Arabic
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ . فَوَفَّقَ اللَّهُ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ دَاخِلاً فِي الْمَسْجِدِ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَفَقَّرُونَ الْعِلْمَ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَالأَمْرُ أُنُفٌ . فَقَالَ إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ نَعْرِفُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ . قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ . قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا . قَالَ " أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ " . قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ " يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ " .
حدثنا عبيد الله بن معاذ، حدثنا ابي، حدثنا كهمس، عن ابن بريدة، عن يحيى بن يعمر، قال كان اول من تكلم في القدر بالبصرة معبد الجهني فانطلقت انا وحميد بن عبد الرحمن الحميري حاجين او معتمرين فقلنا لو لقينا احدا من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فسالناه عما يقول هولاء في القدر . فوفق الله لنا عبد الله بن عمر داخلا في المسجد فاكتنفته انا وصاحبي فظننت ان صاحبي سيكل الكلام الى فقلت ابا عبد الرحمن انه قد ظهر قبلنا ناس يقرءون القران ويتفقرون العلم يزعمون ان لا قدر والامر انف . فقال اذا لقيت اوليك فاخبرهم اني بريء منهم وهم براء مني والذي يحلف به عبد الله بن عمر لو ان لاحدهم مثل احد ذهبا فانفقه ما قبله الله منه حتى يومن بالقدر ثم قال حدثني عمر بن الخطاب قال بينا نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ طلع علينا رجل شديد بياض الثياب شديد سواد الشعر لا يرى عليه اثر السفر ولا نعرفه حتى جلس الى النبي صلى الله عليه وسلم فاسند ركبتيه الى ركبتيه ووضع كفيه على فخذيه وقال يا محمد اخبرني عن الاسلام . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم " الاسلام ان تشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصوم رمضان وتحج البيت ان استطعت اليه سبيلا " . قال صدقت . قال فعجبنا له يساله ويصدقه . قال فاخبرني عن الايمان . قال " ان تومن بالله وملايكته وكتبه ورسله واليوم الاخر وتومن بالقدر خيره وشره " . قال صدقت . قال فاخبرني عن الاحسان قال " ان تعبد الله كانك تراه فان لم تكن تراه فانه يراك " . قال فاخبرني عن الساعة . قال " ما المسيول عنها باعلم من السايل " . قال فاخبرني عن اماراتها . قال " ان تلد الامة ربتها وان ترى الحفاة العراة العالة رعاء الشاء يتطاولون في البنيان " . قال ثم انطلق فلبثت ثلاثا ثم قال " يا عمر هل تدري من السايل " . قلت الله ورسوله اعلم . قال " فانه جبريل اتاكم يعلمكم دينكم
Bengali
। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া‘মার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাসরাতে সর্বপ্রথম তাকদীর সম্বন্ধে বিতর্ক সৃষ্টি করে মা‘বাদ আল-জুহানী। আমি ও হুমাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান আল-হিমাইয়ারি হজ (হজ্জ) অথবা উমরা করতে গেলাম। আমরা বললাম, যদি আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো সাহাবীর সাক্ষাৎ পাই তাহলে আমরা এসব লোক তাকদীর সম্পর্কে যা বলে, সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করবো। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভে সাহায্য করলেন, যিনি মসজিদে প্রবেশ করছিলেন। আমিও আমার সাথী তাকে ঘিরে বসলাম। আমি চিন্তা করলাম যে, আমার সাথী কথা বলার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করবেন। আমি বললাম, হে আব্দুর রাহমানের পিতা! আমাদের এখানে কিছু সংখ্যক লোকের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে, যারা কুরআন পড়ে, জ্ঞানচর্চা ও বিতর্কও করে এবং মত পোষণ করে যে, তাকদীর বলতে কিছু নেই এবং প্রতিটি বিষয়ে পূর্ব সিদ্ধান্ত ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটছে। তিনি বললেন, তুমি ঐসব লোকের সাক্ষাৎ পেলে তাদেরকে সংবাদ দিবে যে, আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্কহীন আর তারাও আমার থেকে বিচ্ছিন্ন। বিশেষ করে আব্দুল্লাহ কসম করে বলেন, ‘‘তাদের কারো যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এবং তা দান করে দেয়, তবুও তাকদীরের উপর ঈমান আনা পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তাদের এ দান কবূল করবেন না।’’ অতঃপর তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন ধবধবে সাদা কাপড় পরিহিত ও মিশমিশে কালো চুলধারী এক ব্যক্তি আমাদের নিকট আসলেন। তার মধ্যে ভ্রমণের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, আবার আমাদের মধ্যকার কেউ তাকে চিনতে পারছে না। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বসলেন। অতঃপর তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’ হাঁটুর সঙ্গে নিজের দু’ হাঁটু মিশিয়ে এবং নিজের দু’ হাত তাঁর দু’ উরূর উপর রেখে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইসলাম হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল। সালাত কায়িম করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের সিয়াম পালন করবে এবং বাইতুল্লাহর হজ (হজ্জ) করবে যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তিনি (উমার) বলেন, তাঁর আচরণে আমরা বিস্মিত হলাম, কারণ তিনি প্রশ্ন করেছেন আবার নিজেই তার সমর্থন করছেন। পুনরায় তিনি বলেন, আমাকে বলুন ঈমান কি? তিনি বললেন, আপনি আল্লাহর উপর, ফিরিশতাগণ কিতাবসমূহে, তাঁর রাসূলগণ পরকাল ও তাকদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস করবেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। এবার আমাকে বলুন ইহসান কি? তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহর ইবাদাত এরূপ নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন। আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে নাও পান তবুও মনে করবেন যে, তিনি আপনাকে দেখছেন। অতঃপর তিনি বলেন, কিয়ামত কবে হবে তা আমাকে বলুন, তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে অধিক জানেন না। তিনি এবার বললেন, তাহলে কিয়ামতের নির্দশনসমূহ বলুন। তিনি বললেনঃ দাসী আপন মনিবকে জন্ম দিবে এবং নাঙ্গা পা ওয়ালা বস্ত্রহীন দেহ গরীব মেষ চালকদেরকে দালানকোঠা নিয়ে গর্ব করতে দেখবে। তিনি (উমার) বলেন, তারপর লোকটি চলে গেলেন এবং এরপর আমি তিনদিন কাটালাম। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে উমার! তুমি কি জানো, প্রশ্নকারী কে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলেন, তিনি হচ্ছেন জিবরীল (আঃ), তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিখানোর জন্য তোমাদের নিকট এসেছিলেন।[1] সহীহ।
English
Yahya b. Ya`mur said :The first to speak on Divine decree in al-Basrah was Ma`bad al Juhani. I and Humaid b. `Abd al-Rahman al-Himyari proceeded to perform Hajj or `Umrah. We said : would that we meet any of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) so that we could ask him about what they say with regard to divine decree. So Allah helped us to meet `Abd Allah b. `Umar who was entering the mosque. So I and my companion surrounded him, and I thought that my companion would entrust me the task of speaking to him. Then I said : Abu ‘Abd al-Rahman, there appeared on our side some people who recite the Qur'an and are engaged in the hair-splitting of knowledge. They conceive that there is no Divine decree and everything happens freely without predestination. He said : When you meet those people, tell them that I am free from them, and they are free from me. By Him by Whom swears ‘Abd Allah b. ‘Umar, if one of them has gold equivalent to Uhud and he spends it, Allah will not accept it from him until he believes in Divine decree. He then said : ‘Umar b. Khattab transmitted to me a tradition, saying : One day when we were with the Messenger of Allah (ﷺ) a man with very white clothing and very black hair came up to us. No mark of travel was visible on him, and we did not recognize him. Sitting down beside the Messenger of Allah (ﷺ), leaning his knees against