Arabic
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الآيَةَ {هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ} إِلَى قَوْلِهِ {أُولُو الأَلْبَابِ} قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ، فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّى اللَّهُ، فَاحْذَرُوهُمْ ".
حدثنا عبد الله بن مسلمة، حدثنا يزيد بن ابراهيم التستري، عن ابن ابي مليكة، عن القاسم بن محمد، عن عايشة رضى الله عنها قالت تلا رسول الله صلى الله عليه وسلم هذه الاية {هو الذي انزل عليك الكتاب منه ايات محكمات هن ام الكتاب واخر متشابهات فاما الذين في قلوبهم زيغ فيتبعون ما تشابه منه ابتغاء الفتنة وابتغاء تاويله} الى قوله {اولو الالباب} قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " فاذا رايت الذين يتبعون ما تشابه منه، فاوليك الذين سمى الله، فاحذروهم
Bengali
سُوْرَةُ آلِ عِمْرَانَ সূরাহ (৩) : আলে ‘ইমরান تُقَاةٌ وَتَقِيَّةٌ وَاحِدَةٌ (صِرٌّ) : بَرْدٌ. (شَفَا حُفْرَةٍ) مِثْلُ شَفَا الرَّكِيَّةِ وَهْوَ حَرْفُهَا (تُبَوِّئُ) تَتَّخِذُ مُعَسْكَرًا. الْمُسَوَّمُ الَّذِيْ لَهُ سِيْمَاءٌ بِعَلَامَةٍ أَوْ بِصُوْفَةٍ، أَوْ بِمَا كَانَ. (رِبِّيُّوْنَ) الْجَمِيْعُ وَالْوَاحِدُ رِبِّيٌّ. (تَحُسُّوْنَهُمْ) : تَسْتَأْصِلُوْنَهُمْ قَتْلًا. (غُزًّا) وَاحِدُهَا غَازٍ. (سَنَكْتُبُ) : سَنَحْفَظُ. (نُزُلًا) ثَوَابًا، وَيَجُوْزُ : وَمُنْزَلٌ مِنْ عِنْدِ اللهِ كَقَوْلِكَ أَنْزَلْتُهُ. وَقَالَ : مُجَاهِدٌ (وَالْخَيْلُ الْمُسَوَّمَةُ) الْمُطَهَّمَةُ الْحِسَانُ. قَالَ سَعِيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ : (وَحَصُوْرًا) لَا يَأْتِي النِّسَاءَ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ : مِنْ (فَوْرِهِمْ) مِنْ غَضَبِهِمْ يَوْمَ بَدْرٍ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ : (يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ) النُّطْفَةِ تَخْرُجُ مَيِّتَةً وَيُخْرِجُ مِنْهَا الْحَيَّ. (الْإِبْكَارُ) أَوَّلُ الْفَجْرِ، وَالْعَشِيُّ مَيْلُ الشَّمْسِ- أُرَاهُ- إِلَى أَنْ تَغْرُبَ. تُقَاةٌ وَتَقِيَّةٌ একই অর্থে ব্যবহৃত অর্থাৎ ভীতি ও সংযম, صِرٌّ ঠান্ডা। شَفَا حُفْرَةٍ কথাটি شَفَا الرَّكِيَّةِ এর মত অর্থাৎ গর্তের কিনারা। تُبَوِّئُ অস্ত্রে সজ্জিত সৈনিককে সারিবদ্ধ করছিল। الْمُسَوَّم কোন প্রতীক কিংবা অন্য কিছু দ্বারা চিহ্নিত করা। رِبِّيُّوْنَ বহুবচন। একবচনে رِبِّيٌّ আল্লাহ তা‘আলা ও আল্লাহ্পন্থী। تَحُسُّوْنَهُمْ তোমরা তাদের হত্যার দ্বারা সমূলে উৎপাটিত করছিলে। غُزًّا বহুবচন। একবচনে غَازٍ যোদ্ধা। سَنَكْتُبُ অচিরে আমি সংরক্ষণ করব। نُزُلًا প্রতিদান ও আতিথেয়তা হিসাবে। مُنْزَلٌ مِنْ عِنْدِ اللهِ পড়াও বৈধ। মুফাস্সির ইমাম মুজাহিদ (রহ.)-এর মতে الْخَيْلُ الْمُسَوَّمَةُ পরিপূর্ণ সুন্দর অশ্বপাল, ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, حَصُوْرًا কামভাব নিয়ে কোন মহিলার কাছে যায় না। ‘ইকরামাহ (রাঃ) বলেন, فَوْرِهِمْ বদরের দিনে তাদের ক্রোধ নিয়ে, মুজাহিদ (রহ.) বলেন, يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ নিষ্প্রাণ বীর্য নির্গত হয় এরপর তা থেকে জীবিত বের হয়। الإِبْكَارُ ঊষাকাল। وَالْعَشِيُّ সূর্য ঢলে যাওয়া থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। وَقَالَ مُجَاهِدٌ : الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ. (وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ) يُصَدِّقُ بَعْضُهُ بَعْضًا، كَقَوْلِهِ تَعَالَى :(وَمَا يُضِلُّ بِهٰٓإِلَّا الْفَاسِقِيْنَ) وَكَقَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ (وَيَجْعَلُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِيْنَ لَا يَعْقِلُوْنَ) وَكَقَوْلِهِ تَعَالَى: (وَالَّذِيْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًى وَّاٰتَاهُمْ تَقْوٰهُمْ) (زَيْغٌ) : شَكٌّ. (ابْتِغَآءَ الْفِتْنَةِ)الْمُشْتَبِهَاتِ. (وَالرَّاسِخُوْنَ)يَعْلَمُوْنَ. (يَقُوْلُوْنَ اٰمَنَّا بِهِ). ইমাম মুজাহিদ (রহ.) বলেন যে, সেটি হচ্ছে হালাল আর হারাম সম্পর্কিত। وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ আর অন্যগুলো রূপক, একটি অন্যটির সত্যতা প্রমাণ করে। যেমনঃ আল্লাহর বাণীঃ وَمَا يُضِلُّ بِهٰٓ إِلَّا الْفَاسِقِيْنَ -‘‘তিনি পথ পরিত্যাগকারী ব্যতীত বস্তুত কাউকে বিভ্রান্ত করেন না।’’ আবার- وَيَجْعَلُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِيْنَ لَا يَعْقِلُوْنَ যারা অনুধাবন করে না আল্লাহ তাদের কলুষলিপ্ত করেন। (সূরাহ ইউনুস ১০/১০০) তদুপরি আল্লাহর বাণীঃ وَالَّذِيْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًى وَّاٰتَاهُمْ تَقْوٰهُمْ ‘‘যারা সৎপথ অবলম্বন করেছে, আল্লাহ্ তাদেরকে আরও অধিক হিদায়াত দান করেন এবং তাদেরকে তাকওয়ার তাওফীক দেন’’- (সূরাহ মুহাম্মাদ ৪৭/১৭)। زَيْغٌ -সন্দেহ, ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ -ফিতনা শব্দের অর্থ রূপক। وَالرَّاسِخُوْنَ যাঁরা জ্ঞানে সু-গভীর তারা জানে এবং বলে আমরা তা বিশ্বাস করি। ৪৫৪৭. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়াতটি هُوَ الَّذِيْٓ أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ ........ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ ‘‘তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন। এগুলো কিতাবের মূল অংশ; আর অন্যগুলো রূপক; যাদের অন্তরে সত্য-লঙ্ঘন প্রবণতা রয়েছে শুধু তারাই ফিতনা এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তার অনুসরণ করে। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তাঁরা বলেন, আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেঃ আমরা এতে ঈমান এনেছি, এসবই আমাদের প্রভুর তরফ থেকে এসেছে। জ্ঞানবানরা ব্যতীত কেউ নাসীহাত গ্রহণ করে না’’- (সূরাহ আলে ইমরান ৩/৭) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছেন যে, যারা মুতাশাবাহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে। [মুসলিম ৪৭/১, হাঃ ২৬৬৫, আহমাদ ২৬২৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ)
English
Narrated `Aisha:Allah's Messenger (ﷺ) recited the Verse:-- "It is He who has sent down to you the Book. In it are Verses that are entirely clear, they are the foundation of the Book, others not entirely clear. So as for those in whose hearts there is a deviation (from the Truth ). follow thereof that is not entirely clear seeking affliction and searching for its hidden meanings; but no one knows its hidden meanings but Allah. And those who are firmly grounded in knowledge say: "We believe in it (i.e. in the Qur'an) the whole of it (i.e. its clear and unclear Verses) are from our Lord. And none receive admonition except men of understanding." (3.7) Then Allah's Messenger (ﷺ) said, "If you see those who follow thereof that is not entirely clear, then they are those whom Allah has named [as having deviation (from the Truth)] 'So beware of them
Indonesian
