Arabic

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ ‏:‏ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ لأَبِيعَ عَقَارًا كَانَ لِي بِهَا، فَأَشْتَرِيَ بِهِ السِّلاَحَ وَأَغْزُوَ، فَلَقِيتُ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا ‏:‏ قَدْ أَرَادَ نَفَرٌ مِنَّا سِتَّةٌ أَنْ يَفْعَلُوا ذَلِكَ فَنَهَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏:‏ ‏"‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ وِتْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏:‏ أَدُلُّكَ عَلَى أَعْلَمِ النَّاسِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأْتِ عَائِشَةَ رضى الله عنها ‏.‏ فَأَتَيْتُهَا فَاسْتَتْبَعْتُ حَكِيمَ بْنَ أَفْلَحَ فَأَبَى فَنَاشَدْتُهُ فَانْطَلَقَ مَعِي، فَاسْتَأْذَنَّا عَلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ ‏:‏ مَنْ هَذَا قَالَ ‏:‏ حَكِيمُ بْنُ أَفْلَحَ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ وَمَنْ مَعَكَ قَالَ ‏:‏ سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ هِشَامُ بْنُ عَامِرٍ الَّذِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ نَعَمْ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرًا ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ حَدِّثِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَإِنَّ خُلُقَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ الْقُرْآنَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ حَدِّثِينِي عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ قَالَتْ ‏:‏ أَلَسْتَ تَقْرَأُ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ‏}‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ بَلَى ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ فَإِنَّ أَوَّلَ هَذِهِ السُّورَةِ نَزَلَتْ، فَقَامَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ، وَحُبِسَ خَاتِمَتُهَا فِي السَّمَاءِ اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا، ثُمَّ نَزَلَ آخِرُهَا فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ فَرِيضَةٍ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ حَدِّثِينِي عَنْ وِتْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ كَانَ يُوتِرُ بِثَمَانِ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ، ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَةً أُخْرَى، لاَ يَجْلِسُ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ وَالتَّاسِعَةِ، وَلاَ يُسَلِّمُ إِلاَّ فِي التَّاسِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ، فَلَمَّا أَسَنَّ وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ لَمْ يَجْلِسْ إِلاَّ فِي السَّادِسَةِ وَالسَّابِعَةِ، وَلَمْ يُسَلِّمْ إِلاَّ فِي السَّابِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، فَتِلْكَ هِيَ تِسْعُ رَكَعَاتٍ يَا بُنَىَّ، وَلَمْ يَقُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً يُتِمُّهَا إِلَى الصَّبَاحِ، وَلَمْ يَقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي لَيْلَةٍ قَطُّ، وَلَمْ يَصُمْ شَهْرًا يُتِمُّهُ غَيْرَ رَمَضَانَ، وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً دَاوَمَ عَلَيْهَا، وَكَانَ إِذَا غَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ مِنَ اللَّيْلِ بِنَوْمٍ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏:‏ هَذَا وَاللَّهِ هُوَ الْحَدِيثُ، وَلَوْ كُنْتُ أُكَلِّمُهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى أُشَافِهَهَا بِهِ مُشَافَهَةً ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تُكَلِّمُهَا مَا حَدَّثْتُكَ ‏.‏
حدثنا حفص بن عمر، حدثنا همام، حدثنا قتادة، عن زرارة بن اوفى، عن سعد بن هشام، قال : طلقت امراتي فاتيت المدينة لابيع عقارا كان لي بها، فاشتري به السلاح واغزو، فلقيت نفرا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا : قد اراد نفر منا ستة ان يفعلوا ذلك فنهاهم النبي صلى الله عليه وسلم وقال : " لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة " . فاتيت ابن عباس فسالته عن وتر النبي صلى الله عليه وسلم فقال : ادلك على اعلم الناس بوتر رسول الله صلى الله عليه وسلم فات عايشة رضى الله عنها . فاتيتها فاستتبعت حكيم بن افلح فابى فناشدته فانطلق معي، فاستاذنا على عايشة، فقالت : من هذا قال : حكيم بن افلح . قالت : ومن معك قال : سعد بن هشام . قالت : هشام بن عامر الذي قتل يوم احد قال قلت : نعم . قالت : نعم المرء كان عامرا . قال قلت : يا ام المومنين حدثيني عن خلق رسول الله صلى الله عليه وسلم . قالت : الست تقرا القران فان خلق رسول الله صلى الله عليه وسلم كان القران . قال قلت : حدثيني عن قيام الليل قالت : الست تقرا { يا ايها المزمل } قال قلت : بلى . قالت : فان اول هذه السورة نزلت، فقام اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى انتفخت اقدامهم، وحبس خاتمتها في السماء اثنى عشر شهرا، ثم نزل اخرها فصار قيام الليل تطوعا بعد فريضة . قال قلت : حدثيني عن وتر النبي صلى الله عليه وسلم . قالت : كان يوتر بثمان ركعات لا يجلس الا في الثامنة، ثم يقوم فيصلي ركعة اخرى، لا يجلس الا في الثامنة والتاسعة، ولا يسلم الا في التاسعة، ثم يصلي ركعتين وهو جالس فتلك احدى عشرة ركعة يا بنى، فلما اسن واخذ اللحم اوتر بسبع ركعات لم يجلس الا في السادسة والسابعة، ولم يسلم الا في السابعة، ثم يصلي ركعتين وهو جالس، فتلك هي تسع ركعات يا بنى، ولم يقم رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة يتمها الى الصباح، ولم يقرا القران في ليلة قط، ولم يصم شهرا يتمه غير رمضان، وكان اذا صلى صلاة داوم عليها، وكان اذا غلبته عيناه من الليل بنوم صلى من النهار ثنتى عشرة ركعة . قال : فاتيت ابن عباس فحدثته . فقال : هذا والله هو الحديث، ولو كنت اكلمها لاتيتها حتى اشافهها به مشافهة . قال قلت : لو علمت انك لا تكلمها ما حدثتك

