Arabic

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَأُحِيلَ الصِّيَامُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَسَاقَ نَصْرٌ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَاقْتَصَّ ابْنُ الْمُثَنَّى مِنْهُ قِصَّةَ صَلاَتِهِمْ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَطُّ قَالَ الْحَالُ الثَّالِثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَصَلَّى - يَعْنِي نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ - ثَلاَثَةَ عَشَرَ شَهْرًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ‏{‏ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ‏}‏ فَوَجَّهَهُ اللَّهُ تَعَالَى إِلَى الْكَعْبَةِ ‏.‏ وَتَمَّ حَدِيثُهُ وَسَمَّى نَصْرٌ صَاحِبَ الرُّؤْيَا قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَقَالَ فِيهِ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ مَرَّتَيْنِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ مَرَّتَيْنِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ أَمْهَلَ هُنَيَّةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ زَادَ بَعْدَ مَا قَالَ ‏"‏ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ ‏"‏ ‏.‏ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَقِّنْهَا بِلاَلاً ‏"‏ ‏.‏ فَأَذَّنَ بِهَا بِلاَلٌ وَقَالَ فِي الصَّوْمِ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَيَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنَ قَبْلِكُمْ ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ فَكَانَ مَنْ شَاءَ أَنْ يَصُومَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُفْطِرَ وَيُطْعِمَ كُلَّ يَوْمٍ مِسْكِينًا أَجْزَأَهُ ذَلِكَ وَهَذَا حَوْلٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ ‏}‏ إِلَى ‏{‏ أَيَّامٍ أُخَرَ ‏}‏ فَثَبَتَ الصِّيَامُ عَلَى مَنْ شَهِدَ الشَّهْرَ وَعَلَى الْمُسَافِرِ أَنْ يَقْضِيَ وَثَبَتَ الطَّعَامُ لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ وَالْعَجُوزِ اللَّذَيْنِ لاَ يَسْتَطِيعَانِ الصَّوْمَ وَجَاءَ صِرْمَةُ وَقَدْ عَمِلَ يَوْمَهُ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏
حدثنا محمد بن المثنى، عن ابي داود، ح وحدثنا نصر بن المهاجر، حدثنا يزيد بن هارون، عن المسعودي، عن عمرو بن مرة، عن ابن ابي ليلى، عن معاذ بن جبل، قال احيلت الصلاة ثلاثة احوال واحيل الصيام ثلاثة احوال وساق نصر الحديث بطوله واقتص ابن المثنى منه قصة صلاتهم نحو بيت المقدس قط قال الحال الثالث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قدم المدينة فصلى - يعني نحو بيت المقدس - ثلاثة عشر شهرا فانزل الله تعالى هذه الاية { قد نرى تقلب وجهك في السماء فلنولينك قبلة ترضاها فول وجهك شطر المسجد الحرام وحيث ما كنتم فولوا وجوهكم شطره } فوجهه الله تعالى الى الكعبة . وتم حديثه وسمى نصر صاحب الرويا قال فجاء عبد الله بن زيد رجل من الانصار وقال فيه فاستقبل القبلة قال الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة مرتين حى على الفلاح مرتين الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ثم امهل هنية ثم قام فقال مثلها الا انه قال زاد بعد ما قال " حى على الفلاح " . قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة . قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم " لقنها بلالا " . فاذن بها بلال وقال في الصوم قال فان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصوم ثلاثة ايام من كل شهر ويصوم يوم عاشوراء فانزل الله تعالى { كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم } الى قوله { طعام مسكين } فكان من شاء ان يصوم صام ومن شاء ان يفطر ويطعم كل يوم مسكينا اجزاه ذلك وهذا حول فانزل الله تعالى { شهر رمضان الذي انزل فيه القران } الى { ايام اخر } فثبت الصيام على من شهد الشهر وعلى المسافر ان يقضي وثبت الطعام للشيخ الكبير والعجوز اللذين لا يستطيعان الصوم وجاء صرمة وقد عمل يومه وساق الحديث

