Arabic
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْوَحْىِ الرُّؤْيَا الصَّادِقَةَ فِي النَّوْمِ فَكَانَ لاَ يَرَى رُؤْيَا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ ثُمَّ حُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلاَءُ فَكَانَ يَخْلُو بِغَارِ حِرَاءٍ يَتَحَنَّثُ فِيهِ - وَهُوَ التَّعَبُّدُ - اللَّيَالِيَ أُولاَتِ الْعَدَدِ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهِ وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ فَيَتَزَوَّدُ لِمِثْلِهَا حَتَّى فَجِئَهُ الْحَقُّ وَهُوَ فِي غَارِ حِرَاءٍ فَجَاءَهُ الْمَلَكُ فَقَالَ اقْرَأْ . قَالَ " مَا أَنَا بِقَارِئٍ - قَالَ - فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ اقْرَأْ . قَالَ قُلْتُ مَ�� أَنَا بِقَارِئٍ - قَالَ - فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ اقْرَأْ . فَقُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي . فَقَالَ { اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ * خَلَقَ الإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ * اقْرَأْ وَرَبُّكَ الأَكْرَمُ * الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ * عَلَّمَ الإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ} " . فَرَجَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرْجُفُ بَوَادِرُهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ فَقَالَ " زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي " . فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ ثُمَّ قَالَ لِخَدِيجَةَ " أَىْ خَدِيجَةُ مَا لِي " . وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ قَالَ " لَقَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِي " . قَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ كَلاَّ أَبْشِرْ فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَصْدُقُ الْحَدِيثَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ وَتَقْرِي الضَّيْفَ وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ . فَانْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى وَهُوَ ابْنُ عَمِّ خَدِيجَةَ أَخِي أَبِيهَا وَكَانَ امْرَأً تَنَصَّرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعَرَبِيَّ وَيَكْتُبُ مِنَ الإِنْجِيلِ بِالْعَرَبِيَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكْتُبَ وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ . فَقَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ أَىْ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ . قَالَ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ يَا ابْنَ أَخِي مَاذَا تَرَى فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَبَرَ مَا رَآهُ فَقَالَ لَهُ وَرَقَةُ هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى صلى الله عليه وسلم يَا لَيْتَنِي فِيهَا جَذَعًا يَا لَيْتَنِي أَكُونُ حَيًّا حِينَ يُخْرِجُكَ قَوْمُكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَمُخْرِجِيَّ هُمْ " . قَالَ وَرَقَةُ نَعَمْ لَمْ يَأْتِ رَجُلٌ قَطُّ بِمَا جِئْتَ بِهِ إِلاَّ عُودِيَ وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا " .
حدثني ابو الطاهر، احمد بن عمرو بن عبد الله بن عمرو بن سرح اخبرنا ابن وهب، قال اخبرني يونس، عن ابن شهاب، قال حدثني عروة بن الزبير، ان عايشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم اخبرته انها قالت كان اول ما بدي به رسول الله صلى الله عليه وسلم من الوحى الرويا الصادقة في النوم فكان لا يرى رويا الا جاءت مثل فلق الصبح ثم حبب اليه الخلاء فكان يخلو بغار حراء يتحنث فيه - وهو التعبد - الليالي اولات العدد قبل ان يرجع الى اهله ويتزود لذلك ثم يرجع الى خديجة فيتزود لمثلها حتى فجيه الحق وهو في غار حراء فجاءه الملك فقال اقرا . قال " ما انا بقاري - قال - فاخذني فغطني حتى بلغ مني الجهد ثم ارسلني فقال اقرا . قال قلت م�� انا بقاري - قال - فاخذني فغطني الثانية حتى بلغ مني الجهد ثم ارسلني فقال اقرا . فقلت ما انا بقاري فاخذني فغطني الثالثة حتى بلغ مني الجهد ثم ارسلني . فقال { اقرا باسم ربك الذي خلق * خلق الانسان من علق * اقرا وربك الاكرم * الذي علم بالقلم * علم الانسان ما لم يعلم} " . فرجع بها رسول الله صلى الله عليه وسلم ترجف بوادره حتى دخل على