Bengali

। সা‘দ ইবনু হিশাম (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যুদ্ধে যাওয়ার উদ্দেশে আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মাদীনায় আমার যে ভূমি রয়েছে তা বিক্রি করে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করার জন্য (বাসরাহ থেকে) মাদীনায় আসলাম। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একদল সাহাবীর সঙ্গে আমার সাক্ষাত হলে তারা বললেন, আমাদের মধ্যকার ছয় ব্যক্তির একটি দল এরূপ ইচ্ছা করেছিল। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করে বলেনঃ ‘‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মাঝেই উত্তম আদর্শ নিহিত আছে’’। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-এর নিকট গিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে যিনি অধিক অভিজ্ঞ আমি তোমাকে তার সন্ধান দিচ্ছি। তুমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট যাও। কাজেই আমি তার নিকট যাই এবং হাকীম ইবনু আফলাহকেও যাবার জন্য অনুরোধ করি, কিন্তু তিনি অস্বীকার করায় আমি তাকে শপথ দিয়ে অনুরোধ করলে তিনি আমার সঙ্গে রওয়ানা হন। আমরা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, কে? তিনি বলেন, হাকীম ইবনু আফলাহ। তিনি বলেন, তোমার সাথে কে? তিনি বললেন, সা‘দ ইবনু হিশাম। তিনি বললেন, উহুদের যুদ্ধে শহীদ হওয়া হিশাম ইবনু ‘আমির? হাকীম ইবনু আফলাহ বলেন, আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, ‘আমির তো অত্যন্ত ভাল লোক ছিলেন। তিনি বলেন, হে উম্মুল মু‘মিনীন! আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্র সম্বন্ধে বলুন। তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পড়ো না? গোটা কুরআনই হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্র। তিনি বলেন, আমি বললাম, আমাকে রাতের ক্বিয়াম সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, তুমি কি কুরআনের ‘‘ইয়াআইয়্যুহাল মুযযাম্মিল’’ সূরাহ পাঠ করনি? তিনি বলেন, আমি বললাম, হাঁ, পাঠ করেছি। তিনি বললেন, এ সূরাহর প্রথমাংশ অবতীর্ণ হবার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ এতো বেশি ‘ক্বিয়ামুল লাইল’ করতেন যে, তাদের পা ফুলে যেতো। অতঃপর এ সূরাহর শেষাংশ অবতীর্ণ হলে ‘কিয়ামুল লাইল’ ফারয হতে নফল হিসেবে পরিবর্তন হয়। তিনি বলেন, আমি বললাম, আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, তিনি আট রাক‘আত বিতর করতেন এবং তাতে কেবল অষ্টম রাক‘আতেই বসতেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে আরো এক রাক‘আত পড়তেন এবং এই অষ্টম ও নবম রাক‘আত ছাড়া কোথাও বসতেন না। তিনি নবম রাক‘আতে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসে বসে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। হে আমার বৎস! এ এগার রাক‘আতই ছিল তাঁর রাতের সালাত। অতঃপর বার্ধক্যের কারণে তাঁর শরীর ভারী হয়ে গেলে তিনি সাত রাক‘আত বিতর করতেন এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম রাক‘আত ছাড়া বসতেন না, আর সালাম ফিরাতেন সপ্তম রাক‘আতে। অতঃপর বসে বসে দু’ রাক‘আত নফল সালাত আদায় করতেন। হে বৎস! এ নয় রাক‘আতই ছিল রাতের সালাত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো সারারাত ভোর পর্যন্ত সালাত আদায় করতেন না, এক রাতে গোটা কুরআন খতম করতেন না এবং রমাযান মাস ছাড়া পুরো এক মাস সওম পালন করতেন না। তিনি কোনো সালাত আরম্ভ করলে তা নিয়মিত আদায় করতেন। ঘুমের কারণে রাতে জাগ্রত হতে না পারলে তিনি দিনের বেলা বারো রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-এর কাছে এসে এগুলো বর্ণনা করলে তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! এটাই হচ্ছে প্রকৃত হাদীস। আমি যদি ‘আয়িশাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতাম তাহলে আমি এসে এ হাদীস আলোচনা করতাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমি যদি জানতাম যে, আপনি তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন না, তাহলে আমি হাদীসটি আপনার কাছে বর্ণনা করতাম না।[1] সহীহ : মুসলিম।

