها فاذا ادناه منها فيسمع اصوات اهل الجنة فيقول اى رب ادخلنيها . فيقول يا ابن ادم ما يصريني منك ايرضيك ان اعطيك الدنيا ومثلها معها قال يا رب اتستهزي مني وانت رب العالمين " . فضحك ابن مسعود فقال الا تسالوني مم اضحك فقالوا مم تضحك قال هكذا ضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم . فقالوا مم تضحك يا رسول الله قال " من ضحك رب العالمين حين قال اتستهزي مني وانت رب العالمين فيقول اني لا استهزي منك ولكني على ما اشاء قادر
Bengali
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সবার শেষে এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। সে একবার সম্মুখে হাটবে আবার একবার উপুড় হয়ে পড়ে যাবে। জাহান্নামের আগুন তাকে ঝাপটা দিবে। অগ্নিসীমা অতিক্রম করার পর সে তার দিকে ফিরে দেখবে এবং বলবে, সে সত্তা কত মহিমাময় যিনি আমাকে তোমা হতে নাযাত দিয়েছেন। তিনি আমাকে এমন জিনিস দান করেছেন যা পূর্বের বা পরের কাউকেও প্রদান করেননি। এরপর তার সামনে একটি গাছ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে; (যা দেখে) সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমাকে এ গাছটির নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি এবং এর নীচে প্রবাহিত পানি থেকে পিপাসা নিবারণ করতে পারি। আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ হে আদম সন্তান যদি আমি তোমাকে তা দান করি, তবে হয়ত তুমি আবার অন্য একটির প্রার্থনা করে বসবে। তখন সে বলবে, না, হে প্ৰভু! এর অতিরিক্ত কিছু চাইব না, বলে সে আল্লাহ তা'আলার নিকট কসম করবে এবং আল্লাহও তার ওযর গ্রহণ করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করেছে যা দেখে সবর করা যায় না। অতএব আল্লাহ তা'আলা তাকে এ গাছটির নিকটবর্তী করে দিবেন। আর সে তার ছায়া গ্রহণ করবে ও পানি পান করবে। তারপর আবার একটি গাছ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে; যেটি প্রথমটি অপেক্ষা অধিক সুন্দর। তা দেখেই সে প্রার্থনা করবে, হে পরওয়ারদিগার! আমাকে এ গাছের নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি তা থেকে পানি পান করতে পানি এবং এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি। এরপর আর কিছুর প্রার্থনা করবো না। আল্লাহ উত্তর দিবেনঃ আদম সন্তান! তুমি না আমার কসম করে বলেছিলে, আর কোনটির প্রার্থনা জানাবে না। তিনি আরো বলবেনঃ যদি আমি তোমাকে তার নিকটবর্তী করে দেই তবে তুমি হয়ত আরো কিছুর জন্য প্রার্থনা করবে। সে আর কিছু চাইবে না বলে কসম করবে। আল্লাহ তা'আলা তার এ ওযর কবুল করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করছে যা দেখে সবর করা যায় না। অতঃপর তিনি তাকে এর নিকটবর্তী করে দিবেন। আর সে এর ছায়া গ্রহণ করবে ও পানি পান করবে। এরপর আবার জান্নাতের দরজার কাছে আরেকটি গাছ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, এটি পূর্বের দুটি গাছ অপেক্ষাও সুন্দর। তাই সে বলে উঠবে, হে প্রতিপালক! আমাকে এ গাছের নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি ও পানি পান করতে পারি। আমি আর কিছু প্রার্থনা করবো না। আল্লাহ বলবেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি আমার নিকট আর কিছু চাইবে না বলে কসম করনি? সে উত্তরে বলবে, অবশ্যই করেছি। হে প্রভু! তবে এটিই। আর কিছু চাইবো না। আল্লাহ তার ওযর গ্রহণ করবেন, কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করছে যা দেখে সবর করা যায় না। তিনি তাকে এর নিকটবর্তী করে দিবেন। যখন তাকে নিকটবর্তী করে দেয়া হবে। আর জান্নাতীদের কণ্ঠস্বর তার কান ধ্বনিত হবে, তখন সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। আল্লাহ বলবেনঃ হে আদম সন্তান! তোমার কামনা কোথায় গিয়ে শেষ হবে? আমি যদি তোমাকে পৃথিবী এবং তার সমপরিমাণ বস্তু দান করি তবে কি তুমি পরিতৃপ্ত হবে? সে বলবে, হে প্রতিপালক আপনি ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছেন! আপনি তো সারা জাহানের প্রতিপালক। এ কথাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বর্ণনাকারী ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হেসে ফেললেন। আর বললেন, আমি কেন হাসছি তা তোমরা জিজ্ঞেস কররে না? তারা বলল, কেন হাসছেন? তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও অনুরূপ হেসেছিলেন। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন হাসছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এজন্য যে, ঐ ব্যক্তিটির এ উক্তি "আপনি আমার সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছেন, আপনিতো সারা জাহানের প্রতিপালক” শুনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হেসেছেন বলে আমি হাসলাম। যা হোক আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না। মনে রেখ, আমি আমার সকল ইচ্ছার উপর ক্ষমতাবান। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯, ইসলামিক সেন্টারঃ)
English
Ibn Mas'ud reported:Verily the Messenger of Allah said: The last to enter Paradise would be a man who would walk once and stumble once and be burnt by the Fire once. Then when he gets beyond it, he will turn to it and say: Blessed is He Who has saved me from thee. Allah has given me something He has not given to any one of those in earlier or later times. Then a tree would be raised up for him and he will say: O my Lord I bring me near this tree so that I may take shelter in its shade and drink of its water. Allah, the Exalted and Great, would say: O son of Adam, if I grant you this, you will ask Me for something else. He would say: No. my Lord. And he would promise Him that he would not ask for anything else. His Lord would excuse him because He sees what he cannot help desiring; so He would bring him near it, and he would take shelter in its shade and drink of its water. Afterwards a tree more beautiful than the first would be raised up before him and he would say: O my Lord! bring me near this tree in order that I may drink of its water and take shelter in its shade and I shall not ask Thee for anything else. He (Allah) would say: O son of Adam, if I bring you near it you may ask me for something else. He would promise Him that he would not ask for anything else. His Lord will excuse him because He would see something he cannot help desiring. So He would bring him near it and he would enjoy its shade and drink its water. Then a tree would be raised up for him at the gate of the Paradise, more beautiful than the first two. He would say: O my Lord! bring me near this (tree) so that I may enjoy its shade and drink from its water. I shall not ask Thee for anything else. He (Allah) would say: O son of Adam! did you not promise Me that you would not ask Me anything else? He would say: Yes, my Lord, but I shall not ask Thee for anything else. His Lord would excuse him for He sees something the temptation of which he could not resist. He (Allah) would bring him near to it, and when He would bring him near it he would hear the voices of the inhabitants of the Paradise. He would say: O my Lord! admit me to it. He (Allah) would say: O son of Adam, what will bring an end to your requests to Me? Will it please you if I give you the whole world and a like one along with it? He will say: O my Lord! art Thou mocking at me, though Thou art the Lord of the worlds? Ibn Mas'ud laughed and asked (the hearers): Why don't you ask me what I am laughing at. They (then) said: Why do you laugh? He said: It is in this way that the Messenger of Allah (ﷺ) laughed. They (the companions of the Holy Prophet) asked: Why do you laugh. Messenger of Allah? He said: On account of the laugh of the Lord of the universe, when he ldesirer of Paradise) sai Thou mocking at me though Thou art the Lord of the worlds? He would say: I am not mocking at you, but I have power to do whatever I will
French
Indonesian
