Arabic

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ الْهَوْزَنِيُّ، قَالَ لَقِيتُ بِلاَلاً مُؤَذِّنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَلَبَ فَقُلْتُ يَا بِلاَلُ حَدِّثْنِي كَيْفَ كَانَتْ نَفَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا كَانَ لَهُ شَىْءٌ كُنْتُ أَنَا الَّذِي أَلِي ذَلِكَ مِنْهُ مُنْذُ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ وَكَانَ إِذَا أَتَاهُ الإِنْسَانُ مُسْلِمًا فَرَآهُ عَارِيًا يَأْمُرُنِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَقْرِضُ فَأَشْتَرِي لَهُ الْبُرْدَةَ فَأَكْسُوهُ وَأُطْعِمُهُ حَتَّى اعْتَرَضَنِي رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ يَا بِلاَلُ إِنَّ عِنْدِي سَعَةً فَلاَ تَسْتَقْرِضْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ مِنِّي فَفَعَلْتُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ تَوَضَّأْتُ ثُمَّ قُمْتُ لأُؤَذِّنَ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا الْمُشْرِكُ قَدْ أَقْبَلَ فِي عِصَابَةٍ مِنَ التُّجَّارِ فَلَمَّا أَنْ رَآنِي قَالَ يَا حَبَشِيُّ ‏.‏ قُلْتُ يَا لَبَّاهُ ‏.‏ فَتَجَهَّمَنِي وَقَالَ لِي قَوْلاً غَلِيظًا وَقَالَ لِي أَتَدْرِي كَمْ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الشَّهْرِ قَالَ قُلْتُ قَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ إِنَّمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ أَرْبَعٌ فَآخُذُكَ بِالَّذِي عَلَيْكَ فَأَرُدُّكَ تَرْعَى الْغَنَمَ كَمَا كُنْتَ قَبْلَ ذَلِكَ فَأَخَذَ فِي نَفْسِي مَا يَأْخُذُ فِي أَنْفُسِ النَّاسِ حَتَّى إِذَا صَلَّيْتُ الْعَتَمَةَ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ الْمُشْرِكَ الَّذِي كُنْتُ أَتَدَيَّنُ مِنْهُ قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا وَلَيْسَ عِنْدَكَ مَا تَقْضِي عَنِّي وَلاَ عِنْدِي وَهُوَ فَاضِحِي فَأْذَنْ لِي أَنْ آبِقَ إِلَى بَعْضِ هَؤُلاَءِ الأَحْيَاءِ الَّذِينَ قَدْ أَسْلَمُوا حَتَّى يَرْزُقَ اللَّهُ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم مَا يَقْضِي عَنِّي فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا أَتَيْتُ مَنْزِلِي فَجَعَلْتُ سَيْفِي وَجِرَابِي وَنَعْلِي وَمِجَنِّي عِنْدَ رَأْسِي حَتَّى إِذَا انْشَقَّ عَمُودُ الصُّبْحِ الأَوَّلِ أَرَدْتُ أَنْ أَنْطَلِقَ فَإِذَا إِنْسَانٌ يَسْعَى يَدْعُو يَا بِلاَلُ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَتَيْتُهُ فَإِذَا أَرْبَعُ رَكَائِبَ مُنَاخَاتٍ عَلَيْهِنَّ أَحْمَالُهُنَّ فَاسْتَأْذَنْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبْشِرْ فَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِقَضَائِكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ تَرَ الرَّكَائِبَ الْمُنَاخَاتِ الأَرْبَعَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ لَكَ رِقَابَهُنَّ وَمَا عَلَيْهِنَّ فَإِنَّ عَلَيْهِنَّ كِسْوَةً وَطَعَامًا أَهْدَاهُنَّ إِلَىَّ عَظِيمُ فَدَكَ فَاقْبِضْهُنَّ وَاقْضِ دَيْنَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَفَعَلْتُ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ فِي الْمَسْجِدِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ مَا فَعَلَ مَا قِبَلَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ قَدْ قَضَى اللَّهُ كُلَّ شَىْءٍ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَبْقَ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَفَضَلَ شَىْءٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ ‏"‏ انْظُرْ أَنْ تُرِيحَنِي مِنْهُ فَإِنِّي لَسْتُ بِدَاخِلٍ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِي حَتَّى تُرِيحَنِي مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَتَمَةَ دَعَانِي فَقَالَ ‏"‏ مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ هُوَ مَعِي لَمْ يَأْتِنَا أَحَدٌ ‏.‏ فَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ وَقَصَّ الْحَدِيثَ حَتَّى إِذَا صَلَّى الْعَتَمَةَ - يَعْنِي مِنَ الْغَدِ - دَعَانِي قَالَ ‏"‏ مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ قَدْ أَرَاحَكَ اللَّهُ مِنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ شَفَقًا مِنْ أَنْ يُدْرِكَهُ الْمَوْتُ وَعِنْدَهُ ذَلِكَ ثُمَّ اتَّبَعْتُهُ حَتَّى إِذَا جَاءَ أَزْوَاجَهُ فَسَلَّمَ عَلَى امْرَأَةٍ امْرَأَةٍ حَتَّى أَتَى مَبِيتَهُ فَهَذَا الَّذِي سَأَلْتَنِي عَنْهُ ‏.‏