Bengali

। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাতের অবস্থা পর্যায়ক্রমে তিনবার পরিবর্তন হয়েছে। অনুরূপ সিয়ামের অবস্থাও তিনবার পরিবর্তন হয়েছে। তারপর বর্ণনাকারী নাসর ঐরূপ দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনুল মুসান্না কেবল বাইতুল মাক্বদিসের দিকে মুখ করে সালাত আদায়ের ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তৃতীয় অবস্থা এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় পদার্পণ করার পর তের মাস যাবত বাইতুল মাক্বদিসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেন। অতঃপর আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেনঃ ‘‘আসমানের দিকে তোমার মুখ উত্তোলন আমরা লক্ষ্য করেছি। অতএব তোমার পছন্দের ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)র দিকে আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। এখন তুমি তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও। (সূরহ বাক্বারাহ, ১৪৪)। এভাবে আল্লাহ তাঁর মুখ কা’বার দিকে ফিরিয়ে দিলেন। ইবনুল মুসান্নার হাদীস এখানেই শেষ। আর যিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন নাসর তার নাম উলে­খ করে বলেনঃ অতঃপর আনসার গোত্রের ‘আব্দুল্লাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) আসলেন। তিনি উক্ত হাদীসে বলেনঃ স্বপ্নে দেখা লোকটি কিবলার দিকে মুখ করে বললঃ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হাইয়্যা ‘আলাস্-সলাহ দু’বার, হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ দু’বার। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অতঃপর কিছুক্ষণ নীরব থেকে আবারও দাঁড়িয়ে পূর্বের কথারই পুনরাবৃত্তি করল। তবে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ বলেন, লোকটি হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ বলার পর ক্বাদ্ ক্বামাতিস্ সালাতু ক্বাদ্ ক্বামাতিস্ সলাহ বাক্য দু’বার বলল। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এটা তুমি বিলালকে শিখিয়ে দাও। অতঃপর বিলাল (রাঃ) শিখানো শব্দগুলো দ্বারা আযান দিলেন। এরপর বর্ণনাকারী সওম (রোযা) সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি মাসে তিন দিন এবং আশুরার দিন সিয়াম পালন করতেন। অতঃপর আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করলেনঃ ‘‘তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হলো যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যেন তোমরা আল্লাহভীরু (মুত্তাক্বী) হতে পারো। নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা মুসাফির হলে পরবর্তীতে তাকে এর ক্বাযা করতে হবে। যারা সিয়াম পালনে সক্ষম (হয়েও সিয়াম পালন করে না) তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে আহার করাবে’’- (সূরাহ বাক্বারাহ, ১৮৩-১৮৪)। এতে কেউ ইচ্ছে হলে সিয়াম পালন করত, আর কেউ বা সিয়াম পালন না করে প্রতি সিয়ামের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে আহার করাতো। এটাই তার জন্য যথেষ্ট ছিল। (সিয়ামের প্রাথমিক অবস্থা এরূপই ছিল) অতঃপর এ বিধান পরিবর্তন করে আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করলেনঃ ‘‘রমাযান হচ্ছে মহিমান্বিত মাস, যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে যা মানব জাতির পথপ্রদর্শক, হিদায়াতের স্পষ্ট দলীল এবং (হাক্ব ও বাতিলের মধ্যে) পার্থক্যকারী। তোমাদের যে কেউ রমাযান মাস পেলে সে যেন সিয়াম পালন করে। আর কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে সে পরবর্তী সময়ে তা ক্বাযা করে নিবে’’- (সূরাহ বাক্বারাহ, ১৮৫)। এরপর থেকে রমাযান মাস প্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তির উপর সিয়াম ফরয হয়ে যায় এবং মুসাফিরের জন্য এর ক্বাযা আদায় ফরয সাব্যস্ত হয়। আর ফিদয়ার ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ হয় সিয়াম পালনে অপারগ বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের জন্য। সাহাবী সিরমাহ (রাঃ) সারা দিন পরিশ্রম করেছিলেন। এরপর বর্ণনাকারী পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন।[1] সহীহ, প্রথম দিকে তাকবীরে তারবী' সহকারে। ইরওয়াউল গালীল ৪/ ২০-২১।