his and placing his hands on his thighs, he said : tell me, Muhammad, about Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said : Islam means that you should testify that there is no god but Allah, and Muhammad is Allah’s Apostle, that you should observe prayer, pay Zakat, fast during Ramadan, and perform Hajj to the house (i.e., Ka`bah), If you have the means to go. He said : You have spoken the truth. We were surprised at his questioning him and then declaring that he spoke the truth. He said : Now tell me about faith. He replied : It means that you should believe in Allah, his angels, his Books, his Apostles and the last day, and that you should believe in the decreeing both of good and evil. He said : You have spoken the truth. He said : now tell me about doing good (ihsan). He replied: It means that you should worship Allah as though you are seeing him; if you are not seeing him, he is seeing you. He said: Now tell me about the hour. He replied : The one who is asked about it is no better informed than the one who is asking. He said : Then tell me about its signs. He replied : That a maidservant should beget her mistress, and that you should see barefooted, naked, poor men and shepherds exalting themselves in buildings. ‘Umar said : He then went away, and I waited for three days, then he said : Do you know who the questioner was, `Umar? I replied : Allah and his Apostle know best. He said : He was Gabriel who came to you to teach you your religion
Indonesian
Telah menceritakan kepada kami [Ubaidullah bin Mu'adz] berkata, telah menceritakan kepada kami [Bapakku] berkata, telah menceritakan kepada kami [Kahmas] dari [Ibnu Buraidah] dari [Yahya bin Ya'mar] ia berkata, "Orang yang pertama kali berbicara masalah takdir di kota Basrah adalah Ma'bad Al Juhani. Aku dan Humaid bin 'Abdurrahman Al Himyari pergi untuk berhaji atau umrah. Kami lalu bergumam, "Jika nanti kami bertemu dengan salah seorang sahabat Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam, maka akan kami tanyakan kepadanya tentang apa yang dikatakan oleh orang-orang seputar takdir. Lalu Allah mentakdirkan kami bertemu dengan [Abdullah bin Umar] ketika ia akan masuk ke dalam masjid, sehingga aku dan sahabatku itu mendekatinya. Aku mengira sahabatku akan mewakilkan pembicaraan itu kepadaku, maka aku pun berkata, "Wahai Abu 'Abdurrahman, di antara kami telah muncul orang-orang yang membaca Al-Qur'an dan tekun dalam menuntut ilmu, namun mereka menyakini bahwa tidak ada takdir, dan sesuatu itu terjadi begitu saja tanpa ada campur tangan takdir!" Ibnu Umar lalu berkata, "Jika kalian berjumpa dengan mereka maka katakanlah bahwa aku berlepas diri dari mereka dan mereka juga berlepas diri dariku. Dan demi Dzat yang Abdullah bin Umar bersumpah atas nama-Nya, sekiranya mereka memiliki emas sebesar gunung uhud, lalu mereka menginfakkannya, maka Allah tidak akan menerimanya hingga mereka beriman dengan takdir." Kemudian ia berkata, " [Umar Ibnul Khaththab] menceritakan kepadaku, ia berkata, "Sewaktu kami sedang bersama Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam, tiba-tiba datang seorang laki-laki yang mengenakan pakaian yang sangat putih dan rambutnya sangat hitam. Tidak ada tanda-tanda bahwa ia dalam perjalanan yang jauh, namun tidak seorang pun dari kami yang mengenalnya. Kemudian ia mendekati Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam, ia menyandarkan lututnya pada lutut Nabi dan meletakkan kedua telapak tangannya pada kedua paha beliau. Setelah itu ia berkata, "Wahai Muhammad, kabarkanlah kepadaku tentang Islam?" Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam lalu menjawab: "Islam itu adalah engkau bersaksi bahwa tidak ada Tuhan yang berhak disembah selain Allah dan Muhammad adalah utusan-Nya. Engkau tegakkan shalat, engkau tunaikan zakat, engkau kerjakan puasa ramadhan dan berhaji ke Baitullah jika mampu." Laki-laki itu berkata, "Engkau benar." Umar berkata, "Kami pun merasa heran kepadanya, ia yang bertanya dan ia sendiri yang membenarkannya". Laki-laki itu bertanya lagi, "Kabarkanlah kepadaku tentang iman?" beliau menjawab: "Iman adalah engkau beriman kepada Allah, para malaikat-Nya, kitab-kitab-Nya, para Rasul-Nya, hari akhir dan beriman dengan takdir; yang buruk atau yang baik." Laki-laki itu berkata, "Engkau benar." Laki-laki itu melanjutkan, "Kabarkanlah kepadaku apa itu ihsan?" beliau menjawab: "Engkau beribadah kepada Allah seakan-akan melihat-Nya, jika engkau tidak dapat melihat-Nya, sesungguhnya Ia dapat melihatmu." Laki-laki itu bertanya lagi, "Kabarkanlah kepadaku tentang hari kiamat?" beliau menjawab: "tidaklah orang yang ditanya lebih tahu dari pada yang bertanya." Laki-laki itu bertanya, "Kalau begitu, kabarkanlah kepadaku tanda-tandanya?" beliau menjawab: "Jika seorang budak telah melahirkan tuannya, lalu engkau melihat orang-orang yang telanjang kaki (miskin) lagi pengembala domba telah berlomba-lomba membuat bangunan yang tinggi." Umar berkata, "Laki-laki itu lalu pergi, dan aku tetap berdiam diri selama tiga hari. Kemudian beliau bersabda: "Wahai Umar, tahukah kamu siapa laki-laki yang bertanya itu?" Aku menjawab, "Allah dan Rasul-Nya lebih tahu. Beliau bersabda: "Itu adalah Jibril, ia datang kepada kalian untuk mengajarkan tentang perkara agama kalian." Telah menceritakan kepada kami [Musaddad] berkata, telah menceritakan kepada kami [Yahya] dari [Utsman bin Ghiyats] ia berkata; telah menceritakan kepadaku [Abdullah bin Buraidah] dari [Yahya bin Ya'mar] dan [Humaid bin 'Abdurrahman] keduanya berkata, "Kami bertemu dengan [Abdullah bin Umar], lalu kami ceritakan kepdanya tentang takdir dan apa yang orang-orang katakan tentang hal itu…. lalu ia menyebutkan sebagaimana hadits tersebut. Namun ia menambahkan, ia berkata "Lalu ada seorang laki-laki dari Muzainah atau Juhainah bertanya kepada Nabi shallallahu 'alaihi wasallam, "Wahai Rasulullah, bagaimana kita harus beramal? Apakah amalan itu berdasar pada takdir yang telah berlalu atau berdasar pada sesuatu yang baru?" beliau menjawab: "Berdasarkan pada sesuatu yang telah ditetapkan." Laki-laki itu, atau sebagian orang bertanya lagi, "Lalu untuk apa kita beramal?" beliau menjawab: "Sesungguhnya ahli surga akan dimudahkan untuk beramal dengan amalan penduduk surga, dan ahli neraka akan dimudahkan untuk beramal dengan amalan penduduk neraka." Telah menceritakan kepada kami [Mahmud bin Khalid] berkata, telah menceritakan kepada kami [Al Firyabi] dari [Sufyan] ia berkata; telah menceritakan kepada kami [Alqamah bin Martsad] dari [Sulaiman bin Buraidah] dari [Ibnu Ya'mar] dengan hadits yang sama, "bertambah dan berkurang." Ia bertanya, "Lalu Islam itu apa?" Beliau menjawab: "Menegakkan shalat, menunaikan zakat, melaksanakan haji, puasa pada bulan ramadhan, dan mandi junub." Abu Dawud berkata, "Alqamah adalah seorang murjiah
Russian