حدثنا ابو توبة الربيع بن نافع، حدثنا معاوية، - يعني ابن سلام - عن زيد، انه سمع ابا سلام، قال حدثني عبد الله الهوزني، قال لقيت بلالا موذن رسول الله صلى الله عليه وسلم بحلب فقلت يا بلال حدثني كيف كانت نفقة رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما كان له شىء كنت انا الذي الي ذلك منه منذ بعثه الله الى ان توفي وكان اذا اتاه الانسان مسلما فراه عاريا يامرني فانطلق فاستقرض فاشتري له البردة فاكسوه واطعمه حتى اعترضني رجل من المشركين فقال يا بلال ان عندي سعة فلا تستقرض من احد الا مني ففعلت فلما ان كان ذات يوم توضات ثم قمت لاوذن بالصلاة فاذا المشرك قد اقبل في عصابة من التجار فلما ان راني قال يا حبشي . قلت يا لباه . فتجهمني وقال لي قولا غليظا وقال لي اتدري كم بينك وبين الشهر قال قلت قريب . قال انما بينك وبينه اربع فاخذك بالذي عليك فاردك ترعى الغنم كما كنت قبل ذلك فاخذ في نفسي ما ياخذ في انفس الناس حتى اذا صليت العتمة رجع رسول الله صلى الله عليه وسلم الى اهله فاستاذنت عليه فاذن لي فقلت يا رسول الله بابي انت وامي ان المشرك الذي كنت اتدين منه قال لي كذا وكذا وليس عندك ما تقضي عني ولا عندي وهو فاضحي فاذن لي ان ابق الى بعض هولاء الاحياء الذين قد اسلموا حتى يرزق الله رسوله صلى الله عليه وسلم ما يقضي عني فخرجت حتى اذا اتيت منزلي فجعلت سيفي وجرابي ونعلي ومجني عند راسي حتى اذا انشق عمود الصبح الاول اردت ان انطلق فاذا انسان يسعى يدعو يا بلال اجب رسول الله صلى الله عليه وسلم فانطلقت حتى اتيته فاذا اربع ركايب مناخات عليهن احمالهن فاستاذنت فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم " ابشر فقد جاءك الله بقضايك " . ثم قال " الم تر الركايب المناخات الاربع " . فقلت بلى . فقال " ان لك رقابهن وما عليهن فان عليهن كسوة وطعاما اهداهن الى عظيم فدك فاقبضهن واقض دينك " . ففعلت فذكر الحديث ثم انطلقت الى المسجد فاذا رسول الله صلى الله عليه وسلم قاعد في المسجد فسلمت عليه فقال " ما فعل ما قبلك " . قلت قد قضى الله كل شىء كان على رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم يبق شىء . قال " افضل شىء " . قلت نعم قال " انظر ان تريحني منه فاني لست بداخل على احد من اهلي حتى تريحني منه " . فلما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم العتمة دعاني فقال " ما فعل الذي قبلك " . قال قلت هو معي لم ياتنا احد . فبات رسول الله صلى الله عليه وسلم في المسجد وقص الحديث حتى اذا صلى العتمة - يعني من الغد - دعاني قال " ما فعل الذي قبلك " . قال قلت قد اراحك الله منه يا رسول الله . فكبر وحمد الله شفقا من ان يدركه الموت وعنده ذلك ثم اتبعته حتى اذا جاء ازواجه فسلم على امراة امراة حتى اتى مبيته فهذا الذي سالتني عنه

Bengali

। ‘আব্দুল্লাহ আল-হাওযানী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হালব শহরে আমার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুয়াযযিন বিলাল (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। আমি বললাম, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারে ভরণ-পোষণের খরব কিভাবে ব্যবস্থা হতো তা আমাকে বলুন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (রাসূল করে) পাঠানোর পর থেকে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত আমি তাঁর পরিবারের যাবতীয় বিষয়ের দায়িত্বে ছিলাম। তাঁর কাছে কোনো বস্ত্রহীন মুসলিম এলে তিনি আমাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণের নির্দেশ দিতেন এবং আমি ধার করতে বের হতাম। আমি তার জন্য কাপড় কিনে এনে তাকে পরিয়ে দিতাম এবং আহার করাতাম। এমতাবস্থায় মুশরিক সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি এসে আমাকে বললো, হে বিলাল! আমার অনেক সম্পদ রয়েছে। তুমি অন্য কারো কাছ থেকে ধার না করে আমার কাছ থেকে ধার নাও। সুতরাং আমি তাই করলাম। এ অবস্থায় আমি একদিন উযূ করে সালাতের আযান দিতে উঠি। এ সময় মুশরিক লোকটি একদল ব্যবসায়ীর সাথে এসে উপস্থিত হলো। সে আমাকে দেখামাত্র বললো, হে হাবশী! আমি বললাম, উপস্থিত আছি। সে আমাকে কটূক্তি করাতে আমার মনে খুব বাঁধলো। সে আমাকে আরো বললো, তুমি কি জানো, মাসের কতদিন বাকী আছে? আমি বললাম, প্রায় শেষ। সে বললো, তোমার ও তার (ঋন পরিশোধের সময়ের) মধ্যে চার দিন ব্যবধান। কাজেই আমি তোমাকে ঋণের পরিবর্তে ধরে নিয়ে যাবো এবং মেষপালের রাখাল বানিয়ে তোমাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবো। তার এরূপ কথা শুনে আমি মর্মাহত হলাম যেমন অন্যান্য লোকদের হয়ে থাকে। আমি যখন ইশার সালাত আদায় করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিজনের কাছে ফিরে আসলেন। আমি তাঁর সাথে দেখা করার অনুমতি চাইলে তিনি তা অনুমতি দিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আমি যে মুশরিক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নিয়েছিলাম, সে আমাকে এ কথা