Arabic

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعُسْفَانَ وَعَلَى الْمُشْرِكِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَصَلَّيْنَا الظُّهْرَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ لَقَدْ أَصَبْنَا غِرَّةً لَقَدْ أَصَبْنَا غَفْلَةً لَوْ كُنَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمْ وَهُمْ فِي الصَّلاَةِ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْقَصْرِ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَالْمُشْرِكُونَ أَمَامَهُ فَصَفَّ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَفٌّ وَصَفَّ بَعْدَ ذَلِكَ الصَّفِّ صَفٌّ آخَرُ فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا صَلَّى هَؤُلاَءِ السَّجْدَتَيْنِ وَقَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ الَّذِينَ كَانُوا خَلْفَهُمْ ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ إِلَى مَقَامِ الآخَرِينَ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الأَخِيرُ إِلَى مَقَامِ الصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا فَصَلاَّهَا بِعُسْفَانَ وَصَلاَّهَا يَوْمَ بَنِي سُلَيْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى أَيُّوبُ وَهِشَامٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ هَذَا الْمَعْنَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَلِكَ رَوَاهُ دَاوُدُ بْنُ حُصَيْنٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَكَذَلِكَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ وَكَذَلِكَ قَتَادَةُ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ عَنْ أَبِي مُوسَى فِعْلَهُ وَكَذَلِكَ عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَلِكَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ ‏.‏
حدثنا سعيد بن منصور، حدثنا جرير بن عبد الحميد، عن منصور، عن مجاهد، عن ابي عياش الزرقي، قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بعسفان وعلى المشركين خالد بن الوليد فصلينا الظهر فقال المشركون لقد اصبنا غرة لقد اصبنا غفلة لو كنا حملنا عليهم وهم في الصلاة فنزلت اية القصر بين الظهر والعصر فلما حضرت العصر قام رسول الله صلى الله عليه وسلم مستقبل القبلة والمشركون امامه فصف خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم صف وصف بعد ذلك الصف صف اخر فركع رسول الله صلى الله عليه وسلم وركعوا جميعا ثم سجد وسجد الصف الذين يلونه وقام الاخرون يحرسونهم فلما صلى هولاء السجدتين وقاموا سجد الاخرون الذين كانوا خلفهم ثم تاخر الصف الذي يليه الى مقام الاخرين وتقدم الصف الاخير الى مقام الصف الاول ثم ركع رسول الله صلى الله عليه وسلم وركعوا جميعا ثم سجد وسجد الصف الذي يليه وقام الاخرون يحرسونهم فلما جلس رسول الله صلى الله عليه وسلم والصف الذي يليه سجد الاخرون ثم جلسوا جميعا فسلم عليهم جميعا فصلاها بعسفان وصلاها يوم بني سليم . قال ابو داود روى ايوب وهشام عن ابي الزبير عن جابر هذا المعنى عن النبي صلى الله عليه وسلم وكذلك رواه داود بن حصين عن عكرمة عن ابن عباس وكذلك عبد الملك عن عطاء عن جابر وكذلك قتادة عن الحسن عن حطان عن ابي موسى فعله وكذلك عكرمة بن خالد عن مجاهد عن النبي صلى الله عليه وسلم وكذلك هشام بن عروة عن ابيه عن النبي صلى الله عليه وسلم وهو قول الثوري