خديجة فقال " زملوني زملوني " . فزملوه حتى ذهب عنه الروع ثم قال لخديجة " اى خديجة ما لي " . واخبرها الخبر قال " لقد خشيت على نفسي " . قالت له خديجة كلا ابشر فوالله لا يخزيك الله ابدا والله انك لتصل الرحم وتصدق الحديث وتحمل الكل وتكسب المعدوم وتقري الضيف وتعين على نوايب الحق . فانطلقت به خديجة حتى اتت به ورقة بن نوفل بن اسد بن عبد العزى وهو ابن عم خديجة اخي ابيها وكان امرا تنصر في الجاهلية وكان يكتب الكتاب العربي ويكتب من الانجيل بالعربية ما شاء الله ان يكتب وكان شيخا كبيرا قد عمي . فقالت له خديجة اى عم اسمع من ابن اخيك . قال ورقة بن نوفل يا ابن اخي ماذا ترى فاخبره رسول الله صلى الله عليه وسلم خبر ما راه فقال له ورقة هذا الناموس الذي انزل على موسى صلى الله عليه وسلم يا ليتني فيها جذعا يا ليتني اكون حيا حين يخرجك قومك . قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " اومخرجي هم " . قال ورقة نعم لم يات رجل قط بما جيت به الا عودي وان يدركني يومك انصرك نصرا موزرا
Bengali
আবূ তাহির আহমাদ ইবনু 'আমর ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) .... আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ওয়াহীর সূচনা হয়েছিল সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে। আর তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন তা সকালের সূর্যের মতই সুস্পষ্টরূপে সত্যে পরিণত হত। অতঃপর তার কাছে একাকী থাকা প্রিয় হয়ে পড়ে এবং তারপর তিনি হেরা গুহায় নির্জনে কাটাতে থাকেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন এবং এর জন্য কিছু খাদ্য সামগ্ৰী সঙ্গে নিয়ে যেতেন। তারপর তিনি খাদীজার কাছে ফিরে যেতেন এবং আরো কয়েক দিনের জন্য অনুরূপভাবে খাদ্য সামগ্ৰী নিয়ে আসতেন। তিনি হিরা গুহায় য়খন ধ্যানে রত ছিলেন, তখন তার নিকট ফেরেশতা আসলেন, এরপর বললেন, পড়ুন! তিনি বললেন, আমি তো পড়তে জানি না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন ফেরেশতা আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন চাপ দিলেন যে, আমার খুবই কষ্ট হল। তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়ুন আমি বললাম, আমি তো পড়তে সক্ষম নই। তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরলেন এরং দ্বিতীয়বারও এমন জোরে চাপ দিলেন যে, আমার খুবই কষ্ট হল। পরে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়ুন আমি বললাম, আমি তো পড়তে সক্ষম নই। এরপর আবার আমাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তৃতীয়বারও এমন জোরে চাপ দিলেন যে আমার খুবই কষ্ট হল। এরপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পাঠ করুন। আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। পাঠ করুন। আর আপনার প্রতিপালক মহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না”— (সূরাহ ‘আলাক ৯৬ঃ ১-৫)। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ওয়াহী নিয়ে ফিরে এলেন। তার স্কন্ধের পেশীগুলো কাপছিল। খাদীজাহ্ (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললেন, তোমরা আমাকে চাঁদর দ্বারা ঢেকে দাও, তোমরা আমাকে চাঁদর দ্বারা ঢেকে দাও। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অবশেষে তার ভীতি দূর হল। এরপর খাদীজাহ্ (রাযিঃ) কে সকল ঘটনা উল্লেখ করে বললেন, খাদীজাহ আমার কি হল? আমি আমার নিজের উপর আশঙ্কা করছি। খাদীজাহ (রাযিঃ) বললেনঃ না, কখনো তা হবে না। বরং সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আল্লাহর কসম! তিনি কখনো আপনাকে অপমানিত করবেন না। আল্লাহর কসম! আপনি স্বজনদের খোজ-খবর রাখেন, সত্য কথা বলেন, দুঃখীদের দুঃখ নিবারণ করেন, দরিদ্রদের বাঁচার ব্যবস্থা করেন, অতিথি সেবা করেন এবং প্রকৃত দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করেন। এরপর খাদীজাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ওয়ারাকাহ ইবনু নাওফাল ইবনু আসাদ ইবনু আবদুল উয্যা এর নিকট নিয়ে আসেন। ওয়ারাকাহ ছিলেন খাদীজাহ (রাযিঃ) এর চাচাত ভাই, ইনি জাহিলিয়াতের যুগে খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবী লিখতে জানতেন এবং ইন্জীল কিতাবের আরবী অনুবাদ করতেন। তিনি ছিলেন বৃদ্ধ এবং তিনি দৃষ্টিশক্তিহীন হয়ে পড়েছিলেন। খাদীজাহ্ (রাযিঃ) তাকে বললেনঃ চাচা, (সম্মানার্থে চাচা বলে সম্বোধন করেছিলেন। অন্য রিওয়ায়াতে "হে চাচাত ভাই” এ কথার উল্লেখ রয়েছে) আপনার ভাতিজা কি বলছে শুনুন তো! ওয়ারাকাহ ইবনু নাওফাল বললেন, হে ভাতিজা! কি দেখেছিলেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা দেখেছিলেন সব কিছু বিবৃত করলেন। ওয়ারাকাহ বললেন, এ তো সে সংবাদবাহক যাকে আল্লাহ মূসা (আঃ) এর নিকট প্রেরণ করেছিলেন। হায়! আমি যদি সে সময় যুবক থাকতাম, হায়! আমি যদি সে সময় জীবিত থাকতাম, যখন আপনার জাতিগোষ্ঠী আপনাকে দেশ থেকে বের করে দিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সত্যি কি আমাকে তারা বের করে দিবে? ওয়ারাকাহ্ বললেন, হ্যাঁ। যে ব্যক্তিই আপনার মত কিছু (নুবুওয়াত ও রিসালাত) নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছে, তার সঙ্গেই এরূপ দুশমনী করা হয়েছে। আর আমি যদি আপনার সে যুগ পাই তবে অবশ্যই আপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা করব*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০০, ইসলামিক সেন্টারঃ)
English
A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported:The first (form) with which was started the revelation to the Messenger of Allah was the true vision in sleep. And he did not see any vision but it came like the bright gleam of dawn. Thenceforth solitude became dear to him and he used to seclude himself in the cave of Hira', where he would engage in tahannuth (and that is a worship for a number of nights) before returning to his family and getting provisions again for this purpose. He would then return to Khadija and take provisions for a like period, till Truth came upon him while he was in the cave of Hira'. There came to him the angel and said: Recite, to which he replied: I am not lettered. He took hold of me [the Apostle said] and pressed me, till I was hard pressed; thereafter he let me off and said: Recite. I said: I am not lettered. He then again took hold of me and pressed me for the second time till I was hard pressed and then let me off and said: Recite, to which I replied: I am not lettered. He took hold of me and pressed me for the third time, till I was hard pressed and then let me go and said: Recite in the name of your Lord Who created, created man from a clot of blood. Recite. And your most bountiful Lord is He Who taught the use of pen, taught man what he knew not (al-Qur'an, xcvi. 1-4). Then the Prophet returned therewith, his heart was trembling, and he went to Khadija and said: Wrap me up, wrap me up! So they wrapped him till the fear had left him. He then said to Khadija: O Khadija! what has happened to me? and he informed her of the happening, saying: I fear for myself. She replied: It can't be. Be happy. I swear by Allah that He shall never humiliate you. By Allah, you join ties of relationship, you speak the truth, you bear people's burden, you help the destitute, you entertain guests, and you help against the vicissitudes which affect people. Khadija then took him to Waraqa b. Naufal b. Asad b. 'Abd al-'Uzza, and he was the son of Khadija's uncle, i. e., the brother of her father. And he was the man who had embraced Christianity in the Days of Ignorance (i. e. before Islam) and he used to write books in Arabic and, therefore, wrote Injil in Arabic as God willed that he should write. He was very old and had become blind Khadija said to him: O uncle! listen to the son of your brother. Waraqa b. Naufal said: O my nephew! what did you see? The Messenger of Allah (ﷺ), then, informed him what he had seen, and Waraqa said to him: It is namus that God sent down to Musa. Would that I were then (during your prophetic career) a young man. Would that I might be alive when your people would expel you! The Messenger of Allah (ﷺ) said: Will they drive me out? Waraqa said: Yes. Never came a man with a like of what you have brought but met hostilities. If I see your day I shall help you wholeheartedly
French