English

Narrated Mu'adh ibn Jabal: Prayer passed through three stages and fasting also passed through three stages. The narrator Nasr reported the rest of the tradition completely. The narrator, Ibn al-Muthanna, narrated the story of saying prayer facing in the direction of Jerusalem. He said: The third stage is that the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina and prayed, i.e. facing Jerusalem, for thirteen months. Then Allah, the Exalted, revealed the verse: "We have seen thee turning thy face to Heaven (for guidance, O Muhammad). And now verily We shall make thee turn (in prayer) toward a qiblah which is dear to thee. So turn thy face toward the Inviolable Place of Worship, and ye (O Muslims), wherever ye may be, turn your face (when ye pray) toward it" (ii.144). And Allah, the Reverend and the Majestic, turned (them) towards the Ka'bah. He (the narrator) completed his tradition. The narrator, Nasr, mentioned the name of the person who had the dream, saying: And Abdullah ibn Zayd, a man from the Ansar, came. The same version reads: And he turned his face towards the qiblah and said: Allah is most great, Allah is most great; I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; come to prayer (he pronounced it twice), come to salvation (he pronounced it twice); Allah is Most Great, Allah is most great. He then paused for a while, and then got up and pronounced in a similar way, except that after the phrase "Come to salvation" he added. "The time for prayer has come, the time for prayer has come." The Messenger of Allah (ﷺ) said: Teach it to Bilal, then pronounce the adhan (call to prayer) with the same words. As regards fasting, he said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to fast for three days every month, and would fast on the tenth of Muharram. Then Allah, the Exalted, revealed the verse: ".......Fasting was prescribed for those before you, that ye may ward off (evil)......and for those who can afford it there is a ransom: the feeding of a man in need (ii.183-84). If someone wished to keep the fast, he would keep the fast; if someone wished to abandon the fast, he would feed an indigent every day; it would do for him. But this was changed. Allah, the Exalted, revealed: "The month of Ramadan in which was revealed the Qur'an ..........(let him fast the same) number of other days" (ii.185). Hence the fast was prescribed for the one who was present in the month (of Ramadan) and the traveller was required to atone (for them); feeding (the indigent) was prescribed for the old man and woman who were unable to fast. (The narrator, Nasr, further reported): The companion Sirmah, came after finishing his day's work......and he narrated the rest of the tradition