Telah menceritakan kepada kami [Abdullah bin Maslamah] Telah menceritakan kepada kami [Yazid bin Ibrahim At Tustari] dari [Ibnu Abu Mulaikah] dari [Al Qasim bin Muhammad] dari [Aisyah radliallahu 'anha] dia berkata; Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam membaca ayat ini; "Dia-lah yang menurunkan Al Kitab (Al Quran) kepada kamu. di antara (isi) nya ada ayat-ayat yang muhkamaat, Itulah pokok-pokok isi Al Qur'an dan yang lain (ayat-ayat) mutasyaabihaat. adapun orang-orang yang dalam hatinya condong kepada kesesatan, maka mereka mengikuti sebahagian ayat-ayat yang mutasyaabihaat darinya untuk menimbulkan fitnah untuk mencari-cari ta'wilnya, padahal tidak ada yang mengetahui ta'wilnya melainkan Allah. Dan orang-orang yang mendalam ilmunya berkata; Kami beriman kepada Al Qur'an seluruhnya dari Rabb kami. Dan tidak ada yang dapat mengambil pelajaran kecuali orang-orang yang memiliki akal pikiran. (Ali Imran: 7). Aisyah berkata; kemudian Rasulullah shallaallahu 'alaihi wa sallam bersabda: "Apabila kalian melihat orang-orang yang mengikuti sebahagian ayat-ayat yang mutasyaabihaat, maka mereka itulah adalah orang-orang yang disebutkan oleh Allah, Maka Waspadalah kalian terhadap mereka
Russian
Сообщается, что ‘Аиша, да будет доволен ею Аллах, сказала:\n— (Однажды) Посланник Аллаха ﷺ прочитал аят(, в котором говорится): «Он — Тот, кто ниспослал тебе Книгу. Есть в ней ясные аяты, составляющие собой основу (этой) Книги, другие же (вполне) ясными не являются. Что касается тех (людей), в сердцах которых есть отклонение (от истины), то они следуют тому, что (вполне) ясным не является, стремясь ввергнуть (других) в соблазн и желая дать этому (своё) толкование, тогда как (истинное) толкование этого известно лишь Аллаху. Что же касается утвердившихся в знании, то они говорят: “Мы уверовали в это(, ибо) всё это — от нашего Господа”, а внимают увещаниям только обладающие разумом», а потом Посланник Аллаха ﷺ сказал: «Если увидишь тех, которые следуют из (Корана) тому, что (вполне) ясным не является, (знай, что) это и есть те, которых назвал Аллах, так остерегайтесь же их!»
Tamil
ஆயிஷா (ரலி) அவர்கள் கூறிய தாவது: அல்லாஹ்வின் தூதர் (ஸல்) அவர்கள், “(நபியே!) அ(ந்த இறை)வனே இந்த வேத நூலை உமக்கு அருளினான். (இதில்) தெளிவான கருத்துள்ள (முஹ்கமாத்) வசனங்களும் உள்ளன. அவைதான் இவ்வேதத்தின் அடிப்படையாகும். பல பொருள்களுக்கு இடமளிக்கக்கூடிய வேறுசில (முத்தஷாபிஹாத்) வசனங்களும் (இதில்) உள்ளன. யாருடைய இதயங்களில் “கோணல்' உள்ளதோ அவர்கள் குழப்பம் செய்ய விரும்பியதாலும், (சுய) விளக்கம் அளிக்க நாடியதாலும் பல பொருள்களுக்கு இடமளிக்கக்கூடிய (வசனத்)தையே பின்தொடர்கின்றனர். ஆனால், அவற்றின் (உண்மை) விளக்கத்தை அல்லாஹ்வையன்றி வேறெவரும் அறியார். அறிவில் முதிர்ந்தவர்களோ, “இவற்றை நாங்கள் நம்பினோம். (இவ்விரு வகையான வசனங்கள்) அனைத்தும் எங்கள் இறைவனிடமிருந்தே வந்துள்ளன' என்று கூறுகின்றனர். (எதையும்) அறிவாளிகளன்றி எவரும் (சரியாக) உணர்வதில்லை” எனும் (3:7ஆவது) வசனத்தை ஓதிவிட்டு, “பல பொருள்களுக்கு இடமளிக்கின்ற வசனங்களைத் தேடித் திரிபவர்களை நீங்கள் பார்த்தால் அவர்கள்தான் (இந்த வசனத்தில்) அல்லாஹ்வால் குறிப்பிடப்பட்டவர்கள் (என்பதைப் புரிந்துகொண்டு) அவர்களைக் குறித்து எச்சரிக்கையாயிருங்கள்” என்று சொன்னார்கள்.5 அத்தியாயம் :
Turkish