Aïcha, l'épouse du Prophète, (raa) a dit : La Révélation se présenta d'abord au Prophète (paix et bénédiction de Dieu sur lui) sous forme de visions pieuses qu'il voyait pendant son sommeil. Toutes lui parurent avec une très vive clarté. Puis, il eut de l'inclination à la retraite. Il se retirait alors dans la caverne de Hirâ', où il se livrait à la pratique d'actes d'adoration durant des nuits consécutives, avant qu'il ne rentre chez lui pour se munir de provisions de bouche. Il revenait ensuite vers Khadîja et prenait les provisions nécessaires pour une nouvelle retraite. Cela dura jusqu'à ce que la Vérité lui fut enfin révélée dans la caverne de Hirâ'. L'archange y vint alors lui dire : "Lis!". - "Je ne suis point de ceux qui lisent", répondit-il. Le Prophète raconta cet événement en ces termes : L'archange me saisit aussitôt, me pressa contre lui au point de me faire perdre toute force, puis me lâcha enfin en répétant : "Lis!". - "Je ne suis point de ceux qui lisent", répliquai-je encore. Cette scène se répéta à deux autres reprises. A la troisième fois, l'archange me dit : {Lis, au nom de ton Seigneur qui a créé, qui a créé l'homme d'une adhérence. Lis! Ton Seigneur est le Très Noble, qui a enseigné par la plume (le calame), a enseigné à l'homme ce qu'il ne savait pas}. Après avoir entendu ces versets, le Prophète (paix et bénédiction de Dieu sur lui), tremblant et palpitant, rentra chez son épouse Khadîja et s'écria : "Enveloppez-moi! Enveloppez-moi!". On s'empressa de le couvrir jusqu'au moment où son effroi fut dissipé. Alors, s'adressant à Khadîja, il la mit au courant de ce qui s'était passé, puis il ajouta : "Ah! J'ai cru que j'en allais mourir!". - "Au contraire, réjouis-toi!, répondit Khadîja, certes jamais Dieu ne te plongera dans l'ignominie; car tu maintiens tes liens de parenté, tu ne dis que la vérité, tu soutiens les faibles, tu donnes aux indigents, tu héberges les hôtes, et tu viens en aide aux éprouvés". Ensuite Khadîja emmena Muhammad chez Waraqa Ibn Nawfal Ibn 'Asad Ibn 'Abd Al-'Uzzâ Cet homme, qui était le cousin paternel de Khadîja, avait embrassé le christianisme aux temps antéislamiques. Il savait l'arabe par écrit, et avait traduit vers l'arabe des passages de l'Evangile autant que Dieu avait voulu. A cette époque, il était âgé et était devenu aveugle : "Ô mon cousin, lui dit Khadîja, écoute ce que va te dire le fils de ton frère". - "Ô fils de mon frère!, répondit Waraqa Ibn Nawfal, de quoi s'agit-il?". Le Prophète (paix et bénédiction de Dieu sur lui) lui raconta alors ce qu'il avait vu. "C'est l'archange, dit Waraqa Ibn Nawfal, que Dieu a envoyé autrefois à Moïse (Mûsa) (paix et bénédiction de Dieu sur lui). Plût à Dieu que je fusse jeune en ce moment! Ah! Comme je voudrais être encore vivant à l'époque où tes concitoyens te banniront!". - "Ils m'exileront donc?", s'écria le Prophète (paix et bénédiction de Dieu sur lui). - "Oui, reprit Waraqa Jamais un homme n'a apporté ce que tu apportes sans être persécuté! Si je vis encore en ce jour-là, je t'aiderai de toutes mes forces
Indonesian
Telah menceritakan kepada kami [Abu ath-Thahir Ahmad bin Amru bin Abdullah bin Amru bin Sarh] telah mengabarkan kepada kami [Ibnu Wahb] dia berkata, telah mengabarkan kepadaku [Yunus] dari [Ibnu Syihab] dia berkata, telah menceritakan kepada kami [Urwah bin az-Zubair] bahwa [Aisyah] isteri Nabi shallallahu 'alaihi wasallam, telah mengabarkan kepadanya bahwa, dia berkata, "Wahyu Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam yang pertama kali terjadi adalah dalam bentuk mimpi yang benar dalam tidur beliau. Tidaklah beliau mendapati mimpi tersebut melainkan sebagaimana munculnya keheningan fajar subuh, kemudian beliau suka menyepi sendiri. Beliau biasanya menyepi di gua Hira'. Di sana beliau menghabiskan beberapa malam untuk beribadah kepada Allah sebelum kembali ke rumah. Untuk tujuan tersebut, beliau membawa sedikit perbekalan. (Setelah beberapa hari berada di sana) beliau pulang kepada Khadijah, mengambil perbekalan untuk beberapa malam. Keadaan ini terus berlarut, sehingga beliau dibawakan wahyu ketika