English

Narrated Sa'd bin Hisham: I divorced my wife. I then came to Medina to sell my land that was there so that I could buy arms and fight in battle. I met a group of the Companions of the Prophet (ﷺ). They said: Six persons of us intended to do so (i.e. divorce their wives and purchase weapons), but the Prophet (ﷺ) prohibited them. He said: For you in the Messenger of Allah there is an excellent model. I then came to Ibn 'Abbas and asked him about the witr observed by the Prophet (ﷺ). He said: I point to you a person who is most familiar with the witr observed by the Messenger of Allah (ﷺ). Go to 'Aishah. While going to her I asked Hakim b. Aflah to accompany me. He refused, but I adjured him. He, therefore, went along with me. We sought permission to enter upon 'Aishah. She said: Who is this ? He said: Hakim b. Aflah. She asked: Who is with you ? He replied: Sa'd b. Hisham. She said: Hisham son of 'Amir who was killed in the Battle of Uhud. I said: Yes. She said: What a good man 'Amir was! I said: Mother of faithful, tell me about the character of the Messenger of Allah (ﷺ). She asked: Do you not recite the Quran ? The character of Messenger of Allah (ﷺ) was the Qur'an. I asked: Tell me about his vigil and prayer at night. She replied: Do you not recite: "O thou folded in garments" (73:1). I said: Why not ? When the opening of this Surah was revealed, the Companions stood praying (most of the night) until their fett swelled, and the concluding verses were not revealed for twelve months from heaven. At last the concluding verses were revealed and the prayer at night became voluntary after it was obligatory. I said: Tell me about the witr of the Prophet (ﷺ). She replied: He used to pray eight rak'ahs, sitting only during the eighth of them. Then he would stand up and pray another rak'ahs. He would sit only after the eighth and the ninth rak'ahs. He would utter salutation only after the ninth rak'ah. He would then pray two rak'ahs sitting and that made eleven rak'ahs, O my son. But when he grew old and became fleshy he observed a witr of seven, sitting only in sixth and seventh rak'ahs, and would utter salutation only after the seventh rak'ah. He would then pray two rak'ahs sitting, and that made nine rak'ahs, O my son. The Messenger of Allah (ﷺ) would not pray through a whole night, or recite the whole Qur'an in a night or fast a complete month except in Ramadan. When he offered prayer, he would do that regularly. When he was overtaken by sleep at night, he would pray twelve rak'ahs. The narrator said: I came to Ibn 'Abbas and narrated all this to him. By Allah, this is really a tradition. Has I been on speaking terms with her, I would have come to her and heard it from her mouth. I said: If I knew that you were not on speaking terms with her, I would have never narrated it to you