Telah menceritakan kepada kami [Abu Bakar bin Abu Syaibah] telah menceritakan kepada kami ['Affan bin Muslim] telah menceritakan kepada kami [Hammad bin Salamah] telah menceritakan kepada kami [Tsabit] dari [Anas] dari [Ibnu Mas'ud] bahwa Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bersabda: "Orang yang terakhir kali masuk surga adalah seorang laki-laki, dia terkadang berjalan, terkadang menyungkur, dan terkadang api neraka mejilatnya. Ketika dia telah melewatinya, maka dia menoleh kepada ke api tersebut seraya berkata, 'Mahasuci Allah yang telah menyelamatkanku darimu. Allah telah memberikan sesuatu kepadaku yang mana Dia tidak pernah memberikannya kepada orang yang awal dan akhir.' Lalu sebuah pohon diangkatkan kepadanya, lalu dia berkata, 'Wahai Rabbku, dekatkanlah kepadaku pohon ini agar aku dapat bernaung dengan naungannya dan minum airnya.' Lalu Allah berfirman: "Wahai anak Adam, boleh jadi jika Aku memberikannya kepadamu, niscaya kamu akan meminta yang lain kepadaKu.' Maka dia menjawab, 'Tidak wahai Rabbku.' Lalu dia berjanji kepada Allah untuk tidak minta selain itu. Sedangkan Rabbnya memberikan udzur kepadanya karena Dia melihat sesuatu yang dia pasti tidak dapat menahannya. Lalu pohon tersebut didekatkan kepadanya, lalu dia berlindung pada naungannya dan minum dari airnya. Kemudian diangkatlah sebuah pohon lain yang lebih bagus daripada yang pertama. Maka dia berkata, 'Wahai Rabbku, dekatkanlah pohon ini kepadaku agar aku dapat minum dari airnya dan berlindung dengan naungannya, aku tidak akan meminta kepadaMu selainnya.' Maka Allah berkata, 'Wahai anak Adam, bukankah kamu telah berjanji kepada-Ku untuk tidak meminta selainnya.' Lalu Allah berkata lagi, 'Boleh jadi jika Aku mendekatkannya kepadamu niscaya kamu meminta hal lainnya'. Lalu dia berjanji untuk tidak meminta kepada Allah selain itu. Sedangkan Rabbnya memberikan udzur kepadanya karena Dia melihat sesuatu yang mana dia tidak akan mampu menahan diri atasnya. Lalu Allah mendekatkan pohon tersebut untuknya, sehingga dia dapat berlindung dengan naungannya, dan minum dari airnya. Kemudian pohon lainnya diangkat untuknya di sisi pintu surga. Pohon itu lebih indah daripada keduanya. Lalu dia berkata, 'Wahai Rabbku, dekatkanlah kepadaku pohon ini agar aku dapat berlindung dengan naungannya dan minum dari airnya, aku tidak akan meminta kepadamu hal lainnya. Maka Allah berkata, 'Wahai anak Adam, bukankah kamu berjanji kepada-Ku untuk tidak memintaku selainnya.' Dia menjawab, 'Ya, memang benar wahai Rabbku. Kali ini aku tidak akan memintanya kepadamu selainnya'. Sedangkan Rabbmu memberikan udzur kepadanya karena dia melihat pada dirinya sesuatu yang mana dia tidak bisa menahan diri darinya. Lalu Allah mendekatkannya darinya. Ketika Allah mendekatkannya darinya, maka dia mendengar suara penduduk surga. Lalu dia berkata, 'Wahai Rabbku, masukkanlah aku kepadanya'. Maka Allah berkata, 'Wahai anak Adam, apa yang bisa membuatmu tidak meminta lagi kepadaKu. Apakah kamu rela bila Aku memberikanmu dunia dan semisalnya bersamanya.' Dia menjawab, 'Wahai Rabbku, apakah kamu memperolok-olokku, padahal Engkau adalah Rabb alam semesta'." Lalu Ibnu Mas'ud tertawa, seraya berkata, 'Tidakkah kalian bertanya kepadaku tentang sesuatu yang membuatku tertawa? ' Mereka bertanya, 'Apa yang membuatmu tertawa? ' Ibnu Mas'ud berkata, 'Demikianlah Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam tertawa.' Para sahabat, 'Apa yang membuatmu tertawa wahai Rasulullah? ' Beliau menjawab: '(Aku tertawa) karena sesuatu yang membuat tertawa Rabb alam semesta ketika hamba tersebut berkata, 'Apakah Engkau memperolok-olokku, padahal Engkau adalah Rabb semesta alam.' Allah menjawab, 'Sesungguhnya Aku tidak memperolok-olokmu, akan tetapi Aku mampu untuk melakukan segala sesuatu yang Aku kehendaki