বলেছে। আমার এ ঋণ পরিশোধের সামর্থ আপনারও নেই, আমারও নেই। সে আমাকে অপদস্থ করবে। কাজেই ইতোপূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছে এরূপ কোনো মুসলিম জনপদে পলায়ণ করার অনুমতি আমাকে দিন। আমি ততদিন আত্মগোপন থাকার অনুমতি চাই যতদিন না মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ সম্পদের ব্যবস্থা করে দেন যা দিয়ে আমার ঋণ পরিশোধ হবে। এ কথা বলে আমি আমার ঘরে চলে এসে আমার তরবারি, মোজা, জুতা ও ঢাল গুছিয়ে আমার মাথার কাছে রাখি। ইচ্ছা ছিলো, ভোরের আভা ফোঁটা মাত্রই বেরিয়ে পড়বো। হঠাৎ এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে আমাকে বললো, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে স্মরণ করেছেন। আমি রওয়ানা হয়ে তাঁর কাছে এসে উপস্থিত হয়ে দেখি, চারটি উট পিঠে বোঝাই সম্পদ নিয়ে বসে আছে। আমি অনুমতি চাইলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ সুসংবাদ গ্রহণ করো! মহান আল্লাহ তোমার ঋণ পরিশোধের জন্য এগুলো পাঠিয়েছেন। পুনরায় তিনি বললেন, তুমি কি দেখছো না চারটি মাল বোঝাই উট বসে আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এই উট এবং এদের পিঠে বোঝাই সম্পদ তোমার জন্য। এগুলো পিঠ বোঝাই বস্ত্র ও খাদ্য দ্রব্য ফাদাকের শাসক আমার জন্য পাঠিয়েছে। এগুলো নিয়ে তোমার ঋণ পরিশোধ করো। আমি তাই করলাম। অতঃপর বিলাল বললেন, আমি মসজিদে গিয়ে দেখি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে আছেন। আমি তাঁকে সালাম দিলে তিনি বললেনঃ তুমি যে সম্পদ পেয়েছো তা কি করেছো, ঋণ পরিশোধ হয়েছে কি? আমি বললাম, মহান আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমস্ত ঋণ পরিশোধের তাওফিক দিয়েছেন। এখন আর অবশিষ্ট নেই। তিনি বললেনঃ কিছু সম্পদ অবশিষ্ট আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ অবশিষ্ট সম্পদ তাড়াতাড়ি খরচ করো। তুমি আমাকে এ অবশিষ্ট সম্পদ থেকে রেহাই না দেয়া পর্যন্ত আমি আমার পরিবারের কারো নিকট যাবো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার সালাত আদায়ের পর আমাকে ডেকে বললেনঃ তোমাকে দেয়া মালের অবস্থা কি? আমি বললাম, সেগুলো আমার কাছেই আছে। আমার কাছে কেউ আসেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে রাত কাটালেন। বর্ণনাকারী হাদীসের বাকী অংশ বর্ণনা করলেন। এমন কি পরবর্তী দিনের ইশার সালাত আদায় করে তিনি আমাকে ডাকলেন। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে অবশিষ্ট মালের অবস্থা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ আপনাকে তা থেকে চিন্তামুক্ত করেছেন। তিনি তাকবীর দিলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করলেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, ঐ সম্পদ তার কাছ থেকে যাওয়া অবস্থায় হয়তো তাঁর মৃত্যু হবে। অতঃপর আমি তাঁকে অনুসরণ করি, তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে এসে এক এক করে তাদের প্রত্যেককে সালাম দিলেন, এভাবে তিনি তাঁর শয়ন কক্ষে ঢুকলেন। এ সেই ঘটনা যা তুমি (‘আব্দুল্লাহ আল-হাওযানী) আমাকে জিজ্ঞেস করেছো।

English

Narrated Abdullah al-Hawzani: I met Bilal, the Mu'adhdhin of the Messenger of Allah (ﷺ) at Aleppo, and said: Bilal, tell me, what was the financial position of the Messenger of Allah (ﷺ)? He said: He had nothing. It was I who managed it on his behalf since the day Allah made him Prophet of Allah (ﷺ) until he died. When a Muslim man came to him and he found him naked, he ordered me (to clothe him). I would go, borrow (some money), and purchase a cloak for him. I would then clothe him and feed him. A man from the polytheists met me and said: I am well off, Bilal. Do not borrow money from anyone except me. So I did accordingly. One day when I performed ablution and stood up to make call to prayer, the same polytheist came along with a body of merchants. When he saw me, he said: O Abyssinian. I said: I am at your service. He met me with unpleasant looks and said harsh words to me. He asked me: Do you know how many days remain in the completion of this month? I replied: The time is near. He said: Only four days remain in the completion of this month. I shall then take that which is due from you (i.e. loan), and then shall return you to tend the sheep as you did before. I began to think in my mind what people think in their minds (on such occasions). When I offered the night prayer, the Messenger of Allah (ﷺ) returned to his family. I sought permission from him and he gave me permission. I said: Messenger of Allah, may my parents be sacrificed for you, the