Bengali

সালাতুল খাওফ (ভয়কালীন সালাত) প্রসঙ্গে مَنْ رَأَى أَنْ يُصَلِّيَ بِهِمْ وَهُمْ صَفَّانِ فَيُكَبِّرُ بِهِمْ جَمِيعًا، ثُمَّ يَرْكَعُ بِهِمْ جَمِيعًا، ثُمَّ يَسْجُدُ الإِمَامُ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَإِذَا قَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ الَّذِينَ كَانُوا خَلْفَهُمْ، ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ إِلَى مَقَامِ الآخَرِينَ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الأَخِيرُ إِلَى مَقَامِهِمْ، ثُمَّ يَرْكَعُ الإِمَامُ وَيَرْكَعُونَ جَمِيعًا، ثُمَّ يَسْجُدُ وَيَسْجُدُ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ، وَالآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ، فَإِذَا جَلَسَ الإِمَامُ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ : هَذَا قَوْلُ سُفْيَانَ কারো মতে, এ সালাতের পদ্ধতি হচ্ছেঃ ইমাম সকলকে দুই কাতারে ভাগ করে সালাত আরম্ভ করবেন। তারপর তিনি সবাইকে নিয়ে তাকবীর বলবেন, অতঃপর রুকূ‘ করবেন। অতঃপর ইমাম তার নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে সিজদা্ করবেন, তখন দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা তাদেরকে পাহারা দিবে। অতঃপর প্রথম কাতারের লোকেরা উঠে দাঁড়ালে দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা সিজদা্ করবে, যারা তাদের পিছনে ছিল। অতঃপর ইমামের নিকটবর্তী কাতারের লোকেরা পিছনে সরে সেই স্থানে যাবে যেখানে দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা দাঁড়িয়েছে। এ সময় পিছনের কাতারের লোকেরা প্রথম কাতারের লোকদের স্থানে আসবে। এরপর সকলে একত্রে রুকূ‘ করবে। অতঃপর ইমাম তার নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে সিজদা্ করবেন। তখন অপর দল তাদেরকে পাহারা দিবে। অতঃপর ইমাম ও তার নিকটবর্তী কাতার বসলে অন্য কাতার সিজদা্ করবে। অতঃপর সকলে একত্রে বসে একসঙ্গে সালাম ফিরাবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘সালাতুল খাওফ’ এ পদ্ধতিতে আদায় করা সুফয়ান সওরীর অভিমত। ১২৩৬। আবূ ‘আইয়াশ আয-যুরাক্বী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ‘উসফান নামক স্থানে ছিলাম। তখন খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ মুশরিকদের সেনাধিনায়ক ছিলেন। আমরা যুহরের সালাত আদায় করলে মুশরিকরা পরস্পর বলাবলি করলো, নিশ্চয় আমরা ধোঁকার মধ্যে আছি, আমরা তো একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছি। তাদের সালাতরত অবস্থায় আক্রমণ করতে পারলে তো (আমাদের নিশ্চিত বিজয়)। এমন সময় যুহর ও ‘আসর সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত ক্বসর সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ হয়। কাজেই ‘আসরের ওয়াক্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে সালাতে দাঁড়ান। তখন মুশরিকরা তাঁর সম্মুখে অবস্থান করছিল। (মুসলিমদের) এক জামা‘আত কাতারবদ্ধভাবে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে দাঁড়ালো, এবং তার পিছনে দাঁড়ালো দ্বিতীয় কাতার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘ করলে তারাও একসাথে রুকূ‘ করলো। অতঃপর তিনি সিজদা্ করলে যে কাতার তাঁর কাছাকাছি ছিল, তারাও সিজদা্ করলো, আর পিছনের কাতার এদেরকে পাহারা দিতে লাগলো। যখন প্রথম কাতার দু‘টি সিজদা্ করে দাঁড়ালো তখন তাদের পিছনের কাতারের লোকেরা সিজদা্ করলো। এ পর্যন্ত প্রত্যেক কাতারের লোকদের একটি রুকূ‘ ও দু‘টি করে সিজদা্ পূর্ণ হলো। অতঃপর প্রথম কাতারের লোকেরা দ্বিতীয় কাতারে সরে এলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘ করলে সকলে একত্রে রুকূ‘ করলো এবং পিছনের কাতারের লোকেরা তাদেরকে পাহারা দিল। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর কাছাকাছি কাতারের লোকেরা বসলেন, তখন দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা সিজদা্ করলো। অতঃপর তারা সবাই বসে পড়লো, এরপর তিনি সবাইকে নিয়ে একত্রে সালাম ফিরালেন। এভাবে তিনি ‘উসফান নামক স্থানে সালাত আদায় করলেন। আর এটা ছিল বনূ সুলাইম গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযানকালে তাঁর সালাতুল খাওফ আদায়ের পদ্ধতি।[1] সহীহ। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আইয়ূব বর্ণনা করেন, হিশাম আবুয যুবাইর হতে জাবির সূত্রে এরূপ অর্থের হাদীস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। সহীহ : মুসলিম। অনুরূপ বর্ণনা করেছেন দাউদ ইবনু হুসাইন, ‘ইকরিমাহ হতে ইবনু ‘আব্বাস সূত্রে। হাসান সহীহ। অনুরূপভাবে ‘আবদুল মালিক ‘আত্বা হতে জাবির সূত্রে। একইভাবে ক্বাতাদাহ, হাসান হতে হিত্তান সূত্রে আবূ মূসার কর্মমূলক বর্ণনা। সহীহ : মুসলিম। অনুরূপভাবে ‘ইকরিমা ইবনু খালিদ বর্ণনা করেছেন মুজাহিদ হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে। আমি এটি পাইনি। একইভাবে হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ তার পিতা হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে। সহীহ মুরসাল। এ নিয়মে সালাতুল খাওফ আদায় করা সুফয়ান সাওরীর অভিমত।