beliau berada di gua Hira'. Wahyu tersebut disampaikan oleh Malaikat Jibril dengan berkata, 'Bacalah wahai Muhammad! ' Beliau bersabda: "Aku tidak pandai membaca." Rasulullah bersabda: "Lalu malaikat memegang dan memelukku erat-erat, ketika aku merasakan kepayahan ia pun melepasku. Kemudian dia berkata, 'Bacalah wahai Muhammad! ' Beliau bersabda: 'Aku lalu menjawab, 'Aku tidak bisa membaca'. Beliau melanjutkan: 'Jibril kemudian memegang dan memelukku erat-erat lagi, hingga ketika aku merasakan kepayahan ia pun melepasnya kembali. Kemudian ia berkata, 'Bacalah wahai Muhammad! ' Beliau bersabda: "Aku lalu menjawab: 'Aku tidak pandai membaca.' Beliau melanjutkan: 'Jibril kembali memegang dan memelukku erat-erat, sehingga ketika aku merasakan kepayahan, ia pun melepaskanku. Kemudian dia membaca firman Allah: '(Bacalah wahai Muhammad dengan nama Rabbmu yang menciptakan sekalian makhluk. Dia menciptakan manusia dari segumpal darah, bacalah, dan Rabbmu Yang Maha Pemurah yang mengajar manusia melalui pena. Dia mengajar manusia sesuatu yang tidak diketahui) ' (Qs. Al 'Alaq: 1-5). Setelah kejadian itu beliau pulang dalam keadaan ketakutan hingga menemui Khadijah, seraya beliau berkata: 'Selimutilah aku! Selimutilah aku.' Lalu Khadijah memberi beliau selimut hingga hilang rasa gementar dari diri beliau. Beliau kemudian bersabda kepada Khadijah: 'Wahai Khadijah! Apakah yang telah terjadi kepadaku? ' Beliau pun menceritakan seluruh peristiwa yang telah terjadi. Beliau bersabda lagi: 'Aku benar-benar khawatir pada diriku.' Khadijah terus menghibur beliau dengan berkata, 'Janganlah begitu, bergembiralah! Demi Allah, Allah tidak akan menghinakanmu, selama-lamanya. Demi Allah! Sesungguhnya, kamu telah menyambung tali persaudaraan, berbicara jujur, memikul beban orang lain, suka mengusahakan sesuatu yang tidak ada, menjamu tamu dan sentiasa membela faktor-faktor kebenaran.' Khadijah beranjak seketika menemui Waraqah bin Naufal bin Asad bin Abdul Uzza, sepupu Khadijah. Dia pernah menjadi Nashrani pada zaman Jahiliyah. Dia suka menulis dengan tulisan Arab dan cukup banyak menulis kitab Injil dalam tulisan Arab. Ketika itu dia telah tua dan buta. Khadijah berkata kepadanya, 'Paman! (Paman adalah panggilan yang biasa digunakan oleh bangsa Arab bagi sepupu dan sebagainya karena menghormati mereka atas dasar lebih tua) Dengarlah cerita anak saudaramu ini.' Waraqah bin Naufal berkata, 'Wahai anak saudaraku! Apakah yang telah terjadi? ' maka Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam menceritakan semua peristiwa yang beliau telah alami. Mendengar peristiwa itu, Waraqah berkata, 'Ini adalah undang-undang yang dahulu pernah diturunkan kepada Nabi Musa. Alangkah baik seandainya aku masih muda di saat-saat kamu dibangkitkan menjadi Nabi. Juga alangkah baik kiranya aku masih hidup di saat-saat kamu diusir oleh kaummu.' Lalu Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam menegaskan: 'Apakah mereka akan mengusirku? ' Waraqah menjawab, "Ya, tidaklah setiap Nabi yang bangkit membawa tugas sepertimu, melainkan pasti akan dimusuhi. Seandainya aku masih hidup di zamanmu, niscaya aku akan tetap menolong dan membelamu'." Dan telah menceritakan kepada kami [Muhammad bin Rafi'] telah menceritakan kepada kami [Abdurrazzaq] telah mengabarkan kepada kami [Ma'mar] dia berkata, [az-Zuhri] berkata, Dan telah mengabarkan kepada kami [Urwah] dari [Aisyah] bahwa dia berkata, "Wahyu Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam yang pertama kali terjadi adalah…lalu dia melansirkan hadits seperti hadits Yunus, hanya saja dia berkata, "Demi Allah, Allah tidak akan membuatmu sedih selamanya." Dan dia berkata, "Khadijah berjakah, 'Wahai pamanku, dengarkan dari anak saudaramu ini'." Dan telah menceritakan kepada kami [Abdul Malik bin Syu'aib bin al-Laits] dia berkata, telah menceritakan