Передаётся от Яхьи ибн Я‘мара: «Ма‘бад аль-Джухани был первым в Басре, кто начал отрицать предопределение. Мы с Хумайдом ибн ‘Абдуррахманом аль-Химьяри отправились совершать хадж или ‘умру. При этом мы подумали, что было бы хорошо встретить кого-нибудь из сподвижников Посланника Аллаха ﷺ и спросить его о том, что говорят эти люди о предопределении. По воле Аллаха, мы встретили ‘Абдуллаха ибн ‘Умара, который как раз входил в мечеть. Мы подошли к нему, оказавшись с двух сторон от него. Я подумал, что мой товарищ предоставит говорить мне, и сказал: “О Абу ‘Абдуррахман, там, где мы живём, появились люди, которые читают Коран и приобретают знание, но при этом отрицают предопределение и считают, что дела свершаются (без предопределения)!” Он сказал в ответ: “Когда встретите их, передайте им, что я отрекаюсь от них и они не имеют ко мне отношения. Клянусь Тем, Кем клянётся ‘Абдуллах ибн ‘Умар, даже если у одного из них будет целая гора золота и он потратит её на благие дела, Аллах не примет это от него до тех пор, пока он не уверует в предопределение!”»Затем (‘Абдуллах ибн ‘Умар) сказал: «‘Умар ибн аль-Хаттаб рассказывал мне: “Однажды, когда мы сидели с посланником Аллаха ﷺ перед нами появился человек в белоснежной одежде, с очень чёрными волосами, на нём не было следов пребывания в пути, и никто из нас не знал его. Он сел перед Пророком ﷺ почти прислонился своими коленями к его коленям, положил руки себе на бедра и сказал: “О Мухаммад, расскажи мне об исламе”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Ислам это когда ты свидетельствуешь, что нет бога [заслуживающего поклонение], кроме Аллаха, и что Мухаммад Посланник Аллаха, совершаешь молитву, выплачиваешь закят, соблюдаешь пост в месяце рамадан и совершаешь хадж к Дому, если имеешь такую возможность”. Тот человек сказал: “Твоя правда”. Мы удивились: ведь он и спрашивает Посланника Аллаха, и подтверждает его правоту. Он сказал: “Расскажи мне о вере /иман/”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Это когда ты веруешь в Аллаха, в Его ангелов, в Его Писания, в Его посланников, в Последний день и веруешь в предопределённость и добра, и зла”. Он сказал: “Твоя правда” и попросил: “Расскажи мне о совершенстве в поклонении Аллаху /ихсан/”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Это когда ты поклоняешься Аллаху так, как будто ты Его видишь. Ведь если ты и не видишь Его, то, воистину, Он видит тебя”. Тот человек сказал: “Расскажи мне о Часе”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Вопрошаемый знает о нём не более, нежели вопрошающий”. Он сказал: “Расскажи мне о его знамениях”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Когда рабыня родит свою госпожу и когда ты увидишь босых, раздетых, нуждающихся пастухов состязающимися в высоте своих домов”. Тот человек ушёл, и прошло три дня. А потом (Посланник Аллаха ﷺ) сказал: “О ‘Умар, знаешь ли, кто этот задававший вопросы?” Я сказал: “Аллах и Его посланник знают об этом лучше”. Тогда он сказал: “Поистине, это Джибриль приходил к вам, дабы научить вас вашей религии!””»
Turkish
Yahya b. Ya'mer ile Humeyd b. Abdurrahman'dan, şöyle dedikleri rivayet edilmiştir: "Biz Abdullah b. Ömer'le karşılaş (mış) tık, kendisine kaderden söz açtı (ve kaderi inkar eden türedilerin) bu mevzuda söyledikleri sözleri anlattık..." (Bu hadisi Ya'mer ile Humeyd'den nakleden Abdullah b. Büreyde bu rivayetine devam ederek, hadisin bundan sonraki kısmında bir önceki 4695. hadisin) benzerini nakletti. (Hadisin ravilerinden Osman b. Gıyas ise bu rivayete bazı cümleler daha) ilave ederek (şöyle) dedi: Müzeyne yahut Cüheyne kabilesinden biri (Hz. Nebi'e): "Ey Allah'ın rasulü o halde ne diye amel ediyoruz? (Kendisini bir yazgı) geçmiş olan bir iş için mi yoksa (hakkında hiç bir yazgı bulunmayan ve) şimdi yeni başlayacak bir iş için mi?" diye sordu. (Hz. Nebi de: "Kendisini bir yazgı) geçen bir iş için (çalışacaksınız)" buyurdu. (Orada bulunan) bir adam yahut da bazı kimseler: "Öyleyse amel niçin?" diye sordu. (Hz. Nebi de): "Cennetlik olanlar (dünyada) Cennet halkının amelin (i işlemey)e, cehennemlikler de (dünyada) cehennem halkının amelin (i işlemey)e muvaffak edilecektir." buyurdu
