Arabic

Bengali

রেওয়ায়ত ১৬. উরওয়াহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত- উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) একটি সিজদার আয়াত পাঠ করিলেন জুম'আ দিবসে। আর তিনি ছিলেন মিম্বরের উপর। অতঃপর তিনি অবতরণ করিলেন এবং সিজদা করিলেন এবং তাহার সঙ্গে লোকেরাও সিজদা করিলেন। পরবর্তী জুম'আয় তিনি সেই সূরা পাঠ করিলেন। লোকেরা সিজদার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করিতে লাগিলেন। উমর (রাঃ) তখন বলিলেনঃ আপনারা অপেক্ষা করুন। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের উপর সিজদা ফরয করেন নাই, তবে আমরা যদি ইচ্ছা করি তা স্বতন্ত্র কথা! (ইহা শুনিয়া) তাহারা আর সিজদা করিলেন না। তিনি তাহাদিগকে সিজদা হইতে বিরত রাখিলেন। মালিক (রহঃ) বলেনঃ সিজদার আয়াত মিম্বরের উপর পাঠ করিলে, ইমামের মিম্বর হইতে অবতরণ করিয়া সিজদা করার প্রতি (আমাদের) আমল নাই (অর্থাৎ মিম্বর হইতে অবতরণ জরুরী নহে)। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের অভিমত এই যে, কুরআন শরীফে সিজদাসমূহের মধ্যে তাকিদী সিজদা হইতেছে এগারটি। ইহাদের একটিও মুফাসসালাতে নাই। মালিক (রহঃ) বলেনঃ সুজুদুল কুরআন (কুরআনের সিজদাসমূহ) হইতে কোন সিজদার আয়াত ফজরের নামাযের এবং আসরের নামাযের পর পাঠ করা কাহারও পক্ষে উচিত নহে। কারণ ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর (সূর্য) অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নামায পড়িতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন। আর সিজদাও নামাযে গণ্য, কাজেই কাহারও পক্ষে উচিত নহে যে, সেই দুই সময়ে কোন সিজদার আয়াত পাঠ করা। মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে যিনি একটি সিজদার আয়াত পাঠ করিয়াছেন, আর একজন ঋতুমতী মহিলা উহা শুনিল। তবে সেই মহিলা কি সিজদা করিবে? (উত্তরে) মালিক (রহঃ) বলিলেনঃ পুরুষ বা নারী, পবিত্রাবস্থা ব্যতীত সিজদা করিবে না। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হয় একজন মহিলা সম্পর্কে যিনি সিজদার আয়াত পাঠ করিয়াছেন, অন্য এক ব্যক্তি তাহা শুনিতেছে। সেই ব্যক্তির জন্য সিজদা করা জরুরী কি? (উত্তরে) মালিক (রহঃ) বলেনঃ সিজদা করা এই ব্যক্তির জন্য জরুরী নহে। সিজদা ওয়াজিব হয় সেই লোকের উপর যেসব লোক কোন ব্যক্তির সাথে নামাযে শরীক থাকেন এবং তাহার পিছনে ইকতিদা করেন। অতঃপর তাহাদের ইমাম সিজদার আয়াত পাঠ করিলে তাহারাও তাহার সহিত সিজদা করিবেন। আর যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনিয়াছে কোন লোকের মুখে (যিনি উহা পাঠ করিতেছেন), কিন্তু সেই ব্যক্তি এই লোকের ইমাম নহেন, তাহার জন্য এই সিজদা জরুরী নহে।

English

French

Ourwa a rapporté que Omar Ibn Al-Khattab, étant en chaire, il récita une sourate où il y a eu une prosternation, dans un jour de Vendredi, puis descendit, fit une prosternation et les hommes firent de même. Omar récita la même sourate un autre jour de Vendredi, et comme les hommes s'apprêtèrent à se prosterner, il leur dit: «Doucement, Allah ne nous a pas prescrit cette prosternation à moins que nous voulons la faire». Il ne s'est pas prosterné et il a empêché les hommes de la faire». Malek dit: «L'imam n'a pas à quitter sa chaire pour faire une prosternation quand il récite un verset qui l'exige». Malek a dit: «nous considérons qu'il y a dans le Coran onze prosternations dont aucune ne se trouve dans les sourates du «Moufassal». Et Malek a dit: «Il ne convient à personne de réciter, après les prières de l'aurore, et de l'asr, du Coran renfermant une prosternation parce que l'Envoyé d'Allah (salallahou alayhi wa salam) r (Sur lui la grâce et la paix d'Allah) a interdit toute prière faite après celle de l'aurore jusqu'au lever du soleil et après celle de l'asr jusqu'à son coucher. Et comme la prosternation fait partie de la prière, il est inconvenable de réciter du Coran, où il y a une prosternation en ces deux moments». On demanda à Malek au sujet de celui qui récite du Coran où il y a une prosternation alors que sa femme a ses menstrues: doit-elle se prosterner»? Il répondit: «ni l'homme, ni la femme n'auront à se prosterner, que quand ils sont en état de pureté». On demanda à Malek, , au sujet d'une femme qui récite du Coran, où il y a une prosternation, alors que son mari est à l'écoute; doit-il se prosterner avec elle II répondit: «Il n'aura pas à se prosterner, car à vrai dire; la prosternation n'est d'exigence que lorsque l'homme se trouve avec d'autres en présidant la prière, alors il récite le verset où il y a une prosternation, il se prosterne et les hommes la font avec lui. Mais au cas où un homme entend un tel verset récité par un autre qui n'est pas son imam, il ne doit pas faire la prosternation. Chapitre VI Les deux sourates «al-Ikhlas et al-Mulk

Indonesian

Telah menceritakan kepadaku dari Malik dari [Hisyam bin Urwah] dari [Bapaknya] bahwa [Umar bin Khatthab] pernah membaca salah satu ayat sajadah saat berada di atas mimbar pada shalat Jum'at. Lalu dia turun dan bersujud, hingga orang-orang pun ikut sujud. Kemudian dia membacanya lagi pada shalat Jum'at berikutnya, hingga orang-orang pun bersiap untuk sujud, namun Umar berkata, "Tenanglah, sesungguhnya Allah tidak mewajibkannya pada kita semua, kecuali kita yang menghendaki." Lalu Umar tidak sujud dan melarang orang-orang untuk sujud." Malik berkata, "Imam tidak diharuskan turun dari mimbar ketika membaca ayat sajadah untuk sujud

Turkish

Urdu