English

Narrated AbuAyyash az-Zuraqi: We accompanied the Messenger of Allah (ﷺ) at Usfan, and Khalid ibn al-Walid was the chief of unbelievers. We offered the noon prayer. Thereupon, the unbelievers said: We suffered from negligence; we became careless. We should have attacked them while they were praying. Thereupon the verse was revealed, relating to the shortening of the prayer (in time of danger) between the noon and afternoon (prayer). When the time of the afternoon prayer came, the Messenger of Allah (ﷺ) stood facing the qiblah, and the unbelievers were standing in front of him. The people stood in a row behind the Messenger of Allah (ﷺ) and there was another row behind this row. The Messenger of Allah (ﷺ) bowed and all of them bowed. He then prostrated and also the row near him prostrated. The other people in the second row remained standing and stood guard over them. When they performed two prostrations and stood up, those who were behind them prostrated. The people in the front row near him then stepped backward taking the place of the people in the second row and the second row took the place of the first row. The Messenger of Allah (ﷺ) then bowed and all of them bowed together. Then he and the row near him prostrated themselves. The other people in the second row remained standing and stood guard over them. When the Messenger of Allah (ﷺ) and the row near him (i.e. the front row) were seated, the people in the second row behind them prostrated themselves. Then all of them were seated. (He (the Prophet) then uttered the salutation upon all of them. He prayed in his manner at Usfan as well as at the territory of Banu Sulaym. Abu Dawud said: This tradition has been narrated by Ayyub and Hisham from Abu al-Zubair on the authority of Jabir to the same effect from the Prophet (ﷺ). Similarly, this has been transmitted by Dawud b. Husain from 'Ikrimah, on the authority of Ibn 'Abbas. This has also been reported by 'Abd al-Malik, from 'Ata' from Jabir in like manner. This has also been narrated by Qatadah from al-Hasan from Hittan on the authority of Abu Musa in a similar way. Similarly, this has been reported by 'Ikrimah b. Khalid from Mujahid from the Prophet (ﷺ). This has also been reported by Hisham b. 'Urwah from his father from the Prophet (ﷺ). This is the opinion of al-Thawri

Indonesian

telah menceritakan kepada kami [Sa'id bin Manshur] telah menceritakan kepada kami [Jarir bin Abdul Hamid] dari [Manshur] dari [Mujahid] dari [Abu 'Ayasy Az Zuraqi] dia berkata; kami bersama Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam di Usfan, sedangkan waktu itu, kaum Musyrikin berada di bawah komando Khalid bin Walid. lalu kami mengerjakan shalat Dluhur, maka orang-orang Musyrik berkata; "Sungguh kita telah lengah, kita telah lalai. (Alangkah baiknya) sekiranya kita serang mereka ketika mereka tengah mengerjakan shalat." lalu turunlah ayat untuk mengqashar shalat antara Dluhur dengan Ashar, ketika waktu Ashar telah tiba, Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam berdiri menghadap ke kiblat, sedangkan orang-orang musyrik berada di hadapannya, sementara satu shaf berbaris di belakang beliau, kemudian ada juga di belakangnya satu shaf lagi, lalu Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam ruku', mereka juga ikut ruku', lalu beliau sujud, dan shaf di belakang beliau juga sujud, sementara shaf berikutnya masih tetap berdiri untuk berjaga-jaga. Setelah shaf pertama selesai sujud dua kali dan berdiri, barulah shaf yang berikutnya (shaf kedua) sujud. Setelah itu, shaf yang ada di belakang beliau (shaf pertama) mundur menempati shaf yang lain (shaf kedua), sedangkan shaf yang kedua maju ke depan menempati shaf pertama, kemudian Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam ruku', mereka semuanya juga ikut ruku', lalu sujud dan shaf yang berada di belakang beliau ikut sujud, sedangkan shaf yang belakangnya (shaf kedua) tetap berdiri berjaga-jaga. Ketika Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam duduk, maka shaf kedua sujud, kemudian mereka semuanya duduk, lalu beliau memberi salam dan mereka pun salam. Cara shalat seperti ini di kerjakan di daerah Usfan, dan juga pernah di kerjakan di Bani Sulaim. ' Abu Daud berkata; [Ayyub] dan [Hisyam] meriwayatkan dari [Abu Az Zubair] dari [Jabir] dengan makna seperti ini dari Nabi shallallahu 'alaihi wasallam, begitu juga [Daud bin Hushain] meriwayatkan dari ['Ikrimah] dari [Ibnu Abbas], begitu juga [Abdul Malik] dari ['Atha`] dari [Jabir]. Begitu juga dengan [Qatadah] dari [Al Hasan] dari [Hithan] dari [Abu Musa] juga pernah mengerjakan seperti itu, begitu juga [Ikrimah bin Khalid] dari [Mujahid] dari Nabi shallallahu 'alaihi wasallam, begitu juga [Hisyam bin 'Urwah] dari [ayahnya] dari Nabi shallallahu 'alaihi wasallam, dan itu merupakan perkataan Ats Tsauri