Russian
Сообщается со слов Анаса, что Ибн Мас‘уд передал, что Посланник Аллаха ﷺ сказал: «Последним из тех, кто войдёт в Рай, станет человек, который будет то идти, то падать ничком, а иногда Огонь будет обжигать его лицо. Выбравшись из (Огня), он повернётся к нему и воскликнет: “Благословен Тот, Кто спас меня от тебя! Аллах даровал мне то, чего не даровал никому из числа первых и последних!” После этого перед ним покажется дерево, и он попросит: “О Господь мой, приведи меня к этому дереву, чтобы я укрылся в его тени и испил его воды!” (На это) Всемогущий и Великий Аллах скажет: “О сын Адама, если Я дарую тебе это, ты, наверное, попросишь у Меня что-нибудь ещё”. (Этот человек) воскликнет: “Нет, о Господь мой!” и станет обещать Ему, что больше ничего не попросит. Тогда Господь (этого человека) простит его, ибо увидит, что у того не хватит терпения, (если не оказать ему эту милость). Он приведёт его к (этому дереву, а человек) укроется в его тени и выпьет воду, (которая там будет). Потом перед ним покажется дерево более красивое, чем первое, и (человек) попросит: “О Господь мой, приведи меня к этому (дереву), чтобы я испил его воды и укрылся в его тени, и больше я ничего у Тебя не попрошу!” (Аллах) скажет: “О сын Адама, разве ты не обещал мне, что больше ничего просить не будешь?” а (человек) станет обещать Ему, что больше ничего не попросит. (Аллах) скажет: “О сын Адама, если я приведу тебя к нему, ты, наверное, попросишь у Меня что- нибудь ещё”, а (человек) станет обещать Ему, что больше ничего не попросит. Тогда его Господь простит его, ибо увидит, что у того не хватит терпения, (если не оказать ему эту милость). Он приведёт его к (этому дереву), а тот укроется в его тени и выпьет воду, (которая там будет). После этого перед ним покажется (третье) дерево, (растущее) у врат Рая и ещё более красивое, чем первые два. (Человек) попросит: “О Господь мой, приведи меня к этому (дереву), чтобы я испил его воды и укрылся в его тени, и больше я ничего у Тебя не попрошу!” Тогда (Аллах) скажет: “О сын Адама, разве ты не обещал мне, что больше ничего просить не будешь?” (Человек) воскликнет: “Да, о Господь мой. (Даруй мне только) это, и больше я ни о чём Тебя не попрошу!” и Господь простит (этого человека), ибо увидит, что у того не хватит терпения, (если не оказать ему эту милость), и приведёт его к (этому дереву). Когда же Он приведёт (человека) к нему, и (человек) услышит голоса обитателей Рая, он воскликнет: “О Господь мой, введи меня (в Рай)!” Тогда (Аллах) скажет: “О сын Адама, что (ещё для тебя сделать), чтобы ты (перестал обращаться ко Мне с просьбами)? Останешься ли ты довольным, если Я дарую тебе (весь) мир дольний и ещё один, подобный ему?” (Человек) спросит: “О Господь мой, неужели Ты, Господь миров, насмехаешься надо мной?!”». (Дойдя до этого места), Ибн Мас‘уд рассмеялся, а потом спросил (тех, кто его слушал): «Не спросите ли вы, что заставляет меня смеяться?» (Люди) стали спрашивать: «Почему ты смеёшься?» (В ответ им) он сказал: «Так же засмеялся и Посланник Аллаха ﷺ, и (люди) спросили его: «Почему ты смеёшься, о посланник Аллаха?» Он ответил: «Потому что, когда (человек) спросит: “О Господь мой, неужели Ты, Господь миров, насмехаешься надо мной?!” Господь миров засмеётся и скажет: “Поистине, Я не насмехаюсь над тобой, но ведь Я могу сделать всё, что захочу!”»