Indonesian

Russian

Передаётся от Са‘да ибн Хишама, да будет доволен им Аллах: «Я дал развод жене и прибыл в Медину, чтобы продать участок земли, купить на вырученные деньги оружие и участвовать в военных походах. Я встретил несколько человек из числа сподвижников Пророка ﷺ и они сказали: “Когда шестеро из нас захотели поступить так же, Пророк ﷺ запретил им делать это и сказал: “В посланнике Аллаха ﷺ прекрасный пример для вас””. Потом я пришёл к Ибн ‘Аббасу и задал ему вопрос о том, как совершал витр Посланник Аллаха ﷺ. Ибн ‘Аббас сказал: “Не указать ли тебе на того, кто лучше всех людей на земле знает о витре Пророка ﷺ? Это ‘Аиша, так пойди же к ней”. После этого я отправился к ней, но по дороге зашёл к Хакиму ибн Афляху и предложил ему пойти со мной. Сначала он отказался, однако я долго упрашивал его, и он пошёл. Мы отправились к ‘Аише и попросили разрешения войти. Она спросила: “Кто это?” Он отозвался: “Хаким ибн Афлях”. ‘Аиша спросила: “Кто с тобой?” Он ответил: “Са‘д, сын Хишама”. Она спросила: “Хишама, сына ‘Амира, который погиб в битве при Ухуде?” Я ответил: “Да”. Тогда она сказала: “‘Амир был прекрасным человеком”. Я попросил: “О мать верующих, скажи мне, какой нрав был у Посланника Аллаха ﷺ?” Она спросила: “Разве ты не читаешь Коран? Нравом Посланника Аллаха ﷺ был Коран”. Потом я спросил: “Расскажи мне о ночной молитве”. ‘Аиша спросила: “Разве ты не читаешь “О закутавшийся в одежды свои!”? ” Я сказал: “Конечно, читаю”. Тогда она сказала: “Поистине, когда было ниспослано начало этой суры, сподвижники Посланника Аллаха ﷺ стали выстаивать ночную молитву так, что у них опухали ноги. Дело в том, что заключительную часть этой суры удерживалась в небесах в течение двенадцати месяцев и когда она была ниспослана, предписанная ночная молитва стала добровольной”. Я попросил: “Расскажи мне, как Пророк ﷺ совершал витр”. Она сказала: “Он совершал молитву в восемь рак‘атов, во время которой сидел только после восьмого рак‘ата. Затем он совершал девятый рак‘ат. Садился только в восьмом и девятом и произносил таслим только в девятом. Затем он совершал молитву в два рак‘ата сидя, всего же количество рак‘атов молитв, которые он совершал ночью, было равно одиннадцати, сынок. А когда Посланник Аллаха ﷺ достиг преклонного возраста и отяжелел, он стал совершать витр в семь рак‘атов, садясь только в шестом и седьмом и произнося таслим только в седьмом, после чего совершал молитву в два рак‘ата так же, как и прежде, всего же количество рак‘атов молитв, совершавшихся им ночью, стало равняться девяти, сынок. Посланник Аллаха ﷺ никогда не молился всю ночь напролёт, и никогда не прочитывал Коран полностью за одну ночь, и никогда не постился весь месяц, за исключением рамадана. Когда Посланник Аллаха ﷺ совершал какую-нибудь молитву, он продолжал совершать её и впредь, если же он просыпал ночную молитву, то всегда совершал двенадцать рак‘атов днём”». Са‘д ибн Хишам сказал: «После этого я пошёл к Ибн ‘Аббасу и передал ему слова ‘Аиши. Выслушав меня, он сказал: “Вот это настоящий хадис, клянусь Аллахом, и если бы я разговаривал с ‘Аишей, то обязательно пришёл бы к ней, чтобы она сама рассказала мне это”, на что я сказал: “Если бы я знал, что ты не разговариваешь с ней, то не стал бы передавать тебе её слова!”»