Russian

Рассказывается от Абу ‘Айяш аз-Зуракы: «Мы находились вместе с посланником Аллаха ﷺ в ‘Усфане, а язычниками тогда командовал Халид ибн аль-Валид. Мы совершили полуденную молитву, а язычники сказали: “Мы нашли время, когда они беззащитны! Мы нашли время, когда они беспечны! Нам следует напасть на них во время молитвы!” Тогда между полуденной /зухр/ и послеполуденной молитвой /‘аср/ было ниспослано предписание о сокращении молитвы, и, когда наступило время послеполуденной молитвы, Посланник Аллаха ﷺ поднялся и обратился в сторону киблы. При этом язычники оказались напротив него. За ним выстроился ряд молящихся, а позади них ещё один ряд. Когда Посланник Аллаха ﷺ совершил поясной поклон, все они совершили поясной поклон вслед за ним. А когда он совершал земной поклон, ряд, который стоял за ним, также совершил земной поклон, а другой ряд остался стоять, чтобы охранять их, а когда первый ряд совершил два земных поклона и поднялся, второй ряд тоже совершил земные поклоны. Потом молящиеся, из которых состоял первый ряд, отступили назад и заняли место второго ряда, а составлявшие второй ряд шагнули вперёд и заняли их место. Затем Посланник Аллаха ﷺ совершил поясной поклон, все они совершили поясной поклон вслед за ним. А когда он совершал земной поклон, ряд, который стоял за ним, также совершил земной поклон, а другой ряд остался стоять, чтобы охранять их, а когда первый ряд совершил два земных поклона и поднялся, второй ряд тоже совершил земные поклоны. Затем все они сели и он произнёс слова приветствия /таслим/. Он совершил такую молитву в ‘Усфане (в месте, примерно в 128 км от Мекки), а также в день встречи с бану суляйм»

Turkish

Ebû Ayyaş ez-Zürâkî'den; demiştir ki: Biz Resûlullah (s.a.v.) ile birlikte Usfân'da bulunuyorduk. Müşriklerin başında da Hâlid b. el-Velîd bulunuyordu. Öğleyi kıldık. Müşrikler "gerçekten çok gafil davrandık, çok hatalı davrandık onlar namazda iken üzerlerine bir yüklenseydik (ne güzel olurdu)!" demeye başladılar. Bunun üzerine öğle ile ikindi namazı arasında "Kasr âyeti" nazil oldu. ikindi (vakti) gelince Resûlullah (s.a.v.) kalkıp kıbleye karşı durdu. Müşrikler de karşısında idiler. Arkasında bir saf teşekkül etti. Bu saffın arkasında da başka bir saf (vardı). Resûlullah (s.a.v.)'in rükû'a varmasıyla hepsi birden rükû'a vardılar. Sonra arka saftakiler cemaati ayakta beklerken imam arkasındaki (birinci) safla beraber secdeye vardı. Bunlar secdeleri yapıp kalkınca arkalarında bulunan diğerleri secdeye vardılar, sonra (Resûl-i Ekrem'in) arkasındaki saf geri çekilerek arkadakilerin yerini, arka saftakiler de ilerleyerek ön saftakilerin yerini aldı. Sonra Resûlullah (s.a.v.) rükû'a varınca (her iki saftakiler) birlikte rükû'a vardılar. (Resûl-i Ekrem) secdeye varınca, hemen arkasında bulunan (birinci saf) da secdeye vardı. Diğerleri ise bunları (ayakta) bekliyorlardı. Rssûİ-i Ekrem (s.a.v.) oturunca hemen arkasındaki saf da oturdu, sonra da hep beraber oturdular ve (Resûl-i Ekrem -s.a.v.-) hepsine birden selâm verdi. (Resûl-i Ekrem) Usfan'da kıldığı bu namazı bir de Beni Süleym'de kıldı. Ebû Dâvûd dedi ki: (Hadisin metninden anlaşılan) bu mânâyı, Eyyûb ile Hişâm da Ebu'z-Zübeyr, ve Câbir vasıtasıyle Peygamber (s.a.v.)'den rivayet etmişlerdir. Yine (mana olarak) bû hadisi Dâvûd b. Husayn, îkrime vasıtasıyla İbn Abbâs'dan rivayet etti. Aynı şekilde (bu hadisi) Abdülmelik, Atâ vasıtasıyle Câbir'den rivayet etti. Katâde de el-Hasen ve Hıttân vasıtasıyle Ebû Mûsâ"dan (Ebû Mûsâ'nın fiili olarak rivayet etti. Yine aynı şekilde (mânâ ola­rak) îkrime b. Hâlid, Mücâhid vasıtasıyla Peygamber (s.a.v.)'den riva­yet ettiği gibi Hişâm b. Urve de babası vasıtasıyla Peygamber (s. a.) 'den rivayet etmiştir ve bu (tatbikat) es-Sevr’nin görüşüdür. Diğer tahric: Nesaî, havf; Ahmed b. Hanbel, IV