polytheist from whom I used to borrow money said to me such-and-such. Neither you nor I have anything to pay him for me, and he will disgrace me. So give me permission to run away to some of those tribes who have recently embraced Islam until Allah gives His Apostle (ﷺ) something with which he can pay (the debt) for me. So I came out and reached my house. I placed my sword, waterskin (or sheath), shoes and shield near my head. When dawn broke, I intended to be on my way. All of a sudden I saw a man running towards me and calling: Bilal, return to the Messenger of Allah (ﷺ). So I went till I reached him. I found four mounts kneeling on the ground with loads on them. I sought permission. The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: Be glad, Allah has made arrangements for the payment (of your debt). He then asked: Have you not seen the four mounts kneeling on the ground? I replied: Yes. He said: You may have these mounts and what they have on them. There are clothes and food on them, presented to me by the ruler of Fadak. Take them away and pay off your debt. I did so. He then mentioned the rest of the tradition. I then went to the mosque and found that the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting there. I greeted him. He asked: What benefit did you have from your property? I replied: Allah Most High paid everything which was due from the Messenger of Allah (ﷺ). Nothing remains now. He asked: Did anything remain (from that property)? I said: Yes. He said: Look, if you can give me some comfort from it, for I shall not visit any member of my family until you give me some comfort from it. When the Messenger of Allah (ﷺ) offered the night prayer, he called me and said: What is the position of that which you had with you (i.e. property)? I said: I still have it, no one came to me. The Messenger of Allah (ﷺ) passed the night in the mosque. He then narrated the rest of the tradition. Next day when he offered the night prayer, he called me and asked: What is the position of that which you had (i.e. the rest of the property)? I replied: Allah has given you comfort from it, Messenger of Allah. He said: Allah is Most Great, and praised Allah, fearing lest he should die while it was with him. I then followed him until he came to his wives and greeted each one of them and finally he came to his place where he had to pass the night. This is all for which you asked me

Indonesian

Telah menceritakan kepada kami [Abu Taubah Ar Rabi' bin Nafi'], telah menceritakan kepada kami [Mu'awiyah bin Sallam], dari [Zaid] bahwa ia mendengar [Abu Sallam] berkata; telah menceritakan kepadaku [Abdullah Al Hauzani] ia berkata; aku bertemu [Bilal] tukang adzan Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam di Jalab, kemudian aku katakan; wahai Bilal, ceritakan kepadaku bagaimana nafkah Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam! Ia berkata; beliau tidak memiliki sesuatu maka aku yang mengurusi hal tersebut sejak Allah mengutusnya hingga beliau meninggal, apabila ada seorang muslim yang datang kepadanya dan beliau melihatnya dalam keadaan telanjang maka beliau memberiku perintah, maka aku pergi dan mencari hutangan, dan membelikan baju untuknya dan memberinya pakaian serta memberinya makan hingga seorang musyrik menemuiku dan berkata; wahai Bilal, sesungguhnya aku memiliki kelapangan, maka janganlah engkau berhutang kecuali kepadaku. Kemudian aku melakukannya, tatkala pada suatu hari aku berwudhu kemudian aku pergi untuk melakukan adzan shalat. Ternyata terdapat seorang musyrik datang diantara sekelompok pedagang. Kemudian tatkala ia melihatku, ia berkata; wahai orang habasyah! Aku katakan; ya, ada apa? Kemudian orang musyrik bermuka masam kepadaku, dan berkata kepadaku dengan perkataan yang kasar. Ia berkata; tahukah engkau berapa jarak antara dirimu dan antara bulan ini? Aku katakan; dekat. Ia berkata; sesungguhnya antaramu dan antara bulan ini ada empat malam. Aku akan menuntutmu dengan sesuatu yang menjadi tanggunganmu. Aku akan mengembalikanmu menggembala kambing