Aişe r.anha'dan şöyle dediği nakledilmiştir: Nebi Sallallahu Aleyhi ve Sellem, "Sana Kitab'ı indiren O'dur. Onun (Kur'an'ın) bazı ayetleri muhkemdir ki, bunlar Kitab'ın esasıdır. Diğerleri de müteşabihtir. Kalplerinde eğrilik olanlar fitne çıkarmak ve onu te'vil etmek için ondaki müteşabih ayetlerin peşine düşerler. Halbuki Onun tevilini ancak Allah bilir. İlimde yüksek payeye erişenler ise: Ona inandık. Hepsi Rabbimiz tarafındandır, derler. (Bu inceliği) ancak aklıselim sahipleri düşünüp anlar," ayetini okudu sonra şöyle buyurdu: [Ey Aişe!] Kur'an'ın müteşabih ayetlerine uyanlan gördüğün zaman, bil ki onlar, Allah'ın kitabında bahsedip yerdiği kimselerdir. O halde onlardan sakının! Fethu'l-Bari Açıklaması: [Abd İbn Humeyd senediyle birlikte Mücahid'in] ilimde yüksek payeye erişenlerin müteşabih ayetlerin yorumunu bildiğini söylediğini nakletmiştir. Katade kanalıyla da onun şöyle söylediğini rivayet etmiştir: "İlimde yüksek payeye erişenler işittikleri gibi 'Biz Kur'an'a iman ettik. Muhkem ayetleri de müteşabih ayetleri de Allah göndermiştir,' derler. Sonra müteşabih ayetlere iman edip muhkem ayetlerle amelederler. Böylece doğru yolu bulurlar." Mücahid'in bu ayetin yorumu hakkında izlediği yola göre ........ve'r-rasihun'daki .......vav harfi, bu kelimeyi istisnanın ma'mulüne atfetmektedir. Abdurrezzak'ın senedi ile birlikte naklettiği rivayete göre .İbn Abbas bu ayeti şu şekilde okurmuş: ....... (Halbuki Onun tevilini ancak Allah bilir. ilimde yüksek payeye erişenler ise şöyle der: Biz ona iman ettik.) Bu okuyuş, .......vav harfinin istinat - başlangıç vavı olduğunu gösterir. Çünkü İbn Abbas'tan nakledilen bu rivayet her ne kadar kıraatın tespiti açısından yeterli olmasa da, en azından sahıh bir senetle Kur'an'ın tercümanından gelen bir haber değerindedir. Bu konuda onun görüşü, başkasının görüşünden önce gelir. Ayrıca ayeti kerimenin müteşabih ayetlerin ardına düşenleri sapıklık ve fitne çıkarma gayesi taşımakla yermesi de bu onun görüşünü desteklemektedir. Bab başlığının altında zikredilen hadis de bunu uygundur. Ayet, müteşabih ayetlerin bilinmesini Allah'a havale edenleri, gayba iman edenleri övdüğü gibi medhetmektedir. Ferra da Übey İbn Ka'b'dan bu kıraatı nakletmiştir. Yani Übey bu ayeti ........ve yekulu'r-rasihune fi'I-ilmi amenna bihi şelinde okumuştur. Ebu'l-Beka şöyle demiştir: "Müteşabih iki nesne arasında olur. Müteşabih nesneler yan yana geldiği zaman birbirlerine benzerler. Bu yüzden ayetlerin müteşabih olarak nitelendirilmesi uygun olmuştur. Yoksa tek bir ayetin müteşabih olduğu kastedilmemiştir. Özetleyecek olursak; çoğullar için kullanılan bir sıfatın, tekiller için de kullanılabilir olma zorunluluğu yoktur. Her ne kadar bu konuda esas bu şekilde olsa bile." Taberi bu ayet hakkında şöyle demiştir: "Bu ayetin Hz. İsa'nın durumu hakkında Nebi Sallallahu Aleyhi ve Sellem ile tartışan kimseler hakkında indiği ileri sürülmüştür. Bir diğer görüşe göre ise bu ayet, Muhammed ve onun ümmetinin ömrü hakkında nazil olmuştur. Ancak bu görüşlerden ikincisi daha evladır. Çünkü Allah Teala Hz. İsa'nın durumunu Nebi Sallallahu Aleyhi ve Sellem'e açıklamıştl. Dolayısıyla bu konu Muhammed ümmeti için bilinir hale gelmişti. Halbuki bu ümmetin ne kadar yaşayacağı belli değildi. Kullara bunun bilgisi verilmemişti. " Muhkem, anlamı açık olan ayetlere denir. Müteşabih ise bunun zıddıdır. Anlamı açık olan ayetlere, terkibinin