Indonesian

Telah menceritakan kepada kami [Muhammad bin Al-Mutsanna] dari [Abu Dawud] Al-Hadits. Dan telah menceritakan kepada kami [Nashr bin Al-Muhajir] telah menceritakan kepada kami [Yazid bin Harun] dari [Al-Mas'udi] dari [Amru bin Murrah] dari [Ibnu Abi Laila] dari [Mu'adz bin Jabbal] dia berkata; Pelaksanaan shalat telah mengalami perubahan tiga kali, dan demikian pula pelaksanaan puasa, kemudian Nashr melanjutkan Hadits ini secara panjang lebar. Sedangkan Ibnu Al-Mutsanna hanya menyebutkan kisah shalat mereka yang menghadap Baitul Maqdis. Dia berkata; Cara pelaksanaan shalat yang ketiga; Bahwasanya Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam ketika datang ke Madinah, beliau mengerjakan shalat menghadap ke Baitul Maqdis selama tiga belas bulan, lalu Allah Ta'ala menurunkan ayat ini (yang artinya), "Sungguh Kami (sering) melihat mukamu menengadah ke langit, maka sungguh Kami akan memalingkan kamu ke kiblat yang kamu sukai. Palingkanlah mukamu ke arah Masjidil Haram. Dan di mana saja kamu berada, palingkanlah mukamu ke arahnya." (Al-Baqarah: 144). Maka Allah Ta'ala memalingkan beliau shallallahu 'alaihi wasallam ke Ka'bah. Sampai di sini hadits riwayat Ibnu Al-Mutsanna. Nashr menyebutkan nama orang yang bermimpi, dia berkata; Maka datang Abdullah bin Zaid, seorang laki laki dari golongan Anshar, dalam haditsnya itu dia berkata; Maka laki laki itu menghadap kiblat seraya mengucapkan; Allaahu Akbar, Allaahu Akbar, Asyhadu an laa ilaaha illallah, Asyhadu an laa ilaaha illallaah, Asyhadu anna Muhammadar Rasuulullah, Asyhadu anna Muhammadar Rasuulullah, Hayya 'alas shalaah hayya 'alash shalaah, hayya 'alal falaah hayya 'alal falaah, Allaahu akbar, Allaahu akbar, Laa ilaaha illallaah. Setelah itu dia berhenti sebentar, lalu berdiri mengucapkan kalimat seperti sebelumnya, hanya saja dia menambahkan setelah mengucapkan; Hayya 'alal falaah, dengan ucapan; Qad Qamatis shalaah, qad qamatis shalaah. Mu'adz bin Jabal berkata; Maka Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bersabda: "Ajarkanlah (kalimat adzan itu) kepada Bilal". Maka Bilal pun mengumandangkan adzan dengan kalimat kalimat itu. Kemudian Nasr bin Muhajir menyebutkan tentang perubahan-perubahan perintah puasa. Muadz bin Jabal berkata; Bahwasanya Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam biasa mengerjakan puasa tiga hari setiap bulan, dan pada hari Asyura', kemudian Allah Ta'ala menurunkan ayat (yang artinya): "Telah diwajibkan atas kalian berpuasa, sebagaimana telah diwajibkan atas orang orang sebelum kamu..., sampai dengan FirmanNya: (yaitu) memberi makan seorang miskin." (Al-Baqarah: 183 184). Karena itu siapa yang hendak berpuasa, silahkan berpuasa, dan siapa yang tidak mau berpuasa dan mau memberi makan seorang miskin setiap harinya, maka telah memadai baginya. Dan inilah salah satu keadaan puasa. Lalu Allah Ta'ala menurunkan ayat (yang artinya): "Bulan Ramadhan, bulan yang di dalamnya diturunkan (permulaan) Al Quran..., sampai FirmanNya: pada hari hari yang lain." (Al-Baqarah: 185). Maka berlakulah ketetapan hukum puasa itu wajib atas orang yang mendapatkan bulan Ramadhan, sedangkan orang yang sedang musafir, wajib mengqadla'nya. Dan ditetapkan pula hukum kewajiban memberi makan orang miskin bagi orang tua berusia lanjut dan orang yang lemah, yang tidak mampu lagi berpuasa. Dan datang pula Shirmah, sedangkan dia telah bekerja sehari penuh. Selanjutnya dia (Nashr) menyebutkan Hadits itu

Russian

Сообщается, что Му‘аз ибн Джабаль сказал: «Положение молитвы изменялось трижды, и также трижды менялось положение поста».И Наср (ибн Мухаджир) далее изложил этот длинный хадис, а Ибн аль-Мусанна рассказал из него тольку ту часть об их молитве, которую они совершали повернувшись в сторону Байт аль-Макъдис.Он сказал: Третье положение: «(После того, как) Посланник Аллаха ﷺ прибыл в Медину, он совершал молитву в течение тринадцати месяцев, повернувшись в сторону Байт аль-Макъдис, после чего Аллах ниспослал этот аят: “Мы видели, как ты обращал свое лицо к небу, и Мы обратим тебя к кибле, которой ты останешься доволен. Обрати же своё лицо в сторону Заповедной мечети. Где бы вы ни были, обращайте ваши лица в её сторону”. И Аллах Всевышний обратил его лицом к Каабе».Завершился его хадис, а Наср назвал по имени того, кто видел сон. Он сказал: «Тогда пришёл ‘Абдуллах ибн Зейд человек из числа ансаров». И он сказал в своём рассказе: «И он повернулся в сторону киблы».(Далее передавая рассказ об азане) он сказал (в нём): «Аллаху акбар! Аллаху акбар! Ашхаду ан ля иляха илля-Ллах! Ашхаду ан ля иляха илля-Ллах! Ашхаду анна Мухаммадан расулю-Ллах! Ашхаду анна Мухаммадан расулю-Ллах! Хаййа ‘аля-с-салях! дважды, Хаййа ‘аляль-фалях! дважды, Аллаху акбар! Аллаху акбар! Ля иляха илля-Ллах!”. Затем он повременил немного, после чего встал и сказал тоже самое, исключая то, что он после того, как сказал “Хаййа ‘аляль-фалях”, он добавил: “кад камати-с-салях, кад камати-с-салях”».(‘Абдуллах ибн Зейд) сказал: «Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Научи этому Биляля”. И Биляль произнёс азан этими (словами)».Относительно поста он сказал: «Посланник Аллаха ﷺ постился по три дня каждый месяц и в день ‘Ашураъ. Затем Всевышний Аллах ниспослал (аят в котором сказано): “Предписан вам пост, подобно тому, как он был предписан тем, кто был до вас”, до Его слов “… накормить бедняка” (сура “аль-Бакара, аяты)