Urdu
یحییٰ بن یعمر کہتے ہیں کہ بصرہ میں سب سے پہلے معبد جہنی نے تقدیر کا انکار کیا، ہم اور حمید بن عبدالرحمٰن حمیری حج یا عمرے کے لیے چلے، تو ہم نے دل میں کہا: اگر ہماری ملاقات رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے کسی صحابی سے ہوئی تو ہم ان سے تقدیر کے متعلق لوگ جو باتیں کہتے ہیں اس کے بارے میں دریافت کریں گے، تو اللہ نے ہماری ملاقات عبداللہ بن عمر رضی اللہ عنہما سے کرا دی، وہ ہمیں مسجد میں داخل ہوتے ہوئے مل گئے، چنانچہ میں نے اور میرے ساتھی نے انہیں گھیر لیا، میرا خیال تھا کہ میرے ساتھی گفتگو کا موقع مجھے ہی دیں گے اس لیے میں نے کہا: ابوعبدالرحمٰن! ہماری طرف کچھ ایسے لوگ ظاہر ہوئے ہیں جو قرآن پڑھتے اور اس میں علمی باریکیاں نکالتے ہیں، کہتے ہیں: تقدیر کوئی چیز نہیں ۱؎، سارے کام یوں ہی ہوتے ہیں، تو آپ نے عرض کیا: جب تم ان سے ملنا تو انہیں بتا دینا کہ میں ان سے بری ہوں، اور وہ مجھ سے بری ہیں ( میرا ان سے کوئی تعلق نہیں ) ، اس ہستی کی قسم، جس کی قسم عبداللہ بن عمر کھایا کرتا ہے، اگر ان میں ایک شخص کے پاس احد کے برابر سونا ہو اور وہ اسے اللہ کی راہ میں خرچ کر دے تو بھی اللہ اس کے کسی عمل کو قبول نہ فرمائے گا، جب تک کہ وہ تقدیر پر ایمان نہ لے آئے، پھر آپ نے کہا: مجھ سے عمر بن خطاب رضی اللہ عنہ نے بیان کیا کہ ایک بار ہم رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس تھے کہ اچانک ایک شخص ہمارے سامنے نمودار ہوا جس کا لباس نہایت سفید اور بال انتہائی کالے تھے، اس پر نہ تو سفر کے آثار دکھائی دے رہے تھے، اور نہ ہی ہم اسے پہچانتے تھے، یہاں تک کہ وہ نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس جا کر بیٹھ گیا، اس نے اپنے گھٹنے نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کے گھٹنوں سے ملا دئیے، اور اپنی ہتھیلیوں کو آپ کی رانوں پر رکھ لیا اور عرض کیا: محمد! مجھے اسلام کے بارے میں بتائیے، رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: اسلام یہ ہے کہ تم گواہی دو کہ اللہ کے سوا کوئی معبود برحق نہیں اور محمد اللہ کے رسول ہیں، نماز قائم کرو، زکاۃ دو، رمضان کے روز ے رکھو، اور اگر پہنچنے کی قدرت ہو تو بیت اللہ کا حج کرو وہ بولا: آپ نے سچ کہا، عمر بن خطاب کہتے ہیں: ہمیں اس پر تعجب ہوا کہ وہ آپ سے سوال بھی کرتا ہے اور تصدیق بھی کرتا ہے۔ اس نے کہا: مجھے ایمان کے بارے میں بتائیے، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: ایمان یہ ہے کہ تم اللہ پر، اس کے فرشتوں پر، اس کی کتابوں پر، اس کے رسولوں پر، آخرت کے دن پر اور تقدیر ۲؎ کے بھلے یا برے ہونے پر ایمان لاؤ اس نے کہا: آپ نے سچ کہا۔ پھر پوچھا: مجھے احسان کے بارے میں بتائیے، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: تم اللہ کی عبادت اس طرح کرو گویا تم اسے دیکھ رہے ہو، اور اگر یہ کیفیت پیدا نہ ہو سکے تو ( یہ تصور رکھو کہ ) وہ تو تمہیں ضرور دیکھ رہا ہے اس نے کہا: مجھے قیامت کے بارے میں بتائیے، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: جس سے پوچھا جا رہا ہے، وہ اس بارے میں پوچھنے والے سے زیادہ نہیں جانتا ۳؎۔ اس نے کہا: تو مجھے اس کی علامتیں ہی بتا دیجئیے، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: اس کی علامتوں میں سے یہ ہے کہ لونڈی اپنی مالکن کو جنے گی۴؎، اور یہ کہ تم ننگے پیر اور ننگے بدن، محتاج، بکریوں کے چرواہوں کو دیکھو گے کہ وہ اونچی اونچی عمارتیں بنانے میں فخر و مباہات کریں گے پھر وہ چلا گیا، پھر میں تین ۵؎ ( ساعت ) تک ٹھہرا رہا، پھر آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: اے عمر! کیا تم جانتے ہو کہ پوچھنے والا کون تھا؟ میں نے عرض کیا: اللہ اور اس کے رسول زیادہ جانتے ہیں، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: وہ جبرائیل تھے، تمہیں تمہارا دین سکھانے آئے تھے ۔