sebagaimana engkau sebelum itu. Maka aku tidak menyukai sebagaima orang-orang tidak menyukai hingga tatkala aku melakukan shalat Isya`, Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam kembali kepada keluarganya. Lalu aku meminta izin kepada untuk menemui beliau. Kemudian beliau memberiku izin, lalu aku katakan; wahai Rasulullah, sesungguhnya orang musyrik yang aku hutangi berkata kepadaku demikian dan demikian. Sementara anda tidak memiliki sesuatu yang dapat menunaikan untukku, dan akupun tidak memiliki sesuatu. Hal tersebut mencemarkan diriku, maka izinkan saya untuk melarikan diri kepada beberapa kampung yang telah masuk Islam hingga Allah memberikan rizqi yang dapat membayar hutangku. Kemudian aku keluar hingga aku datang ke tempat tinggalku, dan aku letakkan pedang, geriba, sandal dan baju tamengku di atas kepala hingga fajar pertama menyingsing aku hendak pergi. Tiba-tiba terdapat seseorang yang berlari-lari kecil dan memanggil; wahai Bilal, sambutlah seruan Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam! Kemudian aku pergi hingga setelah aku datang kepadanya ternyata terdapat empat unta yang diderumkan, di atasnya terdapat barang bawaannya. Kemudian aku meminta izin. Lalu Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam berkata kepadaku: "Bergembiralah, Allah telah datang kepadamu dengan membawa pembayaran hutangmu." Kemudian beliau berkata: "Bukankah engkau melihat empat unta yang diderumkan?" aku katakan; benar. Beliau berkata; "Sesungguhnya untukmu unta-unta tersebut dan apa yang ada di atasnya, sesungguhnya di atasnya terdapat pakaian, dan makanan yang telah dihadiahkan kepadaku oleh pemimpin Fadak. Ambillah dan bayarlah hutangmu!" kemudian aku melakukannya. Lalu ia menyebutkan hadits tersebut kemudian aku pergi ke masjid, ternyata Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam sedang duduk di masjid. Lalu aku mengucapkan salam kepada beliau. Lalu beliau berkata: "Bagaiamana keadaan yang ada padamu?" Aku katakan; Allah telah membayarkan segala sesuatu yang menjadi tanggungan Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam, tidak ada sesuatupun yang tersisa. Beliau berkata: "Apakah ada yang sebagian yang tersisa?" aku katakan; ya. beliau berkata: "Berusahalah untuk membuatku tenang dan lihatlah sebab-sebab untuk membuatku tenang! Sesungguhnya aku tidak akan menemui seorangpun dari keluargaku hingga engkau menenangkan diriku darinya." Kemudian tatkala Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam telah melakukan Shalat 'Isya`, beliau memanggilku dan berkata: "Bagaimana keadaan yang ada padamu?" Aku katakan; masih ada padaku, belum ada seorangpun yang datang kepada saya. kemudian Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam bermalam di masjid. -Dan ia menceritakan hadits tersebut- hingga ketika beliau telah melakukan Shalat 'Isya` keesokan harinya, beliau memanggilku dan berkata: ""Bagaimana keadaan yang ada padamu?" Bilal berkata; sungguh Allah telah menenangkan anda darinya wahai Rasulullah! Beliau bertakbir dan memuji Allah, karena khawatir kematian menjemputnya sementara hal tersebut masih ada pada beliau. Kemudian aku mengikuti beliau hingga beliau datang kepada para isterinya, lalu beliau mengucapkan salam kepada isterinya satu persatu hingga beliau sampai di tempat beliau bermalam. Inilah yang engkau tanyakan kepadaku. Telah menceritakan kepada kami [Mahmud bin Khalid], telah menceritakan kepada kami [Marwan bin Muhammad], telah menceritakan kepada kami [Mu'awiyah] dengan makna sanad Abu Taubah serta haditsnya. Setelah perkataan; (yang dapat membayar hutangku) ia berkata; kemudian Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam diam lalu aku. Maka aku tidak menyukai keadaan demikian itu

Russian