Turkish

Sa'd b. Hişâm (r.a.)'dan; demiştir ki: Karımı boşadım ve Medine'de bulunan bana ait bir akarı satmak ve silah satın alıp gazaya iştirak etmek için Medine'ye geldim. Nebi (s.a.v.)'in ashabından bir toplulukla karşılaştım. Bana; "Bizden altı kişi daha böyle yapmak istemişse de, Nebi (s.a.v.) onları bu işten nehyetti ve (kendilerine) "Gerçekten Allah'ın Resulünde sizin için güzel bu örnek vardır" buyurdu" dediler. Bunun üzerine İbn Abbâs'a geldim. O'na Nebi (s.a.v.)'in vitrini sordum (da bana): Sana Resûlullah (s.a.v.)'in vitrini insanların en iyi bilenini göstereyim mi? Hemen (Hz.) Âişe'ye git, diye cevab verdi. Bunun üzerine Hz. Âişe'ye gitmeye karar verdim ve Hakîm b. Eflah'dan bana arkadaşlık etmesini rica ettim. Kabul etmedi. Bunun üzerine "Allah aşkına" diyerek kendisine and verdim de benimle beraber gel(meyi kabul et)di. Hz. Âişe'nin (kapısına vardık ve) yanına girmek için izin istedik. Hz. Âişe: Kimdir o? diye sordu. (Hakîm de): Hakîm b. Eflâh, diye cevab verdi. (Hz. Âişe): Yanındaki kimdir? dedi. (Hakîm:) Sa'd b. Hişâm'dır, dedi. (Hz. Âişe:) Şu Uhud'da şehid edilen Âmir'in oğlu Hişâm mı? dedi. (Hakîm:) Evet dedim ya! diye cevab verdi. (Hz. Âişe de:) Âmir ne iyi insandı! dedi. (Sa'd b. Hişâm) dedi ki: Ben: Ey Mu'minlerin annesi, bana Resûlullah'ın ahlâkını anlat dedim. O da: Sen Kur'ân okuyorsun değil mi? İşte gerçekten Resûlullah'ın ahlâkı Kur'an idi, dedi. Ben: Bana Resûlullah (s.a.v.)'in gece namazım anlat, dedim. Sen Kur'ân'ı (yani Kur'ân'daki Müzemmil) sûresini okuyorsun değil mi? dedi. Ben de: Evet, dedim. O da: Bu sürenin başı nazil olunca Resûlullah (s.a.v.)'in ashabı (geceleyin) kalktılar da ayakları şişinceye kadar (namaz kıldılar). Bu sûrenin sonu on iki ay semâda tutuldu. (On iki ay) sonra son tarafı nazil oldu. gece namazı da farzdan sonra (kılınan) bir nafile hâlini aldı; diye cevab verdi. Ben: Bana Nebi (s.a.v.)'in vitrini anlat, dedim. (O da:) Hiç oturmadan sekiz rekat (namaz) kılardı. Ancak sekizinci (rekat)da otururdu. Sonra kalkar bir rekat daha kılardı. Sekizinci ve dokuzuncu rekatların dışında oturmazdı ve sadece dokuzuncu rekatte selâm verirdi. Daha sonra kalkar iki rekât de oturarak kılardı. İşte yavrucuğum bu namaz onbir rekattır.Yaşlanıp da şişmanlayınca yedi rekat vitr kılıyordu. Ancak altıncı ve yedinci rekatte oturuyor, selâmı da sadece yedinci rekatte veriyordu. Sonra da kalkıyor ve oturarak iki rekat daha kılıyordu. Ey yavrucuğum, işte bu (namaz) da dokuz rekattır. Resûlullah (s.a.v.) hiç bir zaman geceyi sabaha kadar tamamen namaz kılarak da geçirmedi, Kur'ân okuyarak da geçirmedi. Ramazanın dışında hiç bir ay'ı da tamamen oruçlu olarak geçirmedi. (Nafile) bir namaz kıldı mı ona devam ederdi. Uykulu gözleri kendisine galebe edecek olursa, (o namazı) gündüzün on iki rekat olarak kılardı, dedi. İbn Abbas'a geldim kendisine bu durumu haber verdim; "Vallahi (doğru) söz dediğin böyle olur. Şayet ben onunla konuşuyor olsaydım, ona varır bu sözü bizzat kendi ağzından dinlerdim; dedi. Ben de: Eğer ben senin onunla konuşmadığım bilseydim. (Bunları) sana anlatmazdım, dedim