kepada kami [bapakku] dari [kakekku] dia berkata, telah menceritakan kepada kami [Uqail bin Khalid] berkata [Ibnu Syihab] saya mendengar [Urwah bin az-Zubair] berkata, [Aisyah] isteri Nabi shallallahu 'alaihi wasallam berkata, "Lalu beliau kembali pada Khadijah dalam keadaan hatinya ketakutan, " lalu menceritakan hadits seperti hadits Yunus dan Ma'mar. Hanya saja dia tidak menyebutkan awal dari hadits keduanya, "Wahyu Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam yang pertama kali terjadi adalah mimpi yang benar." Dan dia mengikuti perkataan Yunus, "Demi Allah, Allah tidak akan menghinakanmu selamanya." Lalu dia menyebutkan perkataan Khadijah, "Wahai pamanku, dengarkan dari anak saudaramu
Russian
Сообщается со слов ‘Урвы ибн аз-Зубайра, что жена Пророка ﷺ ‘Аиша, сообщила ему (следующее): «Ниспослание откровений Посланнику Аллаха ﷺ началось с истинного видения во сне, а никаких иных видений, кроме тех, что приходили подобно утренней заре, он никогда не видел. Затем ему была внушена любовь к уединению, и он стал часто уединяться в пещере на горе Хира, где занимался делами благочестия, то есть поклонялся (Аллаху) в течение многих ночей, пока (у него не возникало желание) вернуться к семье. Обычно он брал с собой все необходимые для этого припасы, а потом возвращался к Хадидже и запасался всем, что ему было нужно, для нового такого же уединения. (Это продолжалось до тех пор), пока ему не открылась истина, когда он находился в пещере (на горе) Хира. К нему явился ангел и велел: “Читай!” на что он ответил: “Я не умею читать!” (Пророк ﷺ) сказал: «Тогда он схватил и сжал меня так, что я напрягся до предела, а затем отпустил и снова велел: “Читай!” Я сказал: “Я не умею читать”. Он ещё раз схватил и сжал меня так, что я (опять) напрягся до предела, а затем отпустил и велел: “Читай!” и я (снова) сказал: “Я не умею читать”. Тогда он в третий раз схватил и сжал меня так, что я (опять) напрягся до предела, а затем отпустил и сказал: “Читай во имя Господа твоего, Который сотворил (всё сущее) и сотворил человека из сгустка крови. Читай, ведь Господь твой Щедрейший, Который научил [человека писать] с помощью пера, научил человека тому, чего тот не знал” (сура «аль-‘Аляк», аят 2)». (‘Аиша сказала): «И Посланник Аллаха ﷺ, плечи которого дрожали (от страха), вернулся с этим, вошёл к Хадидже и сказал: “Укройте меня, укройте меня!” Его укрыли, и (он оставался в подобном положении некоторое время), пока страх его не прошёл, после чего спросил Хадиджу: “О Хадиджа, что со мной?” и обо всём рассказал ей. Потом он сказал: “Я испугался за себя!” Хадиджа сказала ему: “Нет, нет, радуйся! Клянусь Аллахом, Аллах никогда не покроет тебя позором, ведь ты поддерживаешь связи с родственниками, (всегда) говоришь правду, помогаешь нести бремя (слабого), оделяешь неимущего, оказываешь людям гостеприимство и помогаешь (им) переносить невзгоды судьбы”. А после этого Хадиджа вышла из дома вместе с ним и привела его к своему двоюродному брату Вараке ибн Науфалю ибн Асаду ибн ‘Абд-аль-‘Уззе, отец которого был братом её отца. (Варака), принявший христианство в эпоху джахилиййи, знал арабскую письменность, выписывал из Евангелия то, что было угодно Аллаху, и был (к тому времени) уже глубоким слепым старцем. Хадиджа сказала ему: “О дядя, выслушай своего племянника!” Варака спросил его: “О племянник, что ты видишь?” и Посланник Аллаха ﷺ сообщил ему о том, что он видел. (Варака) сказал ему: “Это тот же ангел, который был послан к Мусе, если бы я был молод (в эти дни) и мог дожить до того времени, когда народ твой станет изгонять тебя!” Посланник Аллаха ﷺ спросил: “А разве они будут изгонять меня?” Варака ответил: “Да, ибо когда бы ни являлся человек с чем-либо подобным тому, что принёс с собой ты, с ним всегда враждовали, но если я доживу до этого дня, то буду помогать тебе, как только смогу!”»