‘Абдуллах аль-Хаузани рассказывает: «Я встретил Биляля, муаззина Посланника Аллаха ﷺ в Халебе, и сказал: “О Биляль! Расскажи мне о средствах, которые расходовал Посланник Аллаха ﷺ”. Он ответил: “У него ничего не было, и я отвечал за его расходы с тех пор, как Аллах послал его к людям, и до самой его кончины. Если к нему приходил мусульманин, у которого не было одежды, Посланник Аллаха ﷺ посылал меня и я брал у кого-то в долг, а потом шёл, покупал этому человеку одежду и еду. Однажды мне повстречался один многобожник, который сказал мне: “О Биляль! Я состоятелен, а потому не бери в долг ни у кого, кроме меня”. И я стал брать только у него. И вот однажды, когда я совершил малое омовение и приготовился произносить азан, этот многобожник подошёл ко мне в сопровождении группы торговцев и сказал: “О эфиоп!” Я ответил: “Да?” И он стал разговаривать со мной грубо и сказал: “Знаешь ли ты, сколько осталось до наступления следующего месяца?” Я ответил: “Недолго”. Он сказал: “Четыре дня. А потом я взыщу с тебя то, что мне причитается, и верну тебя пасти овец, чем ты и занимался раньше!” И слова его оставили неприятный осадок в моей душе, как это бывает со всеми людьми. Когда Посланник Аллаха ﷺ совершил вечернюю молитву и отправился к своим домочадцам, я попросил у него разрешения войти и он разрешил мне. Я сказал: “О Посланник Аллаха, да станут мои отец и мать выкупом за тебя! Поистине, многобожник, у которого я брал деньги в долг, сказал мне то-то и то-то, а у тебя нечем погасить мой долг, как и у меня, а он позорит меня. Разреши же мне уйти в другую область к тем, кто уверовал, и оставаться там до тех пор, пока Аллах не дарует Своему посланнику средства, чтобы уплатить мой долг!” После этого я отправился домой, взял свой меч, копьё, сандалии и щит и положил возле своей головы. Едва забрезжил первый рассвет, я вышел из дома и хотел уже отправиться в путь, как вдруг увидел человека, который бежал ко мне, крича: “О Биляль! Посланник Аллаха ﷺ зовёт тебя, иди же к нему!” И я пошёл к Посланнику Аллаха ﷺ и увидел четырёх верблюдиц, нагруженных всяким добром. Я попросил разрешения войти, и Посланник Аллаха ﷺ сказал мне: “Радуйся, Аллах даровал нам средства, чтобы покрыть твой долг!” Затем он сказал: “Видел ли ты четырёх нагруженных верблюдиц?” Я ответил: “Да”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Отныне они принадлежат тебе вместе со всем, что на их спинах. Там одежда и съестное. Всё это подарил мне предводитель жителей Фадака. Возьми же всё это и погаси свой долг”. Я так и сделал. Затем я пришёл в мечеть, а Посланник Аллаха ﷺ как раз сидел там. Я поприветствовал его, а он спросил: “Что ты сделал с этим имуществом?” Я ответил: “Аллах погасил все долги Посланника Аллаха ﷺ”. Он спросил: “Осталось ли что-нибудь от этого имущества?” Я ответил: “Да”. Посланник Аллаха ﷺ сказал: “Избавь меня от остатков этого имущества. Я не пойду ни к одной из своих жён, пока ты не сделаешь это”. После вечерней молитвы Посланник Аллаха ﷺ позвал меня и спросил: “Что ты сделал с имуществом?” Я ответил: “Оно до сих пор у меня, за ним всё ещё никто не пришёл”. И Посланник Аллаха ﷺ остался ночевать в мечети. На следующий день, совершив вечернюю молитву, Посланник Аллаха ﷺ позвал меня и спросил: “Ты что-нибудь сделал с этим имуществом?” Я ответил: “Аллах избавил тебя от него, о Посланник Аллаха”. И он воскликнул: “Аллах велик!” и воздал хвалу Аллаху, поскольку боялся, что смерть придёт к нему, а это имущество всё ещё будет у него. И я пошёл за ним, а он зашёл к своим жёнам и поздоровался с каждой из них, а потом остался у той, у которой он должен был провести предстоящую ночь. Это и есть то, о чём ты спросил меня”»

Turkish

Abdullah el-Hevzenî dedi ki: Rasûlüllah (s.a.v.)'in müezzini Bilal'Ie Haleb'de karşılaştım da "Ey Bilal! Rasûlullah (s.a.v.)'in geçimi nasıldı bana anlat" dedim. (Şöyle) cevab verdi: "Yüce Allah'ın onu (Nebi olarak) gönderdiği günden beri nesi varsa, onları kendisi hesabına harcama yetkisi bana aitti. (Bu yetki bende) Rasûlullah (s.a.v.)'in vefatına kadar (devam etti) Kendisine bir müslüman gelirde o'nu(n) çıplak (olduğunu) görürse -git borç para bulda (onunla) şu adam'a bir elbise alıp giydir ve kendisini doyur- diye bana emir verirdi. Hatta (bir defasında) müşriklerden biri karşıma gelip "Ey Bilal benim imkanım vardır. Benden başka kimse'den borç isteme" dedi. Bende (öyle) yaptım (yine) bir gün abdest almış namaz için