Turkish

Muaz b. Cebel (r.a.)'den demiştir ki; Namaz ve oruç üç kere değişikliğe uğramıştır. Nasr (b. el-Muhacir bu değişikliklerle ilgili) hadisin tamamını nakletmiştir. Îbnü'l-Müsenna (bu hadisin) sadece (Müslümanların) Beyt-i Makdis'e doğru namaz kılmaları (ile ilgili) kısmını nakletmiştir. (İbnu'l-Müsenna) der ki; (Namazın değişmesiy­le ilgili) üçüncü hal (şöyle olmuştur), Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) Medine'ye geldi ve on üç ay Beyt-i Makdis'e doğru namaz kıldı. Sonra Allah azze ve celle şu ayeti indirdi: "Hakîkaten yüzünün semada aranıp durduğunu görüyoruz. Artık (müsterih ol), seni hoşnud olacağın bir kıbleye döndüreceğiz. Haydi yüzünü Mescid-i Harama doğru çevir. Siz de (ey mü'minler) nerede bulunursanız bulunun, yüzünüzü ona doğru çeviriniz."[Bakara 144] (Bu ayet-i kerimeyle) Allah azze ve celle Resulünü Ka'be'ye yöneltti. (İbnu'l-Müsenna'nın) hadisi (burada) sona erdi. Nasr (b. Muhacir) de (rivayetinde) Rü'ya sahibinin ismini açıklayarak şöyle dedi: "Ensardan bir kimse (olan) Abdullah b. Zeyd geldi. Kıbleye yöneldi ve: Allahu Ekber, Allahu Ekber. Eşhedu en la İlahe İllallah, Eşhedu en la İlahe İllallah. Eşhedu enne Muhammeden Resulullah, Eşhedu enne Muhammeden Resulullah. İki defa da: Hayya ele’s-selah, iki defa: Hayya ele’l-felah, Allahu Ekber, Allahu Ekber. La İlahe İllallah" dedi. Sonra biraz durdu ve ayağa kalktı, aynı sözleri (yine) söyledi. (Abdullah b. Zeyd) der ki: Ancak (bu defa rü'yamda gördüğüm kişi) Hayya ele’l-felah dedikten sonra kad kametu’s-selah, kad kametu’s-selah, (sözlerini) ilave etti. (Muaz) der ki: Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) (Abdullah'a hitaben); "Bunu Bilal'e öğret" buyurdu. Bilal de bu kelimelerle ezan okudu. Nasr (b. el-Muhacir rivayetinde) oruç konusunda da şunları söyledi: Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) her ayın üç gününde ve bir de Aşure gününde oruç tutardı. Sonra Allahu Teala: "Üzerlerinize oruç yazıldı. Nitekim sizden evvelkilere de yazılmıştır" (ayet-i kerimesini) "Miskin doyumu fidye"[Bakara 184] (sözlerine) kadar indirdi. Artık oruç tutmak isteyen tutuyor, oruç yemek isteyen de her gün (için) bir fakir doyuruyordu. Bu doyurma orucun yerini tutuyordu, işte bu (oruçta bir) değişikliktir. Sonra da Allah azze ve celle: "Ramazan ayı ki insanları (irşad için), hak fürkanı, hidayet delili beyyineler halinde Kur'an onda indirildi" ayetini indirdi.Oruç bu aya erişen herkese farz oldu. Yolcular için (yolculuk esnasında orucu yeyip sonra) kaza etmeleri, oruca güçleri yetmeyen ihtiyar kadın ve erkekler için de (fakir) doyurmaları izni baki kaldı. (Derken bir gün) Sırma b. Kays bütün gün çalışmış (olarak evine) geldi..." ve (Nasr, orucun geçirdiği devrelerle ilgili olan bu) hadisi (sonuna kadar) nakletti