Tamil
Turkish
Bize Ebu Bekr b. Ebi Şeybe tahdis etti. Bize Affan b. Müslim tahdis etti, bize Hammad b. Seleme tahdis etti. Bize Sabit, Enes'ten tahdis etti. O İbn Mesud'dan rivayet ettiğine göre Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) şöyle buyurdu: "Cennete son girecek kişi bir adamdır. O bazen yürüyecek, bazen tökezleyecek. Bazen ateş onun yüzünü yalayacak. Ateşi geçip geride bırakır bırakmaz, ona doğru dönecek ve şöyle diyecek: Beni senden kurtaranın şanı ne mübarektir! Andolsun Allah bana öncekilerden ve sonrakilerden hiç kimseye vermediği bir şey verdi. Derken ona bir ağaç gösterilecek, Rabbim beni bu ağaca yaklaştır da onun gölgesinde gölgeleneyim, suyundan içeyim diyecek. Aziz ve Celil Allah: Ey Ademoğlu, eğer onu sana verecek olursam benden ondan başkasını da isteyebileceksin, buyuracak. O: Hayır, Rabbim diyecek ve ondan o ağaçtan başka bir şey istemeyeceğine dair ona ahitler verecek. Rabbi ise onu mazur görecek çünkü o adam sabredip, dayanamayacağı bir şey görmüş olacaktır. Derken onu o ağaca yaklaştırır. O da gölgesinde gölgelenir, suyundan içer. Sonra ona birincisinden daha güzel bir ağaç gösterilir, bu sefer yine: Rabbim beni buna yakınlaştır da suyundan içeyim, gölgesinde gölgeleneyim. Ondan başka da senden bir şey istemeyeceğim diyecek. Yüce Allah: Ey Ademoğlu, sen bana benden başkasını istemeyeceğine dair ahitler vermemiş miydin, buyuracak. Ayrıca: Seni ona yaklaştıracak olursam sen benden başkasını isteyeceksin, diyecek. Adam Rabbine, başkasını ondan istemeyeceğine dair ahit verecek, Rabbi ise onu mazur görecek; çünkü adam sabredip, dayanamayacağı şeyler görecektir. Yüce Allah onu o ağaca yaklaştıracak, o da gölgesinde gölgelenip suyundan içecek sonra cennetin kapısının yanında ilk iki ağaçtan daha güzel bir başka ağaç ona gösterilecek. Rabbim, beni buna yaklaştır da gölgesinde gölgeleneyim, suyundan içeyim. Senden ondan başka bir şey de istemeyeceğim, diyecek. Rabbi: Ey Ademoğlu, sen bana ondan başkasını benden istemeyeceğine dair ahit vermemiş miydin, buyuracak. Adam:Vermiştim Rabbim, son olarak bunu da ver, senden daha başkasını istemeyeceğim, diyecek. Rabbi onu yine mazur görecek; çünkü adam sabredip, dayanamayacağı bir şey görecek. Sonra onu o ağaca da yaklaştıracak. Onu ağaca yaklaştırınca cennetlikIerin seslerini işitecek, Rabbim, beni içine koy diyecek. Rabbi: Ey Ademoğlu sana daha ne versem de senin benden dileklerin son bulsa, sana dünyayı ve onunla birlikte onun mislini vermem seni razı eder mi, buyuracak. Adam: Rabbim sen alemlerin Rabbi iken benimle alay mı ediyorsun, diyecek." Hadisin