Tamil
Turkish
Bana Ebu't-Tahir Ahmed b. Amr b. Abdullah b. Amr b. Serh tahdis etti. Bize İbn Vehb haber verdi. Bana Yunus, İbn Şihab'dan haber verdi. Bize Urve b. Zubeyr'in tahdis ettiğine göre Nebi (Sallallahu aleyhi ve Sellem)'in zevcesi Aişe kendisine haber vererek dedi ki: - Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem)'e vahyin ilk başlangıcı, uykuda gördüğü sadık rüya olmuştu. Gördüğü her bir rüya mutlaka sabahın aydınlığı gibi çıkardı. Sonra ona tenhada yalnız kalmak sevdirildi. Bundan dolayı Hira mağarasında yalnız başına aile halkının yanına dönmeden önce birkaç gece tahannüs ederdi -ki o taabbud demektir.- Bunun için yanına azık da alırdı, sonra Hatice'nin yanına döner yine o kadarlık bir süre için azık alırdı. Nihayet o Hira mağarasında iken ansızın hak karşısına çıkıverdi. Melek ona gelerek: Oku dedi. O: "Ben okuma bilmem" dedi. (Allah Resulü) dedi ki: "Melek beni aldı ve takatim kesilinceye kadar sıkıştırdı sonra da beni bırakarak: Oku, dedi. (Allah ResuIü) dedi ki: Ben: Ben okuma bilmem, dedim. Bunun üzerine Melek yine beni aldı, ikinci defa takatim kesilinceye kadar sıkıtı sonra salıverip, oku dedi. Ben: Ben okuma bilmem, dedim. Yine beni tutup, takatim kesilinceye kadar üçüncü defa sıktı sonra beni salıvererek şöyle dedi: "Yaratan Rabbinin adıyla oku. O insanı (sülük gibi yapışan) bir kan pıhtısından yarattı. Oku, Rabbin en kerim olandır. O (kalemle) yazmayı öğretendir. İnsana bilmediğini öğretti." (Alak, 1-5) Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem), onlarla boyun etleri titreyerek geri döndü ve nihayet Hatice'nin yanına girerek: "Beni örtün, beni örtün" buyurdu. Onu örttüler. Sonunda üzerindeki korku gitti, sonra Hatice'ye: "Ey Hatice bana ne oluyor" deyip, ona olup biteni haber verdi ve: "Kendim için korktum" dedi. Hatice ona şöyle dedi: Asla! Sevin, Allah'a yemin ederim ki, Allah seni hiçbir zaman mahcup etmeyecektir. Allah'a yemin ederim ki sen akrabalık bağını gözetirsin, doğru konuşursun. Aciz kimselerin işlerini kendin yüklenirsin. Fakire verir, ona kazandınrsın, misafiri ağırlar ona ikram edersin, hak yolda çıkan musibetlere karşı yardımcı olursun. Sonra Hatice onu alıp Varaka b. Nevfel b. Esed b. Abduluzza'nın yanına götürdü. Varaka, Hatice'nin babasının kardeşi olan kendi amcasının oğlu idi. Cahiliye döneminde hristiyan olmuş bir kimse idi. Arapça yazı yazmayı bilir ve İncil'i de Allah'ın yazmasını dilediği kadar Arapça olarak yazardı. Oldukça yaşlı ve gözleri görmez bir ihtiyar idi. Hatice ona: Amcacığım, kardeşinin oğlunu bir dinle, dedi. Varaka b. Nevfel: Kardeşimin oğlu neler görüyorsun, dedi. Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) kendisine neler gördüğünü haber verdi. Varaka ona: Bu Musa (aleyhisselam)'a indirilen namusdur. Keşke o zamanlarda gücü, kuvveti yerinde bir genç olsaydım, keşke kavmin seni çıkaracağı zaman hayatta olsaydım, dedi. Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem): "Onlar beni çıkartacaklar mı ki" buyurdu. Varaka: Evet, senin getirdiklerini getirip de kendisine düşmanlık edilmemiş hiçbir adam yoktur. Şayet senin o gününe yetişecek olursam sana bütün gücümle olabildiği kadar yardım ederdim, dedi. Diğer tahric: Buhari, 4953; Tuhfetu'I-Eşraf