Urdu

ابوعیاش زرقی رضی اللہ عنہ کہتے ہیں کہ ہم لوگ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے ساتھ مقام عسفان میں تھے، اس وقت مشرکوں کے سردار خالد بن ولید تھے، ہم نے ظہر پڑھی تو مشرکین کہنے لگے: ہم سے چوک ہو گئی، ہم غفلت کا شکار ہو گئے، کاش! ہم نے دوران نماز ان پر حملہ کر دیا ہوتا، چنانچہ ظہر اور عصر کے درمیان قصر کی آیت نازل ہوئی ۱؎ پھر جب عصر کا وقت ہوا تو رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم قبلہ رخ ہو کر کھڑے ہوئے، مشرکین آپ کے سامنے تھے، لوگوں نے آپ کے پیچھے ایک صف بنائی اور اس صف کے پیچھے ایک دوسری صف بنائی تو آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے ان سب کے ساتھ بیک وقت رکوع کیا، لیکن سجدہ آپ نے اور صرف اس صف کے لوگوں نے کیا جو آپ سے قریب تر تھے اور باقی ( پچھلی صف کے ) لوگ کھڑے نگرانی کرتے رہے، پھر جب یہ لوگ سجدہ کر کے کھڑے ہو گئے تو باقی دوسرے لوگوں نے جو ان کے پیچھے تھے، سجدے کئے، پھر قریب والی صف پیچھے ہٹ کر دوسری صف کی جگہ پر چلی گئی، اور دوسری صف آگے بڑھ کر پہلی صف کی جگہ پر آ گئی، پھر سب نے مل کر رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے ساتھ رکوع کیا، اس کے بعد سجدہ صرف آپ اور آپ سے قریب والی صف نے کیا اور بقیہ لوگ کھڑے نگرانی کرتے رہے، جب رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم اور قریب والی صف کے لوگ بیٹھ گئے تو بقیہ دوسروں نے سجدہ کیا، پھر سب ایک ساتھ بیٹھے اور ایک ساتھ سلام پھیرا، آپ نے عسفان میں اسی طرح نماز پڑھی اور بنی سلیم سے جنگ کے روز بھی اسی طرح نماز پڑھی۔ ابوداؤد کہتے ہیں: ایوب اور ہشام نے ابو الزبیر سے ابوالزبیر نے جابر سے اسی مفہوم کی حدیث نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم سے مرفوعاً روایت کی ہے۔ اسی طرح یہ حدیث داود بن حصین نے عکرمہ سے، عکرمہ نے ابن عباس رضی اللہ عنہما سے روایت کی ہے۔ اسی طرح یہ حدیث عبدالملک نے عطا سے، عطاء نے جابر سے روایت کی ہے۔ اسی طرح قتادہ نے حسن سے، حسن نے حطان سے، حطان نے ابوموسیٰ رضی اللہ عنہ سے یہی عمل نقل کیا ہے۔ اسی طرح عکرمہ بن خالد نے مجاہد سے مجاہد نے نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم سے روایت کی ہے۔ اسی طرح ہشام بن عروہ نے اپنے والد عروہ سے، انہوں نے نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم سے روایت کی ہے اور یہی ثوری کا قول ہے۔