Urdu

سعد بن ہشام کہتے ہیں کہ میں نے اپنی بیوی کو طلاق دے دی، پھر میں مدینہ آیا تاکہ اپنی ایک زمین بیچ دوں اور اس سے ہتھیار خرید لوں اور جہاد کروں، تو میری ملاقات نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کے چند صحابہ سے ہوئی، ان لوگوں نے کہا: ہم میں سے چھ افراد نے ایسا ہی کرنے کا ارادہ کیا تھا تو نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم نے انہیں اس سے منع کیا اور فرمایا: تمہارے لیے رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کی زندگی میں بہترین نمونہ ہے ، تو میں ابن عباس رضی اللہ عنہما کے پاس آیا اور ان سے رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کی وتر کے بارے میں پوچھا، آپ نے کہا: میں ایک ایسی ذات کی جانب تمہاری رہنمائی کرتا ہوں جو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے وتر کے بارے میں لوگوں میں سب سے زیادہ جاننے والی ہے، تم ام المؤمنین عائشہ رضی اللہ عنہا کے پاس جاؤ۔ چنانچہ میں ان کے پاس چلا اور حکیم بن افلح سے بھی ساتھ چلنے کو کہا، انہوں نے انکار کیا تو میں نے ان کو قسم دلائی، چنانچہ وہ میرے ساتھ ہو لیے ( پھر ہم دونوں ام المؤمنین عائشہ رضی اللہ عنہا کے گھر پہنچے ) ، ان سے اندر آنے کی اجازت طلب کی، انہوں نے پوچھا: کون ہو؟ کہا: حکیم بن افلح، انہوں نے پوچھا: تمہارے ساتھ کون ہے؟ کہا: سعد بن ہشام، پوچھا: عامر کے بیٹے ہشام جو جنگ احد میں شہید ہوئے تھے؟ میں نے عرض کیا: ہاں، وہ کہنے لگیں: عامر کیا ہی اچھے آدمی تھے، میں نے عرض کیا: ام المؤمنین مجھ سے رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے اخلاق کا حال بیان کیجئے، انہوں نے کہا: کیا تم قرآن نہیں پڑھتے؟ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کا اخلاق قرآن تھا، میں نے عرض کیا: آپ کی رات کی نماز ( تہجد ) کے بارے میں کچھ بیان کیجئیے، انہوں نے کہا: کیا تم سورۃ «يا أيها المزمل» نہیں پڑھتے؟ میں نے کہا: کیوں نہیں؟ انہوں نے کہا: جب اس سورۃ کی ابتدائی آیات نازل ہوئیں تو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے صحابہ نماز کے لیے کھڑے ہوئے یہاں تک کہ ان کے پیروں میں ورم آ گیا اور سورۃ کی آخری آیات آسمان میں بارہ ماہ تک رکی رہیں پھر نازل ہوئیں تو رات کی نماز نفل ہو گئی جب کہ وہ پہلے فرض تھی، وہ کہتے ہیں: میں نے عرض کیا: نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم کی وتر کے بارے میں بیان کیجئیے، انہوں نے کہا: آپ آٹھ رکعتیں پڑھتے اور آٹھویں رکعت کے بعد پھر کھڑے ہو کر ایک رکعت پڑھتے، اس طرح آپ آٹھویں اور نویں رکعت ہی میں بیٹھتے اور آپ نویں رکعت کے بعد ہی سلام پھیرتے اس کے بعد دو رکعتیں بیٹھ کر پڑھتے، اس طرح یہ کل گیارہ رکعتیں ہوئیں، میرے بیٹے! پھر جب آپ صلی اللہ علیہ وسلم سن رسیدہ ہو گئے اور بدن پر گوشت چڑھ گیا تو سات رکعتوں سے وتر کرنے لگے، اب صرف چھٹی اور ساتویں رکعت کے بعد بیٹھتے اور ساتویں میں سلام پھیرتے پھر بیٹھ کر دو رکعتیں ادا کرتے، اس طرح یہ کل نو رکعتیں ہوتیں، میرے بیٹے! اور رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے کسی بھی رات کو ( لگاتار ) صبح تک قیام ۱؎ نہیں کیا، اور نہ ہی کبھی ایک رات میں قرآن ختم کیا، اور نہ ہی رمضان کے علاوہ کبھی مہینہ بھر مکمل روزے رکھے، اور جب بھی آپ صلی اللہ علیہ وسلم کوئی نماز پڑھتے تو اس پر مداومت فرماتے، اور جب رات کو آنکھوں میں نیند غالب آ جاتی تو دن میں بارہ رکعتیں ادا فرماتے۔ سعد بن ہشام کہتے ہیں: میں ابن عباس کے پاس آیا اور ان سے یہ حدیث بیان کی تو انہوں نے کہا: قسم اللہ کی! حدیث یہی ہے، اگر میں ان سے بات کرتا تو میں ان کے پاس جا کر خود ان کے ہی منہ سے بالمشافہہ یہ حدیث سنتا، میں نے ان سے کہا: اگر مجھے یہ معلوم ہوتا کہ آپ ان سے بات نہیں کرتے ہیں تو میں آپ سے یہ حدیث بیان ہی نہیں کرتا۔