ezan okumak üzere kalkmıştım. Bir de baktım ki, o müşrik tacirlerden oluşan bir cemaat içersinde (bana doğru) yönelmiş (geliyor) Beni görünce: "Ey Habeş'li" diye seslendi. Ben de "Buyurun!" diye cevap verdim. Beni asık bir suratla karşıladı ve bana ağır bir söz sarfedip "Seninle ay(ın sonu) arasında kaç (gün) kaldı biliyor musun?" dedi Bende: (Ayın sonu): "Yakındır" dedim. "Seninle onun arasında dört (gün) var. (Ayın sonu gelince seni) üzerindeki borca karşılık yakalayıp (köle olarak) göndereceğim. Daha önceki gibi yine davar güdeceksin insanların içini kaplayan (üzüntü o anda benim de) içimi kapladı. Nihayet yatsı namazını kıldım, Rasûlullah (s.a.v.) ailesinin yanına döndü. Yanına (girmek için) izin istedim, izin verdi. (Yanına girince): "Ey Allah'ın Rasûlü anam ve babam sana feda olsun, kendisinden borç almış olduğum bir müşrik bana şöyle şöyle söyledi. Bunu benim hesabıma ödeyecek senin yanında da benim yanımda da bir mal yok. bu işse benim kepaze bir duruma düşmem demektir. Binaenaleyh Allah'ın, Rasûlüne (s.a.v.) benim borcumu ödeyecek (kadar) bir mal ihsan etmesine kadar şu müslüman olmuş kabilelerden birine kaçmama izin ver!" dedim. Ve (yanından) çıktım. Nihayet evime geldim. Kılıcımı, (kılıcımla kınını içerisine koyduğum) torbamı, ayakkabılarımı ve kalkan»mi (alıp ertesi gün çıkacağım yolculukta yanımda götürmek üzere) yanıbaşıma koydum. Nihayet (fecr-i sadık denilen) ilk sabah'ın dikey (aydınlığı) doğunca artık yola çıkmaya karar vermiştim. Bir de baktım ki: Bir adam “Ey Bilal! Rasûlullah (s.a.v.) seni çağırıyor" diye (bana doğru) koşuor. Bunun üzerine yola düşüp Rasûlullah (s.a.v.)'e vardım ve (orada) yükleri üzerinde çöktürülmüş, dört deve gördüm. (Konuşmak için) izin istedim, Rasûlullah (s.a.v.): "Müjde yüce Allah sana borcunu ödeyecek imkânı gönderdi" dedi. sonra "çöktürülmüş dört deveyi görmedin mi?" dedi. Bende: "Evet" cevabını verdim. Bunun üzerine "Onların da, üzerlerindekilerde senindir. Üzerlerinde giyecek ve yiyecek var. Onları bana Fedek başkanı hediye etti. (Şimdi) onları al ve borcunu öde!" buyurdu. Bende öyle yaptım. (Hz. Bilal sözlerine devam ederek) hadisi(n geri kalan kısmını şöyle) anlattı. (Bir süre) "sonra mescid'e gittim. Birde baktım Rasûlullah (s.a.v.) mescidde oturuyor. Kendisine selam verdim: "Üzerindeki (borç) ne oldu?" dedi "Yüce Allah, Rasûlullah (s.a.v.)'in üzerinde bulunan herşeyi ödedi, (ödenmedik) bir şey kalmadı" cevabını verdim. (Gelen mallardan borç ödendikten sonra) "Bir şey arttı mı?" diye sordu. "Evet" dedim. "Beni on(u elimizde tutmanın sıkıntısın)dan kurtarmaya bak. Çünkü sen beni bundan kurtarıncaya kadar aile halkımdan hiçbirinin yanına giremem" buyurdu. Rasûlullah (s.a.v.) yatsı namazını kılınca beni çağırdı ve: "Yanındaki mal ne oldu?" diye sordu. Ben de "O, (hala) yanımdadır. Çünkü yanıma o'nu kendisine verebileceğim ihtiyaç sahibi) bir kimse gelmedi" dedim. Rasûlullah (s.a.v.)de geceyi mescidde geçirdi. "Evine gitmedi" Hz. Bilal sözlerine devam ederek) hadisi(n kalan kısmını şöyle) anlattı. Ertesi gün yatsı namazını kılınca beni (yine) çağırdı "Yanındaki mal ne oldu?" diye sordu. Ben de: “Ey Allah'ın Rasûlü Allah seni on(un sıkıntısın)dan kurtardı.' dedini. Bunun üzerine bu mal yanında iken kendisine ölümün yetişmesi korkusundan (kurtulmasından) dolayı "Allahu ekber Elhamdu­lillah!" dedi. Sonra (oradan uzaklaştı) Bende kendisini takibe koyuldum. Nihayet hanımlarının yanına varıp her birine ayrı ayrı selam verdi ve yatağına vardı. İşte senin (benden) sorduğun (Rasûl-i Ekrem'in nafakası) bundan ibarettir

Urdu