Urdu

معاذ بن جبل رضی اللہ عنہ کہتے ہیں کہ نماز میں تین تبدیلیاں ہوئیں، اسی طرح روزوں میں بھی تین تبدیلیاں ہوئیں، پھر نصر نے پوری لمبی حدیث بیان کی اور ابن مثنیٰ نے صرف بیت المقدس کی طرف نماز پڑھنے کا واقعہ بیان کیا۔ معاذ رضی اللہ عنہ کہتے ہیں: تیسری حالت یہ ہے کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم مدینہ تشریف لائے، آپ نے بیت المقدس کی طرف ( رخ کر کے ) تیرہ مہینے تک نماز پڑھی، پھر اللہ تعالیٰ نے یہ آیت نازل فرمائی: «قد نرى تقلب وجهك في السماء فلنولينك قبلة ترضاها فول وجهك شطر المسجدالحرام وحيث ما كنتم فولوا وجوهكم شطره» ۱؎ تو اللہ تعالیٰ نے آپ صلی اللہ علیہ وسلم کا رخ کعبہ کی طرف پھیر دیا۔ ابن مثنیٰ کی حدیث یہاں مکمل ہو گئی اور نصر نے خواب دیکھنے والے کا نام ذکر کیا، وہ کہتے ہیں: انصار کے ایک شخص عبداللہ بن زید رضی اللہ عنہ آئے۔ اس میں یوں ہے کہ: پھر انہوں نے قبلہ کی طرف رخ کیا اور کہا: «الله أكبر الله أكبر أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمدا رسول الله أشهد أن محمدا رسول الله حى على الصلاة» دوبار، «حى على الفلاح» دوبار، «الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله» ، یہ کہنے کے بعد تھوڑی دیر تک ٹھہرے رہے، پھر کھڑے ہوئے اور اسی طرح ( تکبیر ) کہی، مگر اس میں انہوں نے: «حى على الفلاح» کے بعد «قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة» کا اضافہ کیا ۔ راوی کہتے ہیں: پھر رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے ان سے فرمایا: تم بلال کو یہ الفاظ سکھلا دو ، چنانچہ بلال رضی اللہ عنہ نے ان الفاظ کے ذریعہ اذان دی۔ اور معاذ رضی اللہ عنہ نے روزے کے بارے میں کہا: رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم ہر ماہ تین روزے رکھا کرتے تھے اور عاشوراء ( دسویں محرم ) کا روزہ بھی رکھتے تھے، پھر اللہ تعالیٰ نے یہ آیت نازل فرمائی: «كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم» اللہ تعالیٰ کے قول: «طَعَامُ مسكين»تک ۲؎، تو اب جو چاہتا روزے رکھتا، اور جو چاہتا نہ رکھتا، اور ہر روزے کے بدلے ایک مسکین کو کھانا کھلا دیتا، ایک سال تک یہی حکم رہا، پھر اللہ تعالیٰ نے یہ حکم نازل فرمایا: «شهر رمضان الذي أنزل فيه القرآن» اپنے قول: «أيام أخر» تک ۳؎، پھر روزہ ہر اس شخص پر فرض ہو گیا جو ماہ رمضان کو پائے، اور مسافر پر قضاء کرنا، اور بوڑھے مرد اور عورت کے لیے جن کو روزہ رکھنے کی طاقت نہ ہو فدیہ دینا باقی رہا۔ پھر صرمہ رضی اللہ عنہ آئے، انہوں نے دن بھر کام کیا تھا … اور راوی نے پوری حدیث بیان کی۔