burasında İbn Mesud güldü ve: Neden güldüğümü sormayacak mısınız, dedi. Meclisindekiler: Neden güldün, diye sordular. Abdullah: Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem)'de böyle güldü. Ashab: Neden gülüyorsun, ey Allah'ın Resulü, deyince şöyle buyurdu: '1\dam: Sen alemlerin Rabbi iken benimle alay mı ediyorsun ,deyince, yüce Rabbi ona: Ben seninle alay etmiyorum (3/13b) ama ben dilediğim her şeye kadir olanım, buyurup güleceğinden dolayı (ben de güldüm)" buyurdu. Yalnız Müslim rivayet etmiştir; Tuhfetu'l-Eşraf, 9188 NEVEVİ ŞERHİ: "Cennete en son girecek kişi. .. " Bu kişi bazen yüzüstü düşecek, bazen ateş onun yüzünü yalayacak, onu karartacak ve onda bir iz bırakacak. "Çünkü asabredip dayanamayacağı şeyler görecek" anlamındaki ibare ilk iki seferinde asıl nüshalarda aynı şekilde kaydedilmiş olmakla birlikte, üçüncüsü çoğu asıl nüshalarda da "aleyhi"deki zam ir çoğunda "aleyha" olarak kaydedilmiştir. Her ikisi de sahihtir. ''aleyha" şekline göre sabredip, dayanamayacağı bir nimet gördüğü için, demek olur. Yüce Allah'ın söyleyeceği belirtilen: "Ey A.demoğlu, sana ne versem de dileklerinin sonu gelse" buyruğu, sana ne versem de senin benden dileğini kesip sona erdirse, demektir. Dilciler buradaki fiile bu şekilde kesmek anlamını vermişlerdir. Ama bu anlamdaki ibare Müslim'den başka kaynaklarda: (~4~ L;) şeklindedir. İbrahim el-Harbı: Doğrusu budur deyip, Müslim'in sahihinde ve ondan başka kaynaklarda yer alan: (...) şeklinin doğru olmadığını söylemiştir. Ancak durum onun dediği' gıbı değildir. Çünkü isteyen bir kişi ne zaman istediklerine son verirse, kendisinden istekte bulunduğu kimseden de kopmuş olur. Bu ibarenin anlamı da: Seni ne razı eder ve seninle benim aramdaki bu isteğin sonu nasıl gelir, kesilir, demektir. Allah en iyi bilendir. "Ashab: Neden gülüyorsun ey Allah'ın Resulü, dedi. .. " Yüce Allah'ın gülmesinin anlamı daha önce açıkladığımız gibi, razı olması, rahmeti, kulları arasından rahmetini vermeyi dilediği kimselere hayır murad etmesi demektir. Allah en iyi bilendir. DAVUDOĞLU AÇIKLAMASI İÇİN 188.sayfa
Urdu
انس رضی اللہ عنہ نےحضرت ابن مسعود رضی اللہ عنہ سے روایت کی کہ رسول اللہ ﷺ نے فرمایا : ’’جنت میں سب سے آخر میں وہ آدمی داخل ہو گا جو کبھی چلےگا ، کبھی چہرے کے بل گرے گا اور کبھی آگ سے جھلسا دے گی ۔ جب و ہ آگ سے نکل آ ئے گا توپلٹ کر اس کو دیکھے گا اور کہے گا : بڑی برکت والی ہے وہ ذات جس نے مجھے تجھ سے نجات دے دی ۔ اللہ نے مجھے ایسی چیز عطا فرما دی جو اس نے اگلوں پچھلوں میں سے کسی کو عطا نہیں فرمائی ۔ اسے بلندی پر ایک درخت کے قریب کردے تاکہ میں اس کے سائے میں دھوپ سے نجات حاصل کروں اور اس کے پانی سے پیاس بجھاؤں ۔ اس پر اللہ عز وجل فرمائے گا : اے ابن آدم ! ہو سکتا ہے کہ میں تمہیں یہ درخت دےدوں تو تم مجھ سے اس کے سوا کچھ اور مانگو ۔ وہ کہے گا : نہیں ، اے میرے رب ! اور اللہ کے ساتھ عہد کرے گا کہ وہ اس سے اور کچھ نہ مانگے گا ۔ اس کا پروردگار اس کے عذر قبول کر لے گا کیونکہ وہ ایسی چیز دیکھ رہا ہو گاجس پر وہ صبر کر ہی نہیں سکتا ۔ تو اللہ تعالیٰ اسے اس ( درخت ) کے قریب کر دے گا اور وہ اس کے سائے میں دھوپ سے محفوظ ہو جائے گا اور اس کاپانی پیے گا ، پھر اسے اوپر ایک اور درخت دکھایا جائے گاجو پہلے درخت سےزیادہ خوبصورت ہو گا تووہ کہے گا : اےمیرے رب ! مجھے اس درخت کے قریب کر دے تاکہ میں اس کے پانی سے سیراب ہوں اور اس کے سائے میں آرام کروں ، میں تجھ سے اس کے سوا کچھ نہیں مانگوں گا ۔ اللہ تعالیٰ فرمائےگا : اے آدم کے بیٹے ! کیا تم نے مجھ سےوعدہ نہ کیا تھا کہ تم مجھ سے کچھ اورنہیں مانگو گے؟ اور فرمائے گا : مجھے لگتا ہے اگر میں تمہیں اس کے قریب کردوں تو تم مجھ سے کچھ اور بھی مانگو گے ۔ وہ اللہ تعالیٰ سے وعدہ کرے گا کہ وہ اس کے علاوہ اور کچھ نہیں مانگے گا ، اس کا رب تعالیٰ اس کا عذر قبول کر لے گا ، کیونکہ وہ ایسی چیز دیکھ رہا ہو گا جس کے سامنے اس سے صبر نہیں ہو سکتا ۔ اس پر اللہ اسے اس درخت کے قریب کر دے گا ۔ وہ اس کے سائے کے نیچے آ جائے گا اور اس کےپانی سے پیاس بجھائے گا ۔ اور پھر ایک درخت جنت کے دروازے کے پاس دکھایا جائے گا جو پہلے دونوں درختوں سے زیادہ خوبصورت ہو گا تو وہ عرض کرے گا : اے میرے رب ! مجھے اس درخت کے قریب کر دے تاکہ میں اس کے سائے سے فائدہ اٹھاؤں اور اس کے پانی سے پیاس بجھاؤں ، میں تم سے اور کچھ نہیں مانگوں گا ۔ اللہ تعالیٰ فرمائے گا : اے آدم کے بیٹے! کیا تم نے میرے ساتھ وعدہ نہیں کیا تھا کہ او رکچھ نہیں مانگو گے؟ وہ کہے گا : کیوں نہیں میرے رب! ( وعدہ کیا تھا ) بس یہی ، اس کے علاوہ اور کچھ نہیں مانگوں گا ۔ اس کا رب اس کاعذر قبول کر لے گاکیونکہ وہ ایسی چیز دیکھ رہا ہو گا جس پر وہ صبر کر ہی نہیں سکتا ۔ تو وہ اس شخص کے اس ( درخت ) کے قریب کر دے گاتو وہ اہل جنت کی آوازیں سنے گا ۔ وہ کہے گا : اے میرے رب!مجھے اس میں داخل کر دے ، اللہ تعالیٰ فرمائے گا : اے آدم کے بیٹے ! وہ کیا چیز ہے جو تجھے راضی کر کے ہمارے درمیان سوالات کا سلسلہ ختم کر دے؟ کیا تم اس سے راضی ہو جاؤ گے کہ میں تمہیں ساری دنیا اور اس کے برابر اوردے دوں ؟وہ کہے گا : اے میرے رب! کیا تومیری ہنسی اڑاتا ہے جبکہ تو سارے جہانوں کا رب ہے ۔ ‘ ‘ اس پر ابن مسعود رضی اللہ عنہ ہنس پڑے اور کہا : کیا تم مجھ سے یہ نہیں پوچھوگے کہ میں کیوں ہنسا؟ سامعین نے پوچھا : آپ کیوں ہنسے؟ کہا : اسی طرح رسول اللہ ﷺ ہنسے تھے توصحابہ کرام رضی اللہ عنہ نے پوچھا تھا : اے اللہ کے رسول ! آپ کیوں ہنس رہے ہیں ؟ آپ نے فرمایا : ’’رب العالمین کے ہنس پڑے پر ، جب اس نے کہا کہ تو سارے جہانوں کارب ہے ، میری ہنسی اڑاتا ہے ؟ اللہ فرمائے گا : میں تیری ہنسی نہیں اڑاتا بلکہ میں جو چاہوں کر سکتا ہوں ۔ ‘ ‘