عبداللہ ہوزنی کہتے ہیں کہ میں نے مؤذن رسول بلال رضی اللہ عنہ سے حلب ۱؎ میں ملاقات کی، اور کہا: بلال! مجھے بتائیے کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کا خرچ کیسے چلتا تھا؟ تو انہوں نے بتایا کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس کچھ نہ ہوتا، بعثت سے لے کر موت تک جب بھی آپ کو کوئی ضرورت پیش آتی میں ہی اس کا انتظام کرتا تھا جب رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس کوئی مسلمان آتا اور آپ اس کو ننگا دیکھتے تو مجھے حکم کرتے، میں جاتا اور قرض لے کر اس کے لیے چادر خریدتا، اسے پہننے کے لیے دے دیتا اور اسے کھانا کھلاتا، یہاں تک کہ مشرکین میں سے ایک شخص مجھے ملا اور کہنے لگا: بلال! میرے پاس وسعت ہے ( تنگی نہیں ہے ) آپ کسی اور سے قرض نہ لیں، مجھ سے لے لیا کریں، میں ایسا ہی کرنے لگا یعنی ( اس سے لینے لگا ) پھر ایک دن ایسا ہوا کہ میں نے وضو کیا اور اذان دینے کے لیے کھڑا ہوا کہ اچانک وہی مشرک سوداگروں کی ایک جماعت لیے ہوئے آ پہنچا جب اس نے مجھے دیکھا تو بولا: اے حبشی! میں نے کہا: «يا لباه» ۲؎ حاضر ہوں، تو وہ ترش روئی سے پیش آیا اور سخت سست کہنے لگا اور بولا: تو جانتا ہے مہینہ پورا ہونے میں کتنے دن باقی رہ گئے ہیں؟ میں نے کہا: قریب ہے، اس نے کہا: مہینہ پورا ہونے میں صرف چار دن باقی ہیں ۳؎ میں اپنا قرض تجھ سے لے کر چھوڑوں گا اور تجھے ایسا ہی کر دوں گا جیسے تو پہلے بکریاں چرایا کرتا تھا، مجھے اس کی باتوں کا ایسے ہی سخت رنج و ملال ہوا جیسے ایسے موقع پر لوگوں کو ہوا کرتا ہے، جب میں عشاء پڑھ چکا تو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم اپنے گھر والوں کے پاس تشریف لے جا چکے تھے ( میں بھی وہاں گیا ) اور شرف یابی کی اجازت چاہی تو آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے مجھے اجازت دے دی، میں نے ( حاضر ہو کر ) عرض کیا: اللہ کے رسول! آپ پر میرے ماں باپ فدا ہوں، وہ مشرک جس سے میں قرض لیا کرتا تھا اس نے مجھے ایسا ایسا کہا ہے اور نہ آپ کے پاس مال ہے جس سے میرے قرض کی ادائیگی ہو جائے اور نہ ہی میرے پاس ہے ( اگر ادا نہ کیا ) تو وہ مجھے اور بھی ذلیل و رسوا کرے گا، تو آپ مجھے اجازت دے دیجئیے کہ میں بھاگ کر ان قوموں میں سے کسی قوم کے پاس جو مسلمان ہو چکے ہیں اس وقت تک کے لیے چلا جاؤں جب تک کہ اللہ اپنے رسول کو اتنا مال عطا نہ کر دے جس سے میرا قرض ادا ہو جائے، یہ کہہ کر میں نکل آیا اور اپنے گھر چلا آیا، اور اپنی تلوار، موزہ جوتا اور ڈھال سرہانے رکھ کر سو گیا، صبح ہی صبح پو پھٹتے ہی یہاں سے چلے جانے کا ارادہ کیا ہی تھا کہ ایک شخص بھاگا بھاگا پکارتا ہوا آیا کہ اے بلال ( تمہیں رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم یاد کر رہے ہیں ) چل کر آپ کی بات سن لو، تو میں چل پڑا، آپ صلی اللہ علیہ وسلم کے پاس پہنچا تو کیا دیکھتا ہوں کہ چار لدے ہوئے جانور بیٹھے ہیں، آپ سے اجازت طلب کی تو رسول صلی اللہ علیہ وسلم نے مجھ سے فرمایا: بلال! خوش ہو جاؤ، اللہ تعالیٰ نے تمہاری ضرورت پوری کر دی، کیا تم نے چاروں بیٹھی ہوئی سواریاں نہیں دیکھیں؟ ، میں نے کہا: ہاں دیکھ لی ہیں، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: جاؤ وہ جانور بھی لے لو اور جو ان پر لدا ہوا ہے وہ بھی ان پر کپڑا اور کھانے کا سامان ہے، فدک کے رئیس نے مجھے ہدیہ میں بھیجا ہے، ان سب کو اپنی تحویل میں لے لو، اور ان سے اپنا قرض ادا کر دو ، تو میں نے ایسا ہی کیا۔ پھر راوی نے پوری حدیث ذکر کی۔ بلال رضی اللہ عنہ کہتے ہیں: پھر میں مسجد میں آیا تو دیکھا کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم مسجد میں تشریف فرما ہیں، میں نے آپ کو سلام کیا، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے پوچھا: جو مال تمہیں ملا اس کا کیا ہوا؟ ، میں نے عرض کیا: اللہ تعالیٰ نے اپنے رسول کے سارے قرضے ادا کر دیئے اب کوئی قرضہ باقی نہ رہا، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: کچھ مال بچا بھی ہے؟ ، میں نے کہا: ہاں، آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا: جاؤ جو بچا ہے اسے اللہ کی راہ میں صرف کر کے مجھے آرام دو کیونکہ جب تک یہ مال صرف نہ ہو جائے گا میں اپنی ازواج ( مطہرات ) میں سے کسی کے پاس نہ جاؤں گا ، پھر جب رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم عشاء سے فارغ ہوئے تو مجھے بلایا اور فرمایا: کیا ہوا وہ مال جو تمہارے پاس بچ رہا تھا؟ میں نے کہا: وہ میرے پاس موجود ہے، کوئی ہمارے پاس آیا ہی نہیں کہ میں اسے دے دوں تو رسول صلی اللہ علیہ وسلم نے رات مسجد ہی میں گزاری۔ راوی نے پوری حدیث بیان کی ( اس میں ہے ) یہاں تک کہ جب آپ صلی اللہ علیہ وسلم عشاء کی نماز پڑھ چکے یعنی دوسرے دن تو آپ نے مجھے بلایا اور پوچھا: وہ مال کیا ہوا جو تمہارے پاس بچ رہا تھا؟ ، میں نے کہا: اللہ کے رسول! اللہ نے آپ کو اس سے بے نیاز و بےفکر کر دیا ( یعنی وہ میں نے ایک ضرورت مند کو دے دیا ) یہ سن کر آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے اللہ اکبر کہا، اللہ تعالیٰ کا شکر ادا کیا اور اس کی حمد و ثنا بیان کی اس ڈر سے کہ کہیں آپ کو موت نہ آ جاتی اور یہ مال آپ کے پاس باقی رہتا، پھر میں آپ صلی اللہ علیہ وسلم کے پیچھے پیچھے چلا، آپ اپنی بیویوں کے پاس آئے اور ایک ایک کو سلام کیا، پھر آپ صلی اللہ علیہ وسلم وہاں تشریف لے گئے جہاں رات گزارنی تھی، ( اے عبداللہ ہوزنی! ) یہ ہے تمہارے سوال کا جواب۔