sağlamlığı ve kelimelerinin açık olmasından dolayı muhkem denmiştir. Müteşabih ayetler ise böyle değildir. Muhkem, kendisinden ne kastedildiği açık olduğu için veya yorum yoluyla anlaşılan şeklinde; müteşabih ise, Allah'ın sadece kendisinin bildiği konular olarak tarif edilmiştir. Mesela kıyametin ne zaman kopacağı, deccalin ne vakit çıkacağı ve sure başlarında bulunan hece harfleri ile neyin kastedildİğİ gibi konular müteşabİhin kapsamına girer. Muhkem ve müteşabihin açıklaması konusunda bunların dışında ona yakın başka görüşler de mevcuttur. Ancak konumuz, bütün bu görüşleri tek tek ele almaya izin vermemektedir. Burada sadece en çok yaygın olan ve doğruya en yakın tarifleri zikrettim. Büyük Alim Ebu Mansur el-Bağdadı, bize ve İbn Semanı'ye göre doğru olan son görüşü, en güzel ve ehl-i sünnetin çizgisine en uygun görüş olarak görmüştür. İlk görüşü ise müteahhir ulema son dönem alimleri benimsemiştir. Her şeyin doğrusunu en iyi Allah bilir. "Bil ki onlar, Allah'ın kitabında bahsedip yerdiği kimselerdir. O halde onlardan sakının!} Bu hadiste geçen sakınmaktan maksat müteşabih ayetlere uyanlara kulak vermemektir. Müteşabih ifadelerin peşine ilk olarak Yahudiler düşmüştür. Nitekim İbn İshak'ın anlattıklarına göre surelerin başlarında bulunan hece harflerinin - huruf-u mukatta'nın yorumunu yapıp cümel hesabı ile İslam ümmetinin ömrünü tespit etmeye çalışmışlardır. Müslümanlardan ise ilk olarak Hariciler müteşabih ayetlerin peşine düşmüştür. Nitekim İbn Abbas bu ayeti söz konusu ifade ile haricilerin kastedildiğini söyleyerek tefsır etmiştir. Hz. Ömer de Subayğ'ın yaptıklarını onaylamamıştır. Onun müteşabih ayetterin peşine düştüğünü öğrenince kanatıncaya kadar kafasına vurmuştu. Bu rivayeti Darimı ve daha başka hadis imamları tahriç etmiştir. Hattabı şöyle demiştir: "Müteşabih ayetler iki türlüdür: 1-Muhkem ayetlere müracaat edilip onlara göre düşünüldüğü zaman anlamı anlaşılan ayetler. 2-Hiçbir şekilde manasının bilinemeyeceği ayetler. Sapık insanlar bu ayetlerin peşine düşüp yorumlarını araştırırlar. Ama bir türlü hakikatlerini öğrenemezler. Sonra ayetler hakkında kuşkulanmaya başlarlar. Bu şekilde fitneye sürüklenirler." Her şeyin doğrusunu en iyi Allah bilir
Urdu
ہم سے عبداللہ بن مسلمہ قعنبی نے بیان کیا، ہم سے یزید بن ابراہیم تستری نے بیان کیا، ان سے ابن ابی ملیکہ نے، ان سے قاسم بن محمد نے اور ان سے عائشہ رضی اللہ عنہا نے کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے اس آیت کی تلاوت کی «هو الذي أنزل عليك الكتاب منه آيات محكمات هن أم الكتاب وأخر متشابهات فأما الذين في قلوبهم زيغ فيتبعون ما تشابه منه ابتغاء الفتنة وابتغاء تأويله» یعنی ”وہ وہی اللہ ہے جس نے تجھ پر کتاب اتاری ہے، اس میں محکم آیتیں ہیں اور وہی کتاب کا اصل دارومدار ہیں اور دوسری آیتیں متشابہ ہیں۔ سو وہ لوگ جن کے دلوں میں چڑ پن ہے۔ وہ اس کے اسی حصے کے پیچھے لگ جاتے ہیں جو متشابہ ہیں، فتنے کی تلاش میں اور اس کی غلط تاویل کی تلاش میں۔“ آخر آیت «أولو الألباب» تک۔ عائشہ رضی اللہ عنہا نے کہا کہ نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا کہ جب تم ایسے لوگوں کو دیکھو جو متشابہ آیتوں کے پیچھے پڑے ہوئے ہوں تو یاد رکھو کہ یہ وہی لوگ ہیں جن کا اللہ تعالیٰ نے ( آیت بالا میں ) ذکر فرمایا ہے۔ اس لیے ان سے بچتے رہو۔