Urdu
یونس نے ابن شہاب ( زہری ) سے خبر دی ، انہوں نے کہا : مجھے عروہ بن زبیر نے حدیث سنائی کہ حضرت عائشہ رضی اللہ عنہ نے انہیں خبر دی انہوں نے کہا : رسول اللہ ﷺ کی طرف وحی کا آغاز سب سے پہلے نیند میں سچےخواب آنے سے ہوا ۔ رسول اللہ ﷺ جو خواب بھی دیکھتے اس کی تعبیر صبح کے روشن ہونے کی طرح سامنے آ جاتی ، پھر خلوت نشینی آپ کو محبوب ہو گئی ، آپ غار حراء میں خلوت اختیار فرماتے اور گھر واپس جا کر ( دوبارہ ) اسی غرض کے لیے زاد راہ لانے سے پہلے ( مقررہ ) تعداد مں راتیں تحنث میں مصروف رہتے ، تحنث عبادت گزاری کو کہتے ہیں ، ( اس کے بعد ) آپ پھر خدیجہ ؓ کے پاس واپس آ کر ، اتنی ہی راتوں کے لیے زاد ( سامان خور و نوش ) لے جاتے ، ( یہ سلسلہ چلتا رہا ) یہاں تک کہ اچانک آپ کے پاس حق ( کا پیغام ) آ گیا ، اس وقت آ پ غار حراء ہی میں تھے ، چنانچہ آپ کے فرشتہ آیا اور کہا : پڑھیے! آپ نے جواب دیا : میں پڑھ سکنے والا نہیں ہوں ، آپ نے فرمایا : تو اس ( فرشتے ) نے مجھے پکڑ کر زور سے بھینچا یہاں تک کہ ( اس کا دباؤ ) میری برداشت کی آخری حد کو پہنچ گیا ، پھر اس نے مجھے چھوڑ دیا اور کہا : پڑھیے ! میں میں نے کہا : میں پڑھ سکنے والا نہیں ہوں ، پھر اس نے مجھے پکڑا اور دوبارہ بھینچا یہاں تک کہ میری برداشت کی آخری حد آ گئی اور دوبارہ بھینچا یہاں تک کہ میری برداشت کی آخری حد آ گئی ، پھر اس نے مجھے چھوڑ دیا اور کہا : پڑھیے! میں نے کہا : میں پڑھ سکنے والا نہیں ہوں ، پھر اس نے تیسری دفعہ مجھے پکڑ کر پوری قوت سے بھینچا یہاں تک کہ میری برداشت کی آخری حد آ گئی ، پھر مجھے چھوڑ دیا اور کہا : ’’اپنے رب کے نام سے پڑھیے جس نے پیدا کیا ، اس نے انسان کو گوشت کے جونک جیسے لوتھڑے سے پیدا کیا ، پڑھیے اور آپ کا رب سب سے بڑھ کر کریم ہے جس نے قلم کے ذریعے سے تعلیم دی اور انسان کو سکھایا جو وہ نہ جانتا تھا ۔ ‘ ‘ رسول اللہ ﷺ ان آیات کے ساتھ واپس لوٹے ، ( اس وقت ) آپ کے کندھوں اور گردن کے درمیان کے گوشت کے حصے لرز رہے تھے یہاں تک کہ آپ خدیجہ ؓ کے پاس پہنچے اور فرمایا : ’’مجھے کپڑے اوڑھا ؤ ، مجھے کپڑا اوڑھا ؤ ۔ ‘ ‘ انہوں ( گھر والوں ) نے کپڑا اوڑھا دیا دیا یہاں تک کہ آپ کا خوف زائل ہو گیا تو آپ نے حضرت خدیجہؓ سے کہا : ’’ خدیجہ ! یہ مجھے کیا ہوا ہے ؟ ‘ ‘ خدیجہ نے جواب دیا : ہر گز نہیں ! ( بلکہ ) آپ کو خوش خبری ہو اللہ کی قسم ! اللہ تعالیٰ آپ کو ہرگز رسوا نہ کرے گا ، اللہ کی قسم ! آپ صلہ رحمی کرتے ہیں ، سچی بات کہتے ہیں ، کمزوروں کا بوجھ اٹھاتے ہیں ، اسے کما کر دیتے ہیں جس کے پاس کچھ نہ ہو ، مہمان نوازی کرتے ہیں ، حق کے لیے پیش آنےوالی مشکلات میں اعانت کرتے ہیں ، پھر خدیجہؓ آپ کو لے کر ورقہ بن نوفل بن اسد بن عبد العزیٰ کے پاس پہنچیں ، وہ حضرت خدیجہ ؓ کے چچازاد ، ان کووالد کے بھائی کے بیٹے تھے ، وہ ایسے آدمی تھے جو جاہلیت کے دور میں عیسائی ہو گئے تھے ، عربی خط میں لکھتے تھے ، اور جس قدر الہ کو منظور تھا ، انجیل کوعربی زبان میں لکھتے تھے ، بہت بوڑھے تھے اور بینائی جاتی رہی تھی ۔ خدیجہ ؓ نے ان سےکہا : چچا! اپنے بھتیجے کی بات سنیے ، ورقہ بن نوفل نے پوچھا : برادرز دے! آپ کیا دیکھتے ہیں ؟ رسول ا للہ ﷺ نے جو کچھ دیکھا تھا ، ا س کا حال بتایا تو ورقہ نے آپ سے کہا : یہ وہی ناموس ( رازوں کا محافظ ) ہے جسے موسیٰ علیہ السلام کی طرف بھیجا گیا تھا ، کاش ! اس وقت میں جوان ہوتا ، کا ش! میں اس وقت زندہ ( موجود ) ہوں جب آپ کی قوم آپ کو نکال دیں گی ۔ رسول اللہ ﷺ نے پوچھا؟ ’’ تو کیا یہی لوگ مجھے نکالنے والے ہوں گے؟ ‘ ‘ ورقہ نے کہا : ہاں ، کبھی کوئی آدمی آپ جیسا پیغام لے کر نہیں آیا مگر اس سے دشمنی کی گئی اور اگر آپ کا ( وہ ) دن میری زندگی میں آ گیا تو میں آپ کی بھر پور مدد کروں گا ۔