Arabic
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ - قَالَ - وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَقَدْ أَعْجَبَنِي أَنْ تَكُونَ صَلاَةُ الْمُسْلِمِينَ - أَوْ قَالَ الْمُؤْمِنِينَ - وَاحِدَةً حَتَّى لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَبُثَّ رِجَالاً فِي الدُّورِ يُنَادُونَ النَّاسَ بِحِينِ الصَّلاَةِ وَحَتَّى هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رِجَالاً يَقُومُونَ عَلَى الآطَامِ يُنَادُونَ الْمُسْلِمِينَ بِحِينِ الصَّلاَةِ حَتَّى نَقَسُوا أَوْ كَادُوا أَنْ يَنْقُسُوا " . قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمَّا رَجَعْتُ - لِمَا رَأَيْتُ مِنَ اهْتِمَامِكَ - رَأَيْتُ رَجُلاً كَأَنَّ عَلَيْهِ ثَوْبَيْنِ أَخْضَرَيْنِ فَقَامَ عَلَى الْمَسْجِدِ فَأَذَّنَ ثُمَّ قَعَدَ قَعْدَةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ يَقُولُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ وَلَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى أَنْ تَقُولُوا - لَقُلْتُ إِنِّي كُنْتُ يَقْظَانًا غَيْرَ نَائِمٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى " لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا " . وَلَمْ يَقُلْ عَمْرٌو " لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَمُرْ بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ " . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَمَا إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى وَلَكِنِّي لَمَّا سُبِقْتُ اسْتَحْيَيْتُ . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا جَاءَ يَسْأَلُ فَيُخْبَرُ بِمَا سُبِقَ مِنْ صَلاَتِهِ وَإِنَّهُمْ قَامُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ قَائِمٍ وَرَاكِعٍ وَقَاعِدٍ وَمُصَلٍّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى قَالَ عَمْرٌو وَحَدَّثَنِي بِهَا حُصَيْنٌ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى حَتَّى جَاءَ مُعَاذٌ . قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ فَقَالَ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلَى قَوْلِهِ كَذَلِكَ فَافْعَلُوا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ قَالَ فَجَاءَ مُعَاذٌ فَأَشَارُوا إِلَيْهِ - قَالَ شُعْبَةُ وَهَذِهِ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ - قَالَ فَقَالَ مُعَاذٌ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلاَّ كُنْتُ عَلَيْهَا . قَالَ فَقَالَ إِنَّ مُعَاذًا قَدْ سَنَّ لَكُمْ سُنَّةً كَذَلِكَ فَافْعَلُوا . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ أَمَرَهُمْ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ثُمَّ أُنْزِلَ رَمَضَانُ وَكَانُوا قَوْمًا لَمْ يَتَعَوَّدُوا الصِّيَامَ وَكَانَ الصِّيَامُ عَلَيْهِمْ شَدِيدًا فَكَانَ مَنْ لَمْ يَصُمْ أَطْعَمَ مِسْكِينًا فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ { فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ } فَكَانَتِ الرُّخْصَةُ لِلْمَرِيضِ وَالْمُسَافِرِ فَأُمِرُوا بِالصِّيَامِ . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَفْطَرَ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَ لَمْ يَأْكُلْ حَتَّى يُصْبِحَ . قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَرَادَ امْرَأَتَهُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ نِمْتُ فَظَنَّ أَنَّهَا تَعْتَلُّ فَأَتَاهَا فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرَادَ الطَّعَامَ فَقَالُوا حَتَّى نُسَخِّنَ لَكَ شَيْئًا فَنَامَ فَلَمَّا أَصْبَحُوا أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ { أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ } .
حدثنا عمرو بن مرزوق، اخبرنا شعبة، عن عمرو بن مرة، قال سمعت ابن ابي ليلى، ح وحدثنا ابن المثنى، حدثنا محمد بن جعفر، عن شعبة، عن عمرو بن مرة، سمعت ابن ابي ليلى، قال احيلت الصلاة ثلاثة احوال - قال - وحدثنا اصحابنا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " لقد اعجبني ان تكون صلاة المسلمين - او قال المومنين - واحدة حتى لقد هممت ان ابث رجالا في الدور ينادون الناس بحين الصلاة وحتى هممت ان امر رجالا يقومون على الاطام ينادون المسلمين بحين الصلاة حتى نقسوا او كادوا ان ينقسوا " . قال فجاء رجل من الانصار فقال يا رسول الله اني لما رجعت - لما رايت من اهتمامك - رايت رجلا كان عليه ثوبين اخضرين فقام على المسجد فاذن ثم قعد قعدة ثم قام فقال مثلها الا انه يقول قد قامت الصلاة ولولا ان يقول الناس - قال ابن المثنى ان تقولوا - لقلت اني كنت يقظانا غير نايم . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال ابن المثنى " لقد اراك الله خيرا " . ولم يقل عمرو " لقد اراك الله خيرا فمر بلالا فليوذن " . قال فقال عمر اما اني قد رايت مثل الذي راى ولكني لما سبقت استحييت . قال وحدثنا اصحابنا قال وكان الرجل اذا جاء يسال فيخبر بما سبق من صلاته وانهم قاموا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من بين قايم وراكع وقاعد ومصل مع رسول الله صلى الله عليه وسلم . قال ابن المثنى قال عمرو وحدثني بها حصين عن ابن ابي ليلى حتى جاء معاذ . قال شعبة وقد سمعتها من حصين فقال لا اراه على حال الى قوله كذلك فافعلوا . قال ابو داود ثم رجعت الى حديث عمرو بن مرزوق قال فجاء معاذ فاشاروا اليه - قال شعبة وهذه سمعتها من حصين - قال فقال معاذ لا اراه على حال الا كنت عليها . قال فقال ان معاذا قد سن لكم سنة كذلك فافعلوا . قال وحدثنا اصحابنا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لما قدم المدينة امرهم بصيام ثلاثة ايام ثم انزل رمضان وكانوا قوما لم يتعودوا الصيام وكان الصيام عليهم شديدا فكان من لم يصم اطعم مسكينا فنزلت هذه الاية { فمن شهد منكم الشهر فليصمه } فكانت الرخصة للمريض والمسافر فامروا بالصيام . قال وحدثنا اصحابنا قال وكان الرجل اذا افطر فنام قبل ان ياكل لم ياكل حتى يصبح . قال فجاء عمر بن الخطاب فاراد امراته فقالت اني قد نمت فظن انها تعتل فاتاها فجاء رجل من الانصار فاراد الطعام فقالوا حتى نسخن لك شييا فنام فلما اصبحوا انزلت عليه هذه الاية { احل لكم ليلة الصيام الرفث الى نسايكم}
Bengali
। ইবনু আবূ লায়লাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাতের অবস্থা পর্যায়ক্রমে তিনবার পরিবর্তন হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের সাথীরা আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, রসূলু্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের মুসলিমগণ অথবা মু’মিনগণের একত্রে জামা‘আতে সালাত আদায় করাটা আমার কাছে আনন্দদায়ক। এমনকি প্রাথমিক অবস্থায় আমি চিন্তা করলাম, সালাতের সময় হলে মানুষদের ডেকে আনার জন্য ঘরে ঘরে লোক পাঠিয়ে দিব। এমনকি আমি এ ইচ্ছাও করলাম যে, সালাতের সময় উপস্থিত হলে কিছু লোককে দুর্গের উপর দাঁড় করিয়ে দিব যারা মুসলিমদের সালাতের জন্য আহবান করবে। এমনকি তারা ‘নাকুস’ ঘন্টা ধ্বনিও বাজালো বা বাজাবার উপক্রম করল। বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় এক আনসারী এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে উৎকন্ঠিত দেখে আপনার কাছ থেকে ফিরে যাওয়ার পর (রাতে স্বপ্নে) এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম। লোকটি যেন দু’টি সবুজ কাপড় পরে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আযান দিল। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সে আবারও আযানের অনুরূপ শব্দ উচ্চারণ করল (ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দিল)। কিন্তু ‘ক্বাদ ক্বামাতিস্ সালাতু’ অতিরিক্ত বলল। লোকেরা আমাকে মিথ্যাবাদী মনে না করলে আমি অবশ্যই বলব, আমি জাগ্রতই ছিলাম, ঘুমন্ত নয়। ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে অবশ্যই উত্তম স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তবে ‘আমরের বর্ণনায় ‘‘আল্লাহ অবশ্যই তোমাকে উত্তম স্বপ্ন দেখিয়েছেন’ কথাটুকু নেই। তুমি বিলালকে আযান দেয়ার নির্দেশ দাও। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমিও তার মত একই ধরনের স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু লোকটি আগেই বলে ফেলাতে আমি বলতে লজ্জাবোধ করি। ইবনু আবূ লায়লাহ বলেন, আমাদের সাথীরা আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, প্রাথমিক পর্যায়ে কোন লোক মসজিদে এসে জামা‘আত হতে দেখলে মুসল্লীদের কাছে সালাত কয় রাক‘আত হয়েছে তা জিজ্ঞেস করত। অতঃপর ইশারায় তা জানিয়ে দেয়া হতো। তারপর তারা ঐ পরিমাণ সালাত দ্রুত আদায় করে জামা‘আতে শামীল হত। ফলে তাঁর পিছনের মুক্তাদীদের অবস্থা পৃথক পৃথক হত। কেউ দাঁড়ানো, কেউ রুকু‘তে, কেউ বসা, আবার কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথেই সালাতরত অবস্থায় থাকত। ইবনু মুসান্না ‘আমর ও হুসায়ন ইবনু আবূ লায়লাহ সূত্রে বর্ণনা করেন, এমন সময় (জামা‘আত শুরু হওয়ার পর) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) আসলেন। শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমি একথা হুসাইন থেকে শুনেছিঃ তিনি বললেন, আমি আপনাকে যে অবস্থায় পাবো, তারই তো অনুসরণ করব। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মু‘আয তোমাদের জন্য একটি সুন্নাত নির্ধারণ করেছে। তোমরাও সেরূপ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের সাথীরা আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় পদার্পণ করে তাদের তিন দিন সিয়াম পালনের নির্দেশ দেন। অতঃপর রমাযানের সিয়াম ফরয (হওয়া সম্পর্কিত) আয়াত অবতীর্ন হয়। সাহাবীগণের ইতিপূর্বে সিয়াম পালনের অভ্যাস না থাকায় সিয়াম পালনের বিধান তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। কাজেই কেউ সিয়াম পালন অক্ষম হলে মিসকীনকে খাদ্য আহার করাতেন। এমতাবস্থায় এই আয়াত নাযিল হলোঃ ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ রমাযান মাস পেলে সে যেন অবশ্যই সিয়াম পালন করে’’- (সূরাহ বাক্বারাহ, ১৮৫)। এতে রোগী ও মুসাফিরকে অব্যাহতি দিয়ে অবশিষ্ট সবাইকে সিয়াম পালনের নির্দেশ দেয়া হলো। আমাদের সাথীরা আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেনঃ (ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায়) কেউ ইফতার করে আহার না করে ঘুমিয়ে পড়লে তার পক্ষে পরদিন সূর্যাস্তের পূর্বে কোন কিছু খাওয়া বৈধ ছিল না। একদা ‘উমার (রাঃ) সহবাসের ইচ্ছা করলে তার স্ত্রী বললেন, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম। ‘উমার ধারনা করলেন, তার স্ত্রী বাহানা করছে। তাই তিনি স্ত্রী সহবাস করলেন। অন্যদিকে জনৈক আনসারী (ইফতারের পর) খাদ্য চাইলে লোকেরা বলল, অপেক্ষা করুন আমরা আপনার জন্য খানা তৈরি করছি।। ইতিমধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর সকাল বেলা এই আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ‘‘রোযার রাতে স্ত্রী সহবাস তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো।’’ (সূরাহ বাক্বারাহ, ১৮৭)[1] সহীহ।
English
Ibn Abi Laila said:Prayer passed through three stages. And out people narrated to us that Messenger of Allah (May peace be upon him) said; it is to my liking that the prayer of Muslims or believers should be united (i.e., in congregation), so much so that I intended to send people to the houses to announce the time of prayer; and I also resolved that I should order people to stand at (the tops of) the forts and announce the time of the prayer for Muslims; and they struck the bell or were about to strike the bell (to announce the time for prayer). Then came a person from among the Ansar who said: Messenger of Allah, when I returned from you, as I saw your anxiety. I saw (in sleep) a person with two green clothes on him; he stood on the mosque and called (people) to prayer. He then sat down for a short while and stood up and pronounced in a like manner, except that he added: “The time for prayer has come”. If the people did not call me (a liar), and according to the version of Ibn al-Muthanna, if you did not call me (a liar). I would say that I was awake; I was awake; I was not asleep. The Messenger of Allah (May peace be upon him) said: According to the version of Ibn al-Muthanna, Allah has shown you a good (dream). But the version of ‘Amr does not have the words: Allah has shown you a good (dream). Then ask Bilal to pronounce the ADHAN (to call to the prayer). ‘Umar (in the meantime) said: I also had a dream like the one he had. But as he informed earlier. I was ashamed (to inform). Our people have narrated to us: when a person came (to the mosque during the prayer in congregation), he would ask (about the RAKAHS of prayer), and he would be informed about the number of RAKAHS already performed. They would stand (in prayer) along with the Messenger of Allah (May peace be upon him): some in standing position; others bowing; some sitting and some praying along with the Messenger of Allah (May peace be upon him). Ibn al-Muthanna reported from ‘Amr from Hussain b. Abi Laila, saying ; Until Mu’adh came. Shu’bah said ; I heard it from Hussain who said : I shall follow the position (in the prayer in which I find him (the prophet)). . . you should do in a similar way. Abu Dawud said: I then turned to the tradition reported by ‘Amr b. Marzuq he said; then Ma’adh came and they (the people) hinted at him. Shu’bah said; I heard it from hussain who said: Mu’adh then said; I shall follow the position (in the prayer when I join it) in which I find him (the prophet). He then said: Mu’adh has prayer when I join it in which I find him (the prophet). He then said: MU’adh has introduced for you a SUNNAH (a model behaviour), so you should do in a like manner. He said; our people have narrated to us; when the Messenger of Allah (ﷺ) came to Madina, he commanded them (the people) to keep fast for three days. Thereafter the Quranic verses with regard to the fasts during Ramadan were revealed. But they were people who were not accustomed to keep fast ; hence the keeping of the fasts was hard for them; so those who could not keep fast would feed an indigent; then the month”. The concession was granted to the patient and the traveler; all were commanded to keep fast
Indonesian
Telah menceritakan kepada kami [Amru bin Marzuq] telah mengabarkan kepada kami [Syu'bah] dari [Amru bin Murrah] dia berkata; Saya telah mendengar [Ibnu Abi Laila] -dari jalur lainnya- Dan telah menceritakan kepada kami [Ibnu Al-Mutsanna] telah menceritakan kepada kami [Muhammad bin Ja'far] dari [Syu'bah] dari [Amru bin Murrah] saya telah mendengar [Ibnu Abi Laila] berkata; Pelaksanaan shalat itu telah mengalami tiga kali perubahan. Dia berkata; Telah menceritakan kepada kami [Sahabat sahabat kami], bahwasanya Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bersabda: "Sungguh saya sangat senang, sekiranya pelaksanaan shalat kaum Muslimin atau Mukminin dapat dijadikan satu (Jama'ah), sehingga saya mempunyai keinginan yang besar untuk menyebarkan orang orang ke kampung-kampung menyerukan waktu shalat kepada orang banyak. Dan saya mempunyai keinginan besar untuk memerintahkan beberapa orang berdiri di atas bangunan bangunan tinggi menyerukan waktu shalat kepada kaum Muslimin, sehingga mereka memukul atau hampir saja memukul kentongan." Dia berkata; Maka datang seorang laki laki dari kaum Anshar, lalu berkata; Wahai Rasulullah, sesungguhnya ketika saya pulang, karena sedemikian besar perhatianku terhadap perhatianmu (tentang cara pelaksanaan shalat), saya melihat seorang laki laki seakan akan memakai dua kain hijau. Lalu orang tersebut berdiri di atas masjid dan mengumandangkan adzan. Kemudian dia duduk sebentar, lalu berdiri lagi mengucapkan yang diucapkan sebelumnya, hanya saja dia mengucapkan (untuk yang kedua kalinya) Qad qaamatis shalaah (sholat telah di kerjakan), seandianya bukan karena takut nanti orang-orang akan mengatakan (saya berdusta), Ibnu Al-Mutsanna menyebutkan; seandainya bukan karena takut nanti kalian akan mengatakan (saya berdusta), tentu saya mengatakan bahwa sungguh saya ketika itu dalam keadaan terjaga, tidak tidur. Maka Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bersabda, -Ibnu Al-Mutsanna menyebutkan; beliau bersabda: - "Sungguh Allah telah memperlihatkan kepadamu suatu kebaikan -Sedangkan Amru tidak menyebutkan sabda beliau: Allah telah memperlihatkan kepadamu suatu kebaikan-, maka suruhlah Bilal untuk mengumandangkan adzan itu. Katanya; Lalu Umar berkata; Sungguh saya telah bermimpi seperti yang diimpikannya, tetapi karena saya didahului (untuk melaporkan kepada Rasulullah), maka saya merasa malu. Dan telah menceritakan kepada kami para sahabat kami; Biasanya seseorang jika dia datang (terlambat), bertanya kepada sebagian jama'ah itu, maka beritahukan kepadanya raka'at yang telah lewat (tertinggal). Sedangkan waktu itu, jama'ah yang bersama Rasulullah, ada yang berdiri, ada yang ruku, ada yang duduk, dan ada pula yang shalat bersama Rasulullah. Berkata [Ibnu Al-Mutssanna] berkata [Amru] telah menceritakan kepadaku [Hushain] dari [Ibnu Abi Laila] hingga datang Mu'adz. Berkata [Syu'bah] saya telah mendengarnya dari [Hushain], lalu perawi berkata; Saya tidak melihatnya pada keadaan… hingga ucapan: Demikian, maka lakukanlah itu. Abu Dawud berkata; Kemudian saya kembali pada hadits Amru bin Marzuq dia berkata; Mu'adz datang, kemudian mereka mengisyaratkan kepadanya. Syu'bah berkata; Ini saya dengar dari Hushain, dia berkata; Mu'adz berkata; Saya tidak melihatnya dalam satu kedaan melainkan saya padanya. Mu'adz berkata; Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bersabda: "Sesungguhnya Mu'adz telah menunjukkan satu sunnah kepada kalian, maka lakukanlah yang demikian." Dia Ibnu Abi Lailah berkata; Sahabat-sahabat kami telah menceritakan kepada kami, bahwasanya ketika Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam datang ke Madinah, beliau memerintahkan berpuasa tiga hari (tiap bulan), lalu turun perintah puasa pada bulan Ramadhan, sedangkan mereka adalah kaum yang tidak terbiasa berpuasa, sehingga puasa terasa amat berat bagi mereka. Maka mereka yang tidak berpuasa memberi makan orang miskin. Lalu turunlah ayat ini (yang artinya): (Karena itu, barangsiapa di antara kamu hadir (di negeri tempat tinggalnya) pada bulan itu, maka hendaklah dia berpuasa pada bulan itu). (Al-Baqarah: 185). Di dalam ayat ini disebutkan bahwa keringanan itu untuk orang sakit dan musafir. Karena itu, mereka diwajibkan berpuasa. Kata Ibnu Abi Lahi'ah; para sahabat kami telah menceritakan kepada kami, katanya; Kebiasaan saat itu, apabila seseorang memasuki waktu berbuka, lalu tidur sebelum makan, maka dia tidak makan malam itu sampai pagi. Dia berkata; Lalu Umar bin Khaththab datang kepada istrinya hendak mengumpulinya, namun istrinya berkata; Sesungguhnya saya telah tidur sebelum makan (berbuka), namun Umar menyangka bahwa istrinya itu hanya beralasan untuk menghindar darinya, karena itu Umar tetap mengumpulinya. Kemudian datang pula seorang laki laki yang berpuasa dari golongan Anshar, lalu dia hendak makan (berbuka), maka keluarganya berkata; Tunggu, kami akan menghangatkan makanan untukmu, Ialu laki laki itu tidur. Maka ketika pagi harinya, turunlah ayat kepada beliau shallallahu 'alaihi wasallam tentang peristiwa ini, ayat tersebut (artinya): "Dihalalkan bagi kamu pada malam puasa mengumpuli istri istri kamu". (QS. Albaqarah)
Russian
Передают со слов ‘Амра ибн Мурры о том, что он слышал, как Ибн Абу Лейля сказал: «Положение молитвы изменялось трижды».(Ибн Абу Лейля) сказал: «Рассказали нам наши сподвижники, что Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Я был бы рад, если молитва мусульман (или: верующих) была бы единой, что даже я решил отправить людей в места поселений призывать людей к молитве при наступлении её времени. И даже я хотел отдать распоряжение людям, чтобы они поднялись на крепостные укрепления, призывая мусульман (при наступлении) времени молитвы, даже при помощи колокола (или: был близок к тому, чтобы это сделать)”».(Ибн Абу Лейля) сказал: «Тогда явился один человек из числа ансаров и сказал: “О Посланник Аллаха, поистине, когда я вернулся от тебя, увидев, как ты был озабочен, я увидел человека, который как будто бы был одет в две зелёные одежды. Он поднялся на мечеть и произнёс призыв. Затем он присел, после чего (снова) встал и произнёс нечто подобное, исключая то, что он добавил: “кад камати-с-саля”. И если бы люди не сказали”».Ибн аль-Мусанна (в своём риваяте) сказал: «Если бы вы не сказали (что я лжец), я бы сказал: “Поистине, я бодрствовал, а не спал!” Тогда Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Поистине, Аллах показал тебе благо!”».И ‘Амр (в своём риваяте) не сказал: «Поистине, Аллах показал тебе благо! Прикажи Билялю, пусть он произнесёт азан!»(Передатчик этого хадиса) сказал: «‘Умар сказал: “Поистине, я тоже видел подобное тому, что видел он! Однако, когда меня опередили, мне стало стыдно”».(Ибн Абу Лейля) сказал: «И нам рассказывали наши товарищи: “И (иногда) бывало так, что, когда человек приходил (в мечеть) и спрашивал, ему сообщали о том, что он пропустил из молитвы, ибо они становились вместе с посланником Аллаха ﷺ (и среди них были те,) которые стояли, совершающие поясные поклоны, сидящие, и те, которые совершали молитву, следуя за посланником Аллаха ﷺ”».Ибн аль-Мусанна сказал: ‘Амр (ибн Мурра) сказал: «Рассказал мне этот хадис Хусайн со слов Ибн Абу Лейлы до (слов, где сказано): “И пришёл Му‘аз”».Ибн Абу Лейля сказал: «Когда пришёл Му‘аз, ему сделали знак, но Му‘аз сказал: “В каком бы положении я его не застану, я буду следовать за ним!”»(Му‘аз) сказал: «(Посланник Аллаха ﷺ) сказал: “Поистине, Му‘аз ввёл для вас Сунну, поэтому так и поступайте!”»Ибн Абу Лейля сказал: «И наши товарищи рассказывали нам о том, что когда Посланник Аллаха ﷺ прибыл в Медину, он велел им поститься в течение трёх дней, после чего был ниспослан (аят о велении поститься в) рамадане. Пост для них был непривычным делом и им было трудно соблюдать его, и тот, кто его не соблюдал кормил бедняка, после чего был ниспослан этот аят: “И тот из вас застанет месяц (рамадан), пусть постится”. Не поститься же было дозволено больному и путнику, а остальным было велено соблюдать пост».Ибн Абу Лейля сказал: И наши товарищи рассказывали нам: «(Му‘аз) сказал: “И когда человек разговлялся и засыпал до того, как покушать, он не ел до тех пор, пока не наступал рассвет”».(Му‘аз) сказал: «И (однажды,) когда ‘Умар пришёл к своей жене, она сказала: “Я же заснула (до того, как покушать)!” И ‘Умар подумав, что она хочет схитрить, вступил с нею в половую близость. (Другой же) человек из числа ансаров (будучи постящимся) пришёл (к своей семье) желая покушать, (его домочадцы) сказали ему: “(Подожди) пока мы подогреем что-нибудь для тебя!” И он заснул, а когда они проснулись (Пророку ﷺ) был ниспослан этот аят: “Вам дозволено вступать в близость с вашими женами в ночь поста”»
Turkish
Amr b. Murre, "İbn Ebî Leyla'yı (şöyle derken) işittim" demiştir: Namaz üç kere değişiklik geçirmiştir. Sahabe(-i kiram efendilerimiz bize (şunları) naklettiler: Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) buyurdu (ki); "(Bütün) müslumanların yahut müzminlerin namazının tek (cemaatte kılınmış) olması beni memnun eder. Hatta bütün evlere namaz vakit(inin girdiği)ni ilan edecek adamlar göndermeyi (bile) düşündüm. Ve hatta (bazı) kişilere damların üzerine dikilip namaz vakti(nin girdiği)ni ilan etmelerini emretmeyi kalbimden geçirdim." Hatta (neredeyse bu maksatla) çan çalacaklardı. (İbn Ebî Leyla) der ki: Ensardan bir adam geliverdi: Ya Resulallah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) seni tasalı olarak gördüğümden dolayı eve döndüğümde (rü'yamda) üzerinde sanki iki yeşil elbise bulunan bir adam gördüm mescidin üzerine dikilip ezan okudu, sonra birazcık oturup (tekrar) ayağa kalktı, aynı şeyleri söyledi. Ancak (bu defa fazladan olarak) namaz başladı diyordu. Eğer insanlar(ın bu yalancıdır) demeleri (korkusu) olmasaydı" muhakkak ki ben uykuda değildim, uyanıktım derdim dedi. (İbn Müsenna (bu cümleyi); "sizin "bu yalancıdır" demeniz korkusu olmasaydı" (şeklinde rivayet etmiştir) Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) buyurdu ki; "Vallahi Allah (c.c.) Sana hayrı göstermiştir". (Bu cümleyi) İbn Müsenna rivayet etmiştir. (Diğer ravi) Amr ise, mevzuu bahis (etmemiştir) Resulullah, "Bilal'e öğret ezan okusun" buyurdu. (Yine İbn Ebî Leyla) der ki: "Ömer onun gördüğünün benzerini ben de gördüm lakin (haber vermekte) geciktiğim için (söylemeye) utandım" dedi. Sahabelerimiz(in) bize haber verdiğine göre (önceleri) bir adam (cemaate) geldiği zaman (namazın imamla kaç rekatinin kılındığını) sorardı ve kendisine namazdan (kaç rekate) geç kaldığı haber verilirdi. Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) ile beraber namaz kılan cemaat(ın kimisi) kıyamda, (kimisi) rükuda, (kimisi) oturuşta, (kimisi de) Resulullah (Sallallahu aleyhi ve Sellem) ile aynı halde olurdu. İbnu'l-Müsenna, dedi ki; Amr "Bana bunu (bu rivayeti) bir de Husayn İbn Ebî Leyla'dan nakletti" demiştir. (Derken bir gün) Muaz (cemaate) çıkageldi ve (-Şu'be der ki, ben bunu bir de Hüsayn'den dinlemiştim-) Muaz'ın, "Ben Resulullah'ı (namazda) hangi halde görürsem... (diye başlayan)", Resulullah'ın "siz de böyle yapınız" demesine kadar devam eden sözünü nakletti. Ebu Davud dedi ki: Sonra Amr b. Merzuk hadisine dönüyorum (bu rivayette) İbn Ebi Leyla diyor ki: (Bir gün) Muaz (cemaate) geldi, -daha önce cemaatle kaç rekat namazın kılınmış olduğunu- kendisine işaret ettiler. (Şu'be der ki, ben bunu bir de Husayn'dan dinlemiştim.) (İbn Ebî Leyla rivayetine devamla) dedi ki: Muaz (r.a.); "Ben O'nu (Resulullahı) hangi halde görürsem göreyim o haline uyarım" dedi. Resulullah da (s.a) buyurdu ki: "Muaz sizin için bir yol açtı, siz de böyle yapınız." Sahabe(lerimiz)in bize naklettiğine göre: Resulullah Medine'ye gelince müslümanlara (her ay) üç gün oruç tutmayı emretti. Sonra Ramazanın (orucuyla ilgili ayet-i kerime) indirildi. (Medine'li müslümanlar) oruca alışmamış bir toplum idiler, oruç onlara çok zor geliyordu. (Bu yüzden) oruç tutamayan kimse (tutamadığı gün için) bir fakiri doyuruyordu. Sonra "Sîz mü'minlerden her kim bu (mübarek) ayda hazır bulunursa (veya bu mübarek aya şahid olursa) bunda oruç tutsun"[Bakara 185] ayeti nazil olunca oruç tutma ruhsatı sadece müsafir ve hastalar için (geçerli) oldu. (Bunun dışındakiler) oruç tutmakla emrolundular. İbn Ebî Leyla der ki; (Bazı) sahabelerimiz (r.a.) bize rivayet etti ki; (başlangıçta) bir kimse iftar zamanına erişir de yemek yemeden önce uyuyakalırsa bir daha yiyemez, oruçlu halde sabahlardı. (Yine bir sahabe şöyle) dedi: Ömer (r.a.) (eve) gelip karısını(n yatağına gelmesini) istedi. O da; (ben yemek yemeden) uyudum, dedi. Ömer karısının bahane uydurduğunu zannederek kendisine yaklaştı. (Bir de) ensardan bir adam (evine) geldi (iftar vakti) yemek istedi (ev halkı) "sana birşey ısıtana kadar (bekle)" dediler, o da (yemeden) uyuyakaldı. Bunun üzerine Resulullah'a şu ayet-i kerime indi: "Oruç gecesi kadınlarınıza yaklaşmanız size helal kılındı.”[Bakara]
Urdu
ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں کہ نماز تین حالتوں سے گزری، ہمارے صحابہ کرام نے ہم سے بیان کیا کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: مجھے یہ بات بھلی معلوم ہوئی کہ سارے مسلمان یا سارے مومن مل کر ایک ساتھ نماز پڑھا کریں، اور ایک جماعت ہوا کرے، یہاں تک کہ میں نے قصد کیا کہ لوگوں کو بھیج دیا کروں کہ وہ نماز کے وقت لوگوں کے گھروں اور محلوں میں جا کر پکار آیا کریں کہ نماز کا وقت ہو چکا ہے۔ پھر میں نے قصد کیا کہ کچھ لوگوں کو حکم دوں کہ وہ ٹیلوں پر کھڑے ہو کر مسلمانوں کو نماز کے وقت سے باخبر کریں، یہاں تک کہ لوگ ناقوس بجانے لگے یا قریب تھا کہ بجانے لگ جائیں ، اتنے میں ایک انصاری ( عبداللہ بن زید رضی اللہ عنہ ) آئے اور کہنے لگے: اللہ کے رسول! جب میں آپ کے پاس سے گیا تو میں اسی فکر میں تھا، جس میں آپ تھے کہ اچانک میں نے ( خواب میں ) ایک شخص ( فرشتہ ) کو دیکھا، گویا وہ سبز رنگ کے دو کپڑے پہنے ہوئے ہے، وہ مسجد پر کھڑا ہوا، اور اذان دی، پھر تھوڑی دیر بیٹھا پھر کھڑا ہوا اور جو کلمات اذان میں کہے تھے، وہی اس نے پھر دہرائے، البتہ: «قد قامت الصلاة» کا اس میں اضافہ کیا۔ اگر مجھے اندیشہ نہ ہو تاکہ لوگ مجھے جھوٹا کہیں گے ( اور ابن مثنی کی روایت میں ہے کہ تم ( لوگ ) جھوٹا کہو گے ) تو میں یہ کہتا کہ میں بیدار تھا، سو نہیں رہا تھا، اس پر رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: اللہ عزوجل نے تمہیں بہتر خواب دکھایا ہے ( یہ ابن مثنی کی روایت میں ہے اور عمرو بن مرزوق کی روایت میں یہ نہیں ہے کہ اللہ تعالیٰ نے تمہیں بہتر خواب دکھایا ہے ) ، ( پھر فرمایا ) : تم بلال سے کہو کہ وہ اذان دیں ۔ ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں: اتنے میں عمر رضی اللہ عنہ ( آ کر ) کہنے لگے: میں نے بھی ایسا ہی خواب دیکھا ہے جیسے عبداللہ بن زید رضی اللہ عنہ نے دیکھا ہے، لیکن چونکہ میں پیچھے رہ گیا، اس لیے شرم سے نہیں کہہ سکا۔ ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں: ہم سے ہمارے صحابہ کرام نے بیان کیا کہ جب کوئی شخص ( نماز باجماعت ادا کرنے کے لیے مسجد میں آتا اور دیکھتا کہ نماز باجماعت ہو رہی ہے ) تو امام کے ساتھ نماز پڑھنے والوں سے پوچھتا کہ کتنی رکعتیں ہو چکی ہیں، وہ مصلی اشارے سے پڑھی ہوئی رکعتیں بتا دیتا اور حال یہ ہوتا کہ لوگ جماعت میں قیام یا رکوع یا قعدے کی حالت میں رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے ساتھ نماز پڑھ رہے ہوتے۔ ابن مثنیٰ کہتے ہیں کہ عمرو نے کہا: حصین نے ابن ابی لیلیٰ کے واسطہ سے مجھ سے یہی حدیث بیان کی ہے اس میں ہے: یہاں تک کہ معاذ رضی اللہ عنہ آئے ۔ شعبہ کہتے ہیں کہ میں نے بھی یہ حدیث حصین سے سنی ہے اس میں ہے کہ معاذ رضی اللہ عنہ نے کہا: میں تو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کو جس حالت میں دیکھوں گا ویسے ہی کروں گا، رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: معاذ نے تمہارے واسطے ایک سنت مقرر کر دی ہے تم ایسے ہی کیا کرو ۔ ابوداؤد کہتے ہیں: پھر میں عمرو بن مرزوق کی حدیث کے سیاق کی طرف پلٹتا ہوں، ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں: معاذ رضی اللہ عنہ آئے تو لوگوں نے ان کو اشارہ سے بتلایا، شعبہ کہتے ہیں: اس جملے کو میں نے حصین سے سنا ہے، ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں: تو معاذ نے کہا: میں جس حال میں رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کو دیکھوں گا وہی کروں گا، وہ کہتے ہیں: تو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: معاذ نے تمہارے لیے ایک سنت جاری کر دی ہے لہٰذا تم بھی معاذ کی طرح کرو ، ( یعنی جتنی نماز امام کے ساتھ پاؤ اسے پڑھ لو، بقیہ بعد میں پوری کر لو ) ۔ ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں: ہمارے صحابہ کرام نے ہم سے حدیث بیان کی کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم جب مدینہ تشریف لائے تو آپ نے انہیں ( ہر ماہ ) تین دن روزے رکھنے کا حکم دیا، پھر رمضان کے روزے نازل کئے گئے، وہ لوگ روزے رکھنے کے عادی نہ تھے، اور روزہ رکھنا ان پر گراں گزرتا تھا، چنانچہ جو روزہ نہ رکھتا وہ اس کے بدلے ایک مسکین کو کھانا کھلا دیتا، پھر یہ آیت: «فمن شهد منكم الشهر فليصمه» ۱؎ نازل ہوئی تو رخصت عام نہ رہی، بلکہ صرف مریض اور مسافر کے لیے مخصوص ہو گئی، باقی سب لوگوں کو روزہ رکھنے کا حکم ہوا۔ ابن ابی لیلیٰ کہتے ہیں: ہمارے اصحاب نے ہم سے حدیث بیان کی کہ اوائل اسلام میں جب کوئی آدمی روزہ افطار کر کے سو جاتا اور کھانا نہ کھاتا تو پھر اگلے دن تک اس کے لیے کھانا درست نہ ہوتا، ایک بار عمر رضی اللہ عنہ نے اپنی بیوی سے صحبت کا ارادہ کیا تو بیوی نے کہا: میں کھانے سے پہلے سو گئی تھی، عمر سمجھے کہ وہ بہانہ کر رہی ہیں، چنانچہ انہوں نے اپنی بیوی سے صحبت کر لی، اسی طرح ایک روز ایک انصاری آئے اور انہوں نے کھانا چاہا، ان کے گھر والوں نے کہا: ذرا ٹھہرئیے ہم کھانا گرم کر لیں، اسی دوران وہ سو گئے، جب صبح ہوئی تو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم پر یہ آیت اتری: «أحل لكم ليلة الصيام الرفث